পর্ণার বুদ্ধিতে বাজিমাত! খুঁজে পাওয়া গেল ডাইরির সেই পাতা, এবার ইশা হবে আরও কোণঠাসা

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধু (Neem Phuler Madhu)। পর্ণার স্মৃতি ভ্রষ্ট হলেও সে এখন আবার একটা ভালো জার্নালিস্টের কাজ করছে। তদন্ত করে নিউজের জন্য নানান তথ্য জোগাড় করছে। পর্ণার বুদ্ধিতে প্রশংসিত সকলেই‌। এবার তাই দর্শকদের জন্য আরো কিছু ধামাকাদার পর্ব আসছে জি বাংলায়। টিআরপি রেটিংয়ে এই ধারাবাহিক বরাবরই ছক্কা হাঁকায়।

নিম ফুলের মধু আজকের পর্ব ১৪ জুলাই (Neem Phuler Modhu Today Episode 14 July)

সম্প্রতি নিম ফুলের মধু (Neem phuler madhu) ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে, ‌ একটি গাড়ির একসিডেন্টে বুবাই কোমায়। পর্ণার শ্বশুরবাড়িতে নেমে এসেছে দুঃখের ছায়া। তবে পর্ণা কথা দিয়েছে সে চেষ্টা করে দেখবে। তদন্ত করে কোন তথ্য খুঁজে বার করবে। এত বড় একটি নিউজ লাইভ টেলিকাস্ট করা নিয়ে সমস্যা বাঁধে। পর্ণা যে এফআইআর এর ডাইরি খুঁজে বের করেছিল, যার একটি পাতা মিসিং। সেই পাতার খোঁজ চালাতে থানায় ঢুকেছে পুঁটি। তাকে বলা হয়েছে ওয়েস্ট বাস্কেটে যা পড়ে রয়েছে সমস্ত একটা বস্তায় ভরে নিয়ে চলে আসার কথা। থানা পরিস্কারের নাম করে ঢুকে ইতিমধ্যেই পুঁটি সেসব কাগজ বস্তায় ভরে নিয়েছে।

parna isha

এই ধারাবাহিকের (Neem phuler madhu) আগামী পর্বে দেখা যাচ্ছে, পুঁটি বেরিয়ে গেছে থানা থেকে। কিন্তু ইশা বুঝতে পেরে গেছে যে পর্ণা দত্ত বাড়ির মেয়েকে দিয়েই এই কাজটা করিয়েছে। মেয়েটাকে দত্ত বাড়িতে খুঁজতে গেলে, খুঁজে পায় না পুলিশ। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে কোথায় লুকিয়ে রেখেছে পুঁটিকে। পর্ণা লক্ষ্মী ঠাকুর সাজিয়ে ঠাকুর ঘরে দাঁড় করিয়ে রেখেছে পুঁটিকে। অফিসার ঠাকুর ঘরে ঢুকলে বলে যে যেন জ্যান্ত লক্ষ্মী ঠাকুর। দত্ত বাড়িতে সকলে ভয় পেয়ে যায় তবে কি বুঝতে পেরে গেল।

উল্লেখ্য, দত্ত বাড়ির লোকেরা বলে, আমাদের মা লক্ষ্মী ভীষণ জাগ্রত যা চাইবেন তাই পাবেন। পুলিশ অফিসার নিজের প্রোমোশন চেয়ে নেয় জ্যান্ত মা লক্ষ্মীর থেকে। তবে একবারের জন্যও বুঝতে পারে না ওটা লক্ষ্মী প্রতিমা নয় ওটা সেই বাচ্চা মেয়েটা তাকে তিনি খুঁজছেন। পর্ণা জিজ্ঞেস করে আপনার হয়ে গেছে খোঁজা। এদিকে পুলিশ অফিসার পর্ণাকে বলে, আচ্ছা মহিলা আপনি, মেয়েটাকে গায়েব করে দিলেন।

প্রসঙ্গত, পুলিশ অফিসার চলে যায়। খুঁজে না পেয়ে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে ইশার কাছে অনেক কথা শুনতে হয় অফিসারকে। কিন্তু অফিসার স্পষ্ট জানান যে পর্ণা-সৃজনকে গ্রেফতার করার কোন উপায় ছিল না কারণ মেয়েটাকেই তারা খুঁজে পায়নি। পুলিশ চলে যেতে বস্তার মধ্যে যে কাগজগুলো থানা থেকে তুলে এনেছে পুঁটি, সেখান থেকে সেই ১০৭ নম্বর ডায়রির পাতাটা খুঁজতে থাকে তারা। এদিকে এত কাগজ দেখে চিন্তায় পড়ে যায় হাতে মাত্র আর অল্প সময় এর মধ্যেই এত কাগজ থেকে ওই গুরুত্বপূর্ণ কাগজটা কিভাবে খুঁজে বের করবে তারা। পর্ণা জগন্নাথ ভক্ত, বারবার জগু দাদাকে স্মরণ করতে থাকে।

আরও পড়ুনঃ কেউ স্ক্রিপ্ট পড়ায় জোর দেয়না, এখন সব অভিনয় ছেড়ে টিআরপি দেখছে! সিনিয়রদের সম্মান টুকু করেনা! অকপট শঙ্কর চক্রবর্তী

পর্ণা সবাইকে বলে যে কাগজগুলো দরকারই নয় সেগুলো তারা ফেলে দিতে থাকে, ওই পেপারটা কে কি বলে কিন্তু একটা কার্বন পেপার কিছুতেই বাইরে পড়ছে না তবে কি জগু দাদার লীলা। পর্ণা বুঝতে পারে নিশ্চয়ই এই কার্বন পেপারে কিছু লেখা রয়েছে। অবশেষে তারা খুঁজে পেয়ে যায় ডায়েরি সেই ১০৭ নম্বর পাতা। ঘড়িতে আটটা বেজে গেছে সময় শেষ শেষ মুহূর্তে অফিসের বসকে ফোন করে জানায় যে সেই মূল্যবান কাগজ এখন পর্ণার হাতে। এবার লড়াই হবে টক্করে টক্করে। কি হবে নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকের (Neem phuler madhu) আগামী পর্বে, জানতে হলে দেখতে হবে ধারাবাহিকটি।

Back to top button