স্টার জলসার (Star Jalsha) ওম এবং শ্রাবণের প্রেমকাহিনী মন ছুঁয়ে যাচ্ছে দর্শকদের। লাভ বিয়ে আজ কাল ধারাবাহিকেরও আসছে চমক। ইতিমধ্যেই বিয়ে হয়েছে ওম শ্রাবণের তবে এবার আর কাগুজে বিয়ে নয়, সত্যিকারের বিয়ে। দাদুর কথায় শ্রাবণও ঘোষ বাড়ির সব দায়দায়িত্ব তুলে নিয়েছে নিজের কাঁধে। দাদুকে কথা দিয়েছে সে, এক করবে ঘোষ বাড়িকে। সেই মতোই কাজও করছে সে। ভিকে বাড়ির থেকে বের করে দিয়েছে শ্রাবণ।
নতুন মাকেও সকলের সামনে দোষী সাব্যস্ত করে শ্রাবণ। জেল বন্দিও হন তিনি। কবে আবার শ্রাবণের কাজে অবাক ঘটা ঘোষ বাড়ি, সেই নতুন মাকে ঘিরে এত সমস্যা সেই নতুন মাকেই জেল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছে শ্রাবণ। তার ক্রমকান্ডে হতবাক সবাই। ওমের মায়ের মতোই সাজিয়ে নতুন মাকে বাড়ি নিয়ে আসে শ্রাবণ। দাদু শ্রাবণকে প্রশ্ন করে কেন সে নতুন মাকে ছড়িয়ে নিয়ে এসেছে?
দাদুর প্রশ্নের উত্তরে শ্রাবণ বলে প্রত্যেকেরই একটা সুযোগ পাওয়া দরকার আর ঘোষ বাড়িকে একজোট করতে নতুন মাকেও ফিরিয়ে এনেছে সে। তবে বাস্তবে মৃত্তিকা এই শাড়ি পড়তে চাইনি কিন্তু শ্রাবণ তাকে হুমকি দেয় যে এই শাড়ি না পড়লে সে কেস তুলবে না তাই বাধ্য হয়ে সে এই শাড়ি পরে ঘোষ বাড়িতে এসেছে। তখনই শ্রাবণ সানায়াকে ডাকে।
সানায়া এসে তার মাকে দেখে খুশি হয়, সে যখন জানতে পারে শ্রাবণ তার মাকে ছড়িয়ে এনেছে তখন সে মৃত্তিকাকে সানায়াকে জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চায়, তারপর মৃত্তিকা ব্রজমোহন ঘোষের কাছেও ক্ষমা চান এবং বলেন তিনি বদলে গেছেন কিছু ব্রজমোহন সে কথায় বিশ্বাস করেনা আর শ্রাবণ বলে এটাই ওনার শেষ সুযোগ।
দাদু যাবার পর রানু শ্রাবণের কাছে অনুরোধ করে যে ঋষিকা আর অনুভবের বিয়ের আগে ঋতকে ফিরিয়ে আনতে যদিও কাকা তাকে থামানোর চেষ্টা করে কিন্তু ওম বলে শ্রাবণ যখন বাড়ির সবাইকে এক করবে বলেছে তখন তার ঋতকেও ফিরিয়ে আনা উচিত। সেটা ভাবতে ভাবতে শ্রাবণ দাদুর কাছে যায় কিন্তু দাদু তাকে বিয়ে যেন ঠিক করে মেটে তার দায়িত্ব দেন। তারপর শ্রাবণকে রেকর্ডিং জন্য বের হতে দেখে ওম তাকে তাচ্ছিল্যভাবে বলে যে সে মল্লারের সাথে দেখা করতে যাচ্ছে।
তার কথায় কোনও উত্তর না দিয়ে বেরিয়ে যায় শ্রাবণ। গঙ্গার ধারে গানের রেকর্ডিংয়ের সময় শ্রাবণের মুখের ওপর চুল আসতে দেখে মল্লার সেটাকে সরিয়ে দেয় যা দেখে ওম আরও রেগে যায়। তখন শ্রাবণ মল্লারকে শিবের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে সে ব্রজমোহন ঘোষকে জিজ্ঞাসা করতে বলে, সে এও বলে ঘোষবাড়িতে অনেক রহস্য আছে। বাড়ি আসে শ্রাবণ দাদুকে বাড়ির চাবি ফিরিয়ে দেয়। তার কাছে কারণ জানতে চাইলে সে বলে তার কাছে সত্য গোপন করে সে এই বাড়ির লোকেদের এক করতে পারবে না।
দাদু তার কথা অস্বীকার করলে সে শিবের সাথে ঘোষবাড়ির সম্পর্কের ব্যাপারে দাদুকে জিজ্ঞাসা করে তার সাথে দাদু উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তখনই সেখানে উপস্থিত হয় ওম, দাদু তাকে সবটা বলে শ্রাবণকে সামলাতে বলে। তখন ওম শ্রাবণকে ওখান থেকে সরিয়ে নিয়ে কি প্রশ্ন আছে তার জিজ্ঞাসা করায় শ্রাবণ তাকে শিব আর বসুধার সম্পর্কের কথা জিজ্ঞাসা করে ওম থমকে যায়।
তাহলে কি মনে হচ্ছে আপনাদের কে এই শিব? কি সম্পর্ক তার ঘোষ বাড়ির সঙ্গে? বসুধার সঙ্গেই বা কি সম্পর্ক তার? কে এই মল্লার? উত্তর দেবে সময়