Mithijhora Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) যে সমস্ত ধারাবাহিকগুলোর বর্তমানে স্লট দখল করতে সক্ষম হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম অর্গানিক স্টুডিওর মিঠিঝোরা (Mithijhora)। শুরুর থেকেই এই ধারাবাহিকটি মন জয় করে এসেছে দর্শকদের। প্রতি সপ্তাহেই ধারাবাহিকের কাহিনীতে নতুন নতুন চমক জমিয়ে তুলেছে ধারাবাহিকের কাহিনী। যার প্রভাব পড়ছে টিআরপি তালিকায়। বর্তমানে হরগৌরী পাইস হোটেলকে হারিয়ে স্লট জয় করে নিয়েছে মিঠিঝোরা।
তবে বর্তমানে ধারাবাহিকে এসেছে নতুন চমক। শৌর্য্যকে মিথ্যে বলার কারণে নীলুকে বাড়ির থেকে বের করে দিয়েছে শৌর্য্য। এদিকে বাড়িতে এসেছি শৌর্য্যকে বারবার ফোন করতে শুরু করে নীলু। কিন্তু নীলুর ফোন একবারও ধরেনি শৌর্য্য। সেটা দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে সে। মনে মনে ঠিক করে নেয় সে শৌর্য্যকে ছাড়বে না। এমনকি রাইয়ের ক্ষতি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে নীলু। যে ভাবেই হোক রাইকে সুখ হতে দেওয়া যাবে না। এরকম পরিকল্পনা করেছে সে।
মিঠিঝোরা আজকের পর্ব ৭ জুন (Mithijhora Today Episode 7 June)
ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখা গেছে সার্থকের বাবার সঙ্গে রাস্তায় দেখে হয়েছে স্রোতের। স্রোতকে দেখে তিনি তাকে নিয়ে যান বাড়িতে। সার্থকের মায়ের মৃত্যুর কথা স্রোতকে জানান তিনি। স্রোত গিয়ে ফুল এবং ধুপকাঠি জানায় সার্থকের মায়ের ছবির সামনে। কিন্তু সেই মুহূর্তেই চলে আসে সার্থক। নিজের মায়ের ছবিতে মালা দেখে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেনি সে। রেগে গিয়ে সে মারতে ওঠে স্রোতকে। এরপর অপমান করে স্রোতকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় সার্থক।
এদিকে মনে মনে নীলু ঠিক করে নেয় রাইয়ের বিষয়ে অনির্বাণকে খারাপ কথা বলবে নীলু। অনির্বাণের বিষয়ে জানার জন্য বৌমণির সঙ্গেও কথা বলতে যায় সে। যদিও বৌমণি তাকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যদি রাই এবং অনির্বাণ চায় তাহলেই তাদের সম্পর্ক এগোবে, নাহলে নয়। এই বলেই বেরিয়ে যান বৌমণি। অপরদিকে বাড়ি ফিরে পড়তে বসে পড়ে স্রোত। কিন্তু পড়াশোনায় একবারেই মন লাগছিল না তার।
আরও পড়ুন: ফের ধারাবাহিক ছেড়েছেন রাহুল মজুমদার! কে হচ্ছেন হরগৌরী পাইস হোটেলের নতুন নায়ক? নাম জানলে চমকাবেন আপনিও
রাইয়ের নামে মিথ্যে বলতে গিয়ে অনির্বাণের কাছে ধরা পড়ল নীলু
বোনকে আনমনা দেখে তার সঙ্গে কথা বলতে চলে যায় রাই। রাইকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে স্রোত। রাই জানায় সব ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু তার আগে ভালো করে পড়াশোনা করে স্রোতকে ভালো নম্বর পেয়ে পাস করতে হবে। এই বলেই রান্না ঘরে চলে যায় রাই। এদিকে রাইকে ঘরে না দেখে রাইয়ের ফোন থেকে অনির্বাণের নম্বর নিয়ে নেয় নীলু। কিন্তু রাইয়ের ফোন হাতে নীলুকে দেখে ফেলে স্রোত। যদিও তখন সে কিছুই বলেনি নীলুকে। এরপর অনির্বাণকে ফোন করে রাইয়ের বিষয়ে নানা খারাপ খারাপ কথা জানায় নীলু। যদিও অনির্বাণ জানিয়ে দেয় সে রাইকে বিশ্বাস করে। নীলু কি বাধা সৃষ্টি করতে পারবে রাই আর অনির্বাণের ভালোবাসায়?