Mithijhora Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরা (Mithijhora)। নতুন নতুন চমকের কারণে জমে উঠেছে ধারাবাহিকের কাহিনী। তিন বোনই জীবনেই আসছে একের পর এক নতুন টুইস্ট। ছোট বোন স্রোতের ধীরে ধীরে প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছে সার্থক। এদিকে নিজের মিথ্যের জালে দিনে দিনে ফেঁসে যাচ্ছে নীলু। আবার রাইয়ের জীবনে নেমে এসেছে অশান্তি।
রাইয়ের নামে চু’রির দোষ চাপিয়ে দিয়েছে সুদীপ্ত। অনির্বাণও অফিসের কথা ভেবে দিশাহারা হয়ে যাচ্ছে। এদিকে কোন উপায় না পেয়ে রঞ্জন দার দ্বারস্থ হয়েছে রাই। রঞ্জনদার সঙ্গে সমস্ত কথাবার্তা বলে বাড়ির দিকে রওনা দেয় রাই। মনে চলতে থাকা হাজার প্রশ্ন। বাড়িতে গিয়ে কি বলতে সে? বাড়িতে ঢুকতেই তার সামনে এসে দাঁড়ান তার মা নন্দিতা। রাইয়ের দেরিতে আসার কারণ জানতে না চেয়ে তিনি বলেন “তুই অফিসে গিয়েছিলি না হোটেলে।” কথাটা শুনে খুব খারাপ লাগে রাইয়ের। কিন্তু মাকে কিছু না বলেই ঘরে চলে যায় রাই।
মিঠিঝোরার আজকের পর্ব ৯ মে (Mithijhora Today Episode 9 May):
ধারাবাহিকে ইতিমধ্যেই দেখা গেছে স্রোতে এসে কথা বলতে থাকে রাইয়ের সঙ্গে। রাইয়ের স্রোত জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে? ছোটবোনের চিন্তা দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেনি রাই। স্রোতে সবটা খুঁজে বলে রাই। রাই স্রোতকে এটাও জানায় যে সে রঞ্জন দার কাছে গেছিল এবং তাকে সবটা জানিয়েছে।
ফোনের রেকর্ডিং শুনিয়ে সুদীপ্তর পর্দা ফাঁস করল রাই:
বাড়িতে থেকে বেরিয়ে অফিসেই উদ্দেশ্যে রওনা দেয় রাই। এদিকে রাইয়ের জন্য চিন্তা করতে থাকে অনির্বাণ। রাই আসতেই সে রাইকে জিজ্ঞাসা করে টাকার ব্যাপারে। তখনই অনির্বাণকে একটা চিঠি ধরিয়ে দেয় রাই। সে অনির্বাণকে জানায় তার চলে যাওয়ার পর একটা খুলতে। তখনই পুলিশকে নিয়ে চলে আসে সুদীপ্ত। নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও রাইয়ের কোন কথা শুনতে চায়না পুলিশ। সেই মুহূর্তেই সেখানেই চলে আসে রঞ্জন। তিনি জানান তিনি লালবাজারের অফিসার এবং রাই অভিযোগ করেছে তাকে মিথ্যে কেসে ফাঁসানো হয়েছে। এরপরই অডিও রেকর্ডিং চালিয়ে দেয় রঞ্জন। সবটা শুনে সুদীপ্তকে খুব মরতে থাকে অনির্বাণ।
চাকরি ছাড়ল রাই, রাইকে আটকাতে রাইয়ের বাড়িতে এসে হাজির হল অনির্বাণ:
রেকডিং শুনে সুদীপ্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুদীপ্ত যেতে যেতে বলে সে ফিরে আসবে আর তাদের ওপর প্রতিশোধ নেবে। সুদীপ্তর চলে যাওয়ার পর রাই গিয়ে নিজের ডেক্স থেকে নিজের জিনিসপত্র নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে যায়। রাইকে যাওয়ার পর চিঠিটা খুলে অনির্বাণ দেখে সেটা পদত্যাগ পত্র। রাই চলে গেছে দেখে খুব ভেঙে পড়ে অনির্বাণ। রাই মনে মনে ভাবে সে এটা নতুন চাকরি খুঁজবে। পরের দিন সকাল হতেই রাইয়ের বাড়িতে কড়া নাড়ে অনির্বাণ। দরজা খুলে রাইয়ের বসকে দেখে তাকে অপমান করতে শুরু করে নন্দিতা এবং তার ছেলে। রাই সবটা শুনতে পেলেও বাইরে আসেনি। তাহলে কি এবার বিচ্ছেদ আসবে রাই আর অনির্বাণের ভালোবাসায়?