জি বাংলা (Zee Bangla) ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul) চলে এসেছে প্রায় তার অন্তিম পর্বে। মেঘ আর নীলের বিয়েতেই শেষ হবে ধারাবাহিকটি এরকমটাই শোনা যাচ্ছে। মেঘকে ইতিমধ্যেই বিয়েতে রাজি করিয়ে দিয়েছে মধুমিতা আর অনিন্দ্য বাবু। মেঘও বাধ্য হয়ে হ্যাঁ বলে দেয় বিয়েতে। কিন্তু তার মনে এখনও রয়েছে নীল। এই একই দোটানায় পড়েছে নীলও। তার বাড়ির সবাই তাকে বিয়েতে জোর করলেও সে বিয়েতে কিছুতেই মত দিচ্ছে না। সেও মেঘকে ছাড়া অন্য কাউকে নিজের জীবনে মেনে নিতে পারবে না।
ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে দ্রুতি ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করতে কলেজে আসে নীল। নীলকে দেখে খুশি হয়ে তার খবরাখবর নেয় ম্যাডাম। তখনই তিনি নীলকে জানান মেঘ এসেছে কলেজে। মেঘের নাম শুনেই খুশি হয়ে যায় নীল। মেঘকে খুঁজতে সে চলে যায় গ্রন্থাগারের দিকে। এদিকে স্যারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মেঘ জানতে পারে নীল এসেছে কলেজে। নীলের সঙ্গে দেখা করার জন্য ফোন ফেলে আসার অছিলায় দ্রুতি ম্যাডামের অফিস যায় মেঘ। নীল সেই মুহূর্তে গ্রন্থাগারে গিয়ে মেঘের খোঁজ করতেই জানতে পারে সে এখনও অফিস আসে পৌঁছায়নি।
ওদিকে নীলকে খুঁজতে দ্রুত ম্যাডামের অফিস গিয়ে মেঘ জানতে পারে সে মেঘকে খুঁজতে গ্রন্থাগারের দিকে গেছে। মেঘও চলে যায় গ্রন্থাগারে কিন্তু সে জানতে পারে নীল তাকে খুঁজতে আবার ম্যাডামের অফিসে গেছে। তখন অভিমান করে মেঘ লাইব্রেরিয়ানকে বলে নীল খুঁজতে এলে তাকে বলতে সে বাড়ি চলে গেছে। বাড়ি পৌঁছে পায়চারি করতে শুরু করে মেঘ। মনে মনে বলে বাবাকে বলবে সে কাউকে বিয়ে করতে পারবে না। নীলকে ভালোবেসে অন্য কারোর জীবন সে নষ্ট করতে পারে না। ওদিকে মেঘের মা মধুমিতা দেবী মেঘকে কিছু খাবে নাকি জিজ্ঞাসা করতে এলে মেঘ তাকে চলে যেতে বলে।
তিনি বুঝতে পারেন হয়ত কিছু হয়েছে মেঘের। নীলের সঙ্গে দেখে হয়েছে এই ভাবতে থাকেন তিনি। তখনই চলে আসে নীল। তাকে দেখে তিনি মেঘের ঘরে যেতে বলেন। হটাৎ নীলকে দেখে অবাক হয় মেঘ। নীল তাকে চলে আসার কারণ জানতে চাইলে সে অভিমানের সঙ্গে বলে তার ইচ্ছা হয়নি দেখা করার তাই চলে এসেছে। তখনই মেঘকে নীল জানায় তার বাড়ির লোক তাকে বিয়ের জন্য জোর করছে কিন্তু সে শুধু মেঘকেই ভালোবাসে। কিন্তু মেঘ তাকে বলে তাদের পথ আলাদা হয়ে গেছে তার বাড়ির লোক যা বলতে নীলের মেনে নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: ধান্দাবাজের দল! পুতুলকে বাঁচাতেই শিমুলকে জেল থেকে ছাড়ালো মধুমিতা- পরাগ! আসছে বিরাট চমক
মেঘ তখন নীলকে তার বাড়ির লোক যে ছেলে দেখেছে সেই বিষয়েও জানিয়ে দেয়। এই কথা শুনে চমকে ওঠে নীল জিজ্ঞাসা করতে থাকে ছেলের ব্যাপারে কিন্তু মেঘ জানিয়ে দেয় সে নিজেও কিছু জানে না তবে বাড়ির লোক যখন ঠিক করেছে ভালোই হবে। এই কথা শুনে মেঘের হাত ধরে একটা কবিতা বলে নীল এবং শেষ বিদায় জানান সে। তবে কি মনে হয় আপনাদের এবার কি তবে বিয়েতে রাজি হবে নীল?
