গল্পে টুইস্ট! পরিবারের ক’ল’ঙ্ক অয়নকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ায় পর্ণার প্রশংসায় পঞ্চমুখ কৃষ্ণা আর অখিলেশ!

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে (Neem Phooler Madhu) এসেছে দারুন মোড়। সৃজনের টিকিট চুরি করে অয়ন এবং সৃজনের খাওয়া টাকাগুলোও আত্মস্বাদ করে সে। তবে এইসব করেও স্বাদ মেটেনি অয়নকে। সকলকে সে জানিয়ে দেয় বাবার শ্রাদ্ধ করবে সে। সেটা শুনে সকলেই তাকে থামাতে যায় কিন্তু তাদের কারুরই কোনও কথা শুনে না অয়ন। তখন পর্ণাও সিদ্ধান্ত নেয় অয়নকে শাস্তি দেওয়ার। প্রথমে পরিকল্পনা করে তারা অয়নের মুখ থেকে সমস্ত সত্যি কথা বের কই ভিডিও করে নেয় কিন্তু একটি বাইকের ধাক্কায় সেই ফোনটি ভেঙে যায়।

পরেরদিন সৃজন আর পর্ণা সহ সকলে দেখে অয়ন অখিলেশ দত্তর শ্রাদ্ধ করছে। তখনই সবটা পরিকল্পনা করে নেয় পর্ণা। লটারির লোক এবং পুলিশ দিয়ে অয়নের ঘরে তল্লাশি করায় পর্ণা। কিন্তু সেখান থেকে কিছুই পাওয়া যায়না। পর্ণার এই পরিস্থিতি দেখে আনন্দে নাচতে থাকে অয়ন কিন্তু তখনই আসনে পিছলে সে পরে তুলসী তলায়। তুলসী গাছটাকে নিস্তেজ দেখে সন্দেহ হয় পর্ণার। সে বলে ওর নিজেই টাকা আসে আর সেটা শুনেই মুখ বেজাড় হয়ে যায় অয়নের। অয়নের মুখ দেখে মৌমিতা তাকে জিজ্ঞাসা করে ওর নিচেই টাকা আসে নাকি।

তখন অয়ন সম্মতি জানতে মৌমিতা তুলসী গাছ আকড়ে বলে তুলসী গেছে হাত দিতে গৃহস্থের অকল্যাণ হয়। সেটা শুনে জেঠু বলেন তারা কত গৃহস্থের কথা ভাবে! তখন অয়ন বলে তার বাবার শ্রদ্ধে সমস্যা তৈরি করার জন্য পর্ণা এইসব করছে। পর্ণা তাও না থামলে তাকে মারতে ওঠে অয়ন। তখনই তার হাত ধরে নেয় কৃষ্ণা। সে বলে কোন সাহসে সে তার ভাইয়ের বউয়ের গায়ে হাত তুলছেন। এই কথা বলে তিনি ধাক্কা মারে ফেলে দেন অয়নকে। সেটা দেখে অখিলেশ দত্ত বলেন বেশ করেছে কৃষ্ণা। পুলিশও ধরে নেয় মৌমিতাকে।

তখন সৃজনের সাহায্য নিয়ে সমস্ত টাকা বের করে পর্ণা। অয়ন বলে সৃজন আর পর্ণা তার টাকা চুরি করছে। লটারির লোকগুলো বলে তার নম্বরটা যদি ২৫ এর জায়গায় ৫২ হত তাহলে সব টাকা অয়ন পেত। সৃজন সেটা শুনে বলে এটা তার টিকিটের নম্বর। তার টাকা সৃজন পাচ্ছে দেখে অয়ন বলে এটা আসলে তার টিকিট সে সৃজনের ঘরে রেখেছিল। কিন্তু পর্ণা বলে প্রমাণ দিতে তখন মৌমিতা টিকিটের সঙ্গে তাদের তোলা ছবি দেখায় দেখায় সবাইকে। তখন অয়ন সবটা স্বীকার করলে সব সত্যি বলে পর্ণা।

আরো পড়ুন: কাঞ্চনকে বিয়ে করে আনন্দ ধরছেনা! ভেজা চুলে, গায়ে শুধু তোয়ালে জড়িয়ে উদ্দাম নাচ সদ্য বিবাহিতা শ্রীময়ীর! ভাইরাল ভিডিও

সবটা দেখে মনে মনে কৃষ্ণা বলেন এই মেয়ের দারুন বুদ্ধি আছে। আমার বাবুর ছেলে মাথায়ও যেন এরকমই বুদ্ধি থাকে। অখিলেশ দত্ত বলেন আমি পর্ণাকে দেখে বিশ্বাস করলাম মেয়েদের মাথায়ও বুদ্ধি থাকে। তার কোনও গোয়েন্দা বিভাগে যাওয়া উচিত। এইসব দেখে খুব রেগে যায় অয়ন। যে বুঝতে পারে পর্ণা তাকে বকা বানিয়ে সবটা স্বীকার করেছে। তারপর পুলিশকে পর্ণা বলে চলে যেতে। যাওয়ায় সময় সুনিতা অয়নকে বলেন তার ভাগ্য ভালো এইবারের লোক তাকে মানহানির অভিযোগে জেলে দিয়েন না। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের এবার কি আরও বড় কোনও সরজন্ত্র করবে অয়ন পর্ণাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য?