Gouri Elo: ‘গৌরী এলো’র গল্প পুরোপুরি টুকে নেওয়া হল প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ের ‘দেবী’ থেকে! দর্শক কি এতই বোকা যে তারা বুঝতে পারবে না! মন্তব্যের ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়
বাংলা টেলিভিশনের এই মুহূর্তে জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল জি বাংলার ‘গৌরী এলো’। এই ধারাবাহিক গড়ে উঠেছে হিন্দু ধর্মের পৌরাণিক কাহিনীর উপর ভিত্তি করে। ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র ঈশান এবং গৌরী দুজনেই হরগৌরীর আশীর্বাদ ধন্য। কিন্তু ঈশান একজন শিক্ষিত ডাক্তার হওয়ার ফলে সে এই সবে বিশ্বাস করে না কিন্তু উল্টো দিকে গৌরী গ্রামের সহজ সরল মেয়ে আর সে ঠাকুরের অলৌকিক ক্ষমতার ওপর বিশ্বাসী। এই নিয়েই গল্প গড়ে উঠেছিল প্রথম থেকে এবং তারপরে ঈশান এবং গৌরীর বিয়ে হয়।
ঈশান এবং গৌরীর বিয়ের পরে বেশ কিছু দিন কেটে যাওয়ার পর তাদের দুজনের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয় এবং তাদের জুটিকে বেশ পছন্দ করছিল দর্শক। সম্প্রতি তাদের দুজনের ফুলশয্যা দেখানো হচ্ছে ধারাবাহিকে। কিন্তু আসন্ন কালীপুজোয় বিশেষ পর্বে দেখানো হতে চলেছে যে ঈশান এবং গৌরীর ফুলশয্যার দিন ঈশানের ছোট দাদু হঠাৎ ঘরে ঢুকে আসে এবং সে বলে যে গৌরী মা কালীর অংশ। এবং সে এতদিন তাকে বুঝতে পারিনি এখন বুঝতে পেরে সে তাকে দেবীর আসনে বসাতে চায়। আর সেই মতো তাকে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে লাল পেড়ে সাদা শাড়ি পরিয়ে গলায় ফুলের মালা দিয়ে পূজার্চনা করে। উল্টোদিকে ঈশান সবকিছু দেখে অবাক হয়ে যায়।
View this post on Instagram
এই প্রমো প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ধারাবাহিকের গল্প নিয়ে বহু সমালোচনা উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। অনেকেই বলছে যে প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ের ‘দেবী’ ছবির গল্প টুকে দিয়েছে ‘গৌরী এলো’ ধারাবাহিকে। তার কারণ ‘দেবী’ গল্পতেও এমনটাই দেখানো হয়েছিল যে নায়িকার শ্বশুর স্বপ্নাদেশ পায় যে সে দেবীর অংশ। এবং তাকে মন্দিরে দেবীর আসনে বসানো হয়, পরে তার স্বামী এই ভুল প্রথা বন্ধ করতে চাইলেও তারা সেটা করতে পারে না।
এবার সম্প্রতি ‘গৌরী এলো’তে আরও একটি নতুন প্রমো প্রকাশ করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে ঈশানের ছোট দাদু জোর করে গৌরীকে মন্দিরে বসিয়ে পূজো করছে কিন্তু গৌরী বলছে সে কোন দেবী নয়, সে মা কালীর এক ভক্ত। কিন্তু তা সত্বেও সবাই তাকে দেবী হিসেবে পূজিত করতে চাইছে। আর এই প্রমো প্রকাশ করতেই নেটিজেনরা ‘গৌরী এলো’র বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে এই ধারাবাহিকের লেখক ভেবেছিল যে সে ‘দেবী’ গল্প থেকে ‘গৌরী এলো’র গল্প টুকে দেবে কিন্তু কেউ ধরতে পারবে না। কিন্তু দেবী গল্পটি এতটাই পরিচিত যে বাংলার দর্শক তা ধরে ফেলেছে।