শহরের অলিগলি থেকে সমাজ মাধ্যম সর্বত্র চর্চার কেন্দ্রে থাকে নন্দিনীদি ও তাঁর পাইস হোটেল। এমনকি সুদূর বাংলাদেশ থেকেও অনেকেই চেখে দেখতে আসেন তাঁর হাতের খাবার। মা অন্নপূর্ণার কৃপায় দুপুরের তিনটের মধ্যেই সাফ হয়ে যায় তাঁর হোটেলের হাঁড়ি। শীঘ্রই বড় পর্দায় অভিষেক ঘটতে চলেছে স্মার্ট দিদির। তাও আবার নাকি অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সহ অভিনেত্রী হিসেবে।
কিন্তু তাঁকে টেক্কা দিতেই কয়েকদিন আগে ময়দানে কোমর বেঁধে নেমেছিলেন দুই বোন, তাঁদের নতুন পাইস হোটেল নিয়ে। নন্দিনীদিকে নিয়ে প্রশ্ন করতেই এক বোন মিষ্টি জানিয়েছিলেন, “কে নন্দিনী দি? আমরা তাঁকে চিনি না। তাঁকে বলুন এসে আমাদের আশি টাকার মাংস ভাত খেয়ে যায় যেন।”
উল্লেখ্য, নন্দিনীদির পাইস হোটেলে যে পাঁঠার মাংসের থালির দাম ২২০ টাকা। তা এখানে মিলছে মাত্র আশি টাকায়! আজকের বাজারে মাত্র ৮০ টাকায় কি করে ব্যবসা করছেন দুজন? উত্তরে রান্না করতে করতেই ছোট বোনের দাবি, “লাভ-ক্ষতি জানি না। দিদি সবটা দেখে। দিদি বলেছে অত লাভ ক্ষতি ভাবতে হবে না। যা পারবি সেই দামেই লোককে খাওয়াবি।”
তিনি আরও জানান, “নন্দিনীদি ক’দিন দোকান করছে।” দুই বোনের ব্যবসা প্রায় কুড়ি বছর পুরোনো। মিষ্টিদির মত, তাঁরা পড়াশোনা না করে থাকতে পারেন। কিন্তু মানুষকে সন্মান করেন। তাই তাঁদের দোকানে এলে মারপিঠের সম্ভবনাই নেই।
প্রসঙ্গত, ভাইরাল ভাতের হোটেলের মালকিন নন্দিনীর পড়াশোনা করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে। বেঙ্গালুরুর এক হোটেলে চাকরিও করতেন নন্দিনী ওরফে মমতা। কিন্তু করোনার সময়ে বাবা-মার সঙ্গে এই দোকান চালানোর স্বপ্ন নিয়ে সব ছেড়ে কলকাতা চলে আসেন। যদিও সূত্রের দাবি দোকানটি তাঁদের নিজের নয় ভাড়ার। দিদির স্বপ্ন, দোকান চালিয়ে টাকা জমিয়ে নিজেদের রেস্তোরাঁ তৈরি করবেন তিনি।