চলতি সময়ে রাই এবং অনির্বাণের বিয়ের চমক নিয়েই জমে উঠেছে জি বাংলার (Zee Bangla) মিঠিঝোরা (Mithijhora) ধারাবাহিকের কাহিনী। গোটা সপ্তাহ ধরেই চলছে বিয়ের ট্র্যাক। অবশেষে রাইকে নিজের মনের কথা জানিয়ে দিয়েছে অনির্বাণ। প্রথমে অনির্বাণের কথার অর্থ বুঝতে না পারলেও পড়ে স্রোতের মুখ থেকে সবটা শুনে অনির্বাণকে কাছে টেনে নিয়েছে রাইও।
দিদির বিয়ে ভাঙার চেষ্টায় মশগুল বোন, প্রেমিকার বিয়েতে সম্মতি জানাল শৌর্য্য
এমনকি বড় মেয়ের বিয়েতে মত দিয়েছেন নন্দিতাও। কিন্তু রাইয়ের বিয়ের কথা শুনে একমাত্র খুশি হয়নি মেজ বোন নীলু। দিদি বিয়ে করে সুখে শান্তিতে থাকবে আর সে বাপের বাড়িতে থাকবে এই বিষয়টা একেবারেই হজম হচ্ছে না তার। তবে সম্প্রতি ধারাবাহিকের পর্দা দেখে বেশ চমকে গেছেন দর্শকরা। একদিকে যেখানে দিদির বিয়ে ভাঙার তাল করছে নীলু সেখানেই প্রেমিকার সঙ্গে দাদার বিয়েতে সম্মতি দিয়েছে শৌর্য্য।
ধারাবাহিকে দেখা যায় অনির্বাণ গিয়েছে শৌর্য্যর বাড়িতে। পুরোনো সমস্ত ঝামেলা মিটিয়ে রাইয়ের সঙ্গে তার বিয়ের কথা শৌর্য্যর পরিবারকে জানায় অনির্বাণ। কিন্তু অনির্বাণ রাইকে বিয়ে করেছে শুনেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে ডোরা বৌদি আর সুচিস্মিতা। সুচিস্মিতা বলেন ‘এতবার করে তোকে বারণ করার পরও তুই সেই রাইকেই বিয়ে করছিস!’ ডোরা বৌদি তো একথাও বলেন যে অনির্বাণের উচিত ফ্রেস মেয়েকে বিয়ে করা।
রাই অনির্বাণের বিয়ের কথা জেনে কি বলল শৌর্য্য?
তবে গোটা পরিবার যেখানে রাই আর অনির্বাণের বিয়ের বিরুদ্ধে সেখানে ভালোবাসার পাশে এসে দাঁড়ায় শৌর্য্য। গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে বুকে পাথর চেপে সে দাদাকে জানায় “আমি সেদিনের বিষয়টা ভেবে দেখলাম। আমি সেদিন যা করেছি সেটা আমার একদম করা উচিত হয়নি। আমি লজ্জিত! আমি জানি দাদা তুই রাইয়ের জন্য একদম পারফেক্ট। তোদের অভিনন্দন।”
আরও পড়ুন: ইরার পাতানো দাদা আদৌও দাদা নয়! দুজনের গোপন সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনল সূর্যই!
অসম্মান বা অমর্যাদা নয়, রাইয়ের ভালোবাসাকে সম্মান করে রাই আর অনির্বাণের সম্পর্ক মেনে নিল শৌর্য্য
রাই অনির্বাণের সম্পর্ক শৌর্য্যের সামনে আসার পর অনেকেই ধারণা করেছিলেন এবার হয়ত খল চরিত্রে দেখা যাবে শৌর্য্যকে। রাইয়ের সঙ্গে অনির্বাণের বিয়ে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করবে সে। কিন্তু না এমন কিছুই করেনি শৌর্য্য। বরং রাইয়ের তিক্ত ব্যবহার এবং ধোঁকার কথা ভুলে গিয়ে একজন প্রকৃত প্রেমিক হয়ে ভালোবাসার মানুষের ভালোটাই চেয়ে গেছে সে। শৌর্য্যর ব্যবহার দেখে মনে পড়ে যায় ইমরান খানের সেই জনপ্রিয় সংলাপ “ভালবাসতাম তাই যেতে দিলাম, জেদ হলে ধরে রাখতাম”। কোনকিছুর প্রত্যাশা না করে রাইকে ভালোবেসে শুধু প্রেমিকার ভালোটাই চেয়ে গেছে শৌর্য্য। প্রেমিকাকে নিজের দাদার স্ত্রী হিসেবে দেখা একবারই সহজ ছিল না তার পক্ষেও। কিন্তু তবুও কোনরকম ঝামেলা না করে ভালোবাসাকে প্রকৃত মর্যাদা দিয়েছে সে। শৌর্য্যর ব্যবহার দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেট দুনিয়ায় সদস্যরা। অনেকেই বলেছেন “সমস্ত প্রেমিকদের এরকমই হওয়া উচিত। এরকম ঘটনায় প্রথমে খারাপটাই করার কথা ভাবে কিন্তু শৌর্য্য যেটা করেছে! তাকে সম্মান না জানিয়ে পারলাম না।”