‘তোমাকে তো দুশো-তিনশো টাকা দিলেই কেনা যায়’! মাকে নোং’রা আক্রমণ পরাগ-পলাশের

বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এই মুহূর্তের নজরকাড়া ধারাবাহিকের নাম কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha) । দর্শকরা এই ধারাবাহিকটি দেখতে ভীষণ‌ই পছন্দ করছেন। আর করবেন নাই বা কেন? বাস্তবধর্মী গল্প দেখতে সবার‌ই ভালো লাগে। আর সেটাই হয়েছে এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। এই ধারাবাহিকের বাস্তবসম্মত গল্প মন কেড়ে নিয়েছে দর্শকদের।

উল্লেখ্য, প্রত্যেক সপ্তাহে প্রথম পাঁচে তো রয়েইছে ধারাবাহিকটি। তার ওপর আবার পরপর দু’সপ্তাহ টিআরপি তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে ফেলেছে এই ধারাবাহিকটি। দর্শকরা ভালোবাসছেন বলেই তো এটা সম্ভব হচ্ছে‌। আসলে ভীষণ রকমের বাস্তব থেকে গল্প আহরণ করা হয়েছে এই বাংলা ধারাবাহিকটি।‌ আর সেই কারণেই শুরুর দিকে বাস্তব মেনে নিতে দর্শকদের কিছুটা সমস্যা হলেও ধীরে ধীরে কিন্তু দারুণ রকম ভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে এই ধারাবাহিকটি। ‌ এই ধারাবাহিকের গল্প মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।

নারীদের উপর নি’র্যা’ত’ন নারীদের উপর অ’ত্যা’চা’র বা বধূ নি’র্যা’ত’ন সমাজের আজকের রোগ নয়। দীর্ঘদিন ধরে সমাজে সযত্নে লালন পালন হয়ে চলেছে এই রোগ। আর সেই রোগেরই শিকার বর্তমানে শিমুল হলেও তার শাশুড়িও কিন্তু প্রতিটা মুহূর্তে নিজের স্বামীর কাছে এই অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন।

এই ধারাবাহিকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং অসহায় চরিত্র শিমুলের শাশুড়ি তথা পরাগ পলাশের মা মধুবালা। শ্বশুরবাড়িতে দীর্ঘদিন অত্যাচারিত হয়েছেন। স্বামী, শাশুড়ি, ননদরা মিলে তাকে অত্যাচার করেছে। নিজের বিবাহিত জীবনে বৈবাহিক ধ’র্ষ’ণ থেকে বধূ নির্যাতনের শিকার তিনি। আর ছেলেদের কাছে তিনি শুধুমাত্রই সংসার ঠেলে যাওয়ার একটি যন্ত্র মাত্র। মায়ের ভালো লাগা খারাপ লাগা কোন কিছুতেই তাদের কিছু আসে যায় না। স্বামী কোনদিনও সুখ দেয়নি, দুই ছেলের স্বার্থে বিন্দুমাত্র আঘাত লাগলে তারা মাকে যাচ্ছেতাই ভাবে অপমান করে।

তবে তাকে দুহাত বাড়িয়ে আপন করে নিয়েছে তার ছেলের বউ শিমুল। শিমুলের ভালোবাসায় তার আগল ভেঙেছে। বাইরের শক্ত মোড়কটা ভেঙে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে বাইরের নরম মনের মানুষটা।

শিমুল পরাগের থেকে টাকা নিয়ে পুতুলের জন্য রেখেছে জেনে মধুবালা দেবী খুশি হলেও একেবারেই খুশি হতে পারেনি পরাগ-পলাশ। এই ঘটনা জানতে পেরে তারা মধুবালা দেবীকে বলে, শিমুল তোমাকে কি টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে? তোমায় তো দুশো তিনশো টাকা দিয়ে কেনা যায়। একথা শুনে অবাক হয়ে যান মধুবালা। এই রকম অপমান ছেলেদের থেকে তিনি আশা করেননি।

You cannot copy content of this page