নিজের মা, ব্যাঙবাবু, শাশুড়ি সবাইকে তুই করে ডাক! টপার আলতা ফড়িংয়ের মুখে এই তুই-তোকারি আর সহ্য করতে পারছেন না নেটিজেনরা,’ওকে শিক্ষা দাও’,উঠছে দাবি
বর্তমানে টিআরপি রেটিংয়ে একদম শীর্ষস্থানে রয়েছে স্টার জলসার আলতা ফড়িং।ধারাবাহিক শুরু হয়েছে অনেকদিন হলো। মূলত জিমনাস্টিক নিয়ে তৈরি এই ধারাবাহিক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিন্তু খুব একটা কেউ আলোচনা করেন না অথচ টিআরপি রেটিং তালিকায় আলতা ফড়িং কোনদিনও ১ থেকে ৫ এর বাইরে বের হয়নি। গত সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো টপার হয়েছে আলতা ফড়িং।
তবে এই ধারাবাহিক নিয়ে দর্শকদের মনে একটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমনিতে গল্প খুব ভালো। টানটান উত্তেজনা রয়েছে এবং এখানে যিনি নায়িকা অর্থাৎ খেয়ালী মন্ডল অভিনীত ফড়িং চরিত্রটি একদম ন্যাকামি করে না। ভীষণ স্পষ্টবাদী। অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আর এবার সে জানতে পেরেছে তার নির্মল মামাই হলো তার বাবা। নিজের মা রাধারানীকে সে সবার সামনে নিয়ে আসবে এবং জানাবে যে কিভাবে তার মায়ের সঙ্গে অন্যায় করে ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি থেকে বার করে দেওয়া হয়েছিল।
তাহলে ফড়িংকে নিয়ে এত রাগ কেন? আসলে ফড়িং এর একটা স্বভাব হলো সবাইকে তুই-তোকারি করে। নিজের মাকে তুই বলে, নিজের স্বামী ব্যাঙ বাবুকে তুই বলে, আবার নিজের শাশুড়ি মাকেও তুই বলে। এই জিনিসটা মেনে নিতে পারছেন না নেটিজেনরা।
তারা বলছেন যে সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু ফড়িংয়ের মুখে এই বড়দের তুই-তোকারি ডাক একদম ভালো লাগেনা।ফড়িং অশিক্ষিত হতে পারে গ্রামের মেয়ে হতে পারে কিন্তু কোন অশিক্ষিত গ্রামের মেয়ে বড়দের তুই তোকারি করে?বাংলা কিছু সম্প্রদায় রয়েছে যাদের মধ্যে তুই-তোকারি ডাকটার চল রয়েছে কিন্তু তারাও শহরের মানুষদের সব সময় তুই তোকারি করে না। সেখানে দাঁড়িয়ে ফড়িং তো সেই সম্প্রদায়ের মানুষ নয় তাহলে হরিণ কেন বড়দেরকে তুই-তোকারি করবে? বলছেন যে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের একটু নজর দেওয়া উচিত এই দিকে এবং ফড়িংকে তুমি বলতে শেখানো উচিত।