জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ফুলকি (Phulki)। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় রুদ্র যখন পুরোপুরি উড়ালপুল ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় ফেঁসে যায় তখন সে ঠিক করে সে যেভাবেই হোক নিজেকে বাঁচাবে। তাই রায় চৌধুরী বাড়িতে ডাকা মিটিংয়ে সে তার সাথে আরও দুজনকে নিয়ে হাজির হয় এবং তারা বলে , রুদ্র নয়, মাস্টারমশায়ের পদত্যাগ করা উচিত কারণ মাস্টারমশায়ের বয়স হয়েছে। এরকম বয়স্ক মানুষের আর রাজনীতিতে প্রয়োজন নেই। যেটা শুনে ভীষণভাবে ভেঙে পড়ে রোহিতের জেঠুমনি।
ফুলকি আজকের পর্ব ২২ সেপ্টেম্বর (Phulki today full episode 22 September)
আজকের পর্বের শুরুতে দেখা যায় ফুলকি প্রথম থেকে হৈমন্তীকে বোঝাতে থাকে যে জেঠুমনির এই বিপদের দিনে সবার আগে তার পাশে গিয়ে দাঁড়ানো উচিত, না হলে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়ে যাবে এবং জেঠুমনিও আরও ভেঙে পড়বে। অন্যদিকে হৈমন্তীকে নিজের বাড়ি থেকে যেতে দিতে নারাজ রুদ্র। হৈমন্তীকে দিয়ে এই মাস্টারমশাইয়ের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার বড় ছক কষেছিল সে। কিন্তু ফুলকি হৈমন্তীকে পুরোটা বুঝিয়ে বলে আর হৈমন্তী রুদ্রকে বলে ওই বাড়ি যেতে চায়। রুদ্র বলে মা আমি তোমাকে কিছুতেই ওখানে যেতে দেব না।
হৈমন্তী তখন বলে, দেখো রুদ্র, আমি একবার মাস্টারমশাইকে দেখে আসি, আমার ব্যাগপত্র তো এখানে থাকলোই! আমি আবার ফিরে আসব। রুদ্র তখন বলে, আমি কিন্তু তোমার জন্য অপেক্ষা করব মা। এরপর ফুলকি রোহিতরা সবাই মিলে হৈমন্তীকে নিয়ে চলে যায়। লাবু তখন রুদ্রকে বলে, তুমি আর কিছুই করতে পারবে না, তুমি ফুলকি, রোহিতের কাছে হেরে যাবে বারবার। এরপর রুদ্র লাবুকে শাসাতে গেলে লাবু রুদ্রকে পাত্তা না দিয়ে চলে যায় যেটা দেখে রিকি বলে দেখলে দাদা বৌদিও ফুলকির জন্য আজকাল কেমন হয়ে গেছে!
এরপর রায় চৌধুরী বাড়িতে মাস্টারমশাই তো ঘরে দরজা দিয়ে বসে আছে। হৈমন্তী গিয়ে ডাকে। তখন মাস্টারমশাই বলে, তুমি তো আমাকে ত্যাগ করে দিয়ে চলে গিয়েছিলে আবার এসেছ কেন?- হৈমন্তী তখন বলে দেখেছো সানু তোমার দাদা কী বলছে? হৈমন্তী তখন বলে, আমার বাড়ি আমি এসেছি। এরপর ফুলকিরা বুঝতে পারে যে জেঠুমনি আর জেঠিমনিকে একটু আলাদা কথা বলতে দেওয়া উচিত! তাই তারা ঘর থেকে বেরিয়ে যায় এরপর হৈমন্তী মাস্টারমশাইকে বলে তুমি এই কদিনে নিজের কী অবস্থা করেছ বলো তো? শরীরটার কী দশা হয়েছে! একদম ভেঙে পড়েছো! নিজেকে একটু সামলাও।
মাস্টারমশাই তখন বলে জানো যে রুদ্রকে নিজের হাতে রাজনীতি শিখিয়েছি, সে আজ আমাকে রাজনীতি থেকে বাতিল করে দিচ্ছে, বলছে আমার বয়স হয়েছে! জেঠিমনি তখন বলছে রুদ্র তো ঠিকই বলেছে তোমাদের তো সত্যি বয়স হয়েছে! জেঠু মনি তখন হৈমন্তীকে সবটা বলে আর হৈমন্তীও তখন বুঝতে পারে রুদ্র সত্যি সত্যি খারাপ কিছুর সাথে যুক্ত হয়েছে, এরপর জেঠিমনি বাইরে এসে সানুকে বলে, রুদ্রর বাড়ি থেকে তার ব্যাগপত্র নিয়ে আসতে। ওদিকে লাবু ফুলকিদের ফোন পেয়ে তার মায়ের ব্যাগ পত্র সব গোছাতে শুরু করে যেটা দেখে রুদ্র রেগে যায়।
আরও পড়ুনঃ সোনা, রূপার মতোই বড় হচ্ছে বীর! ‘অনুরাগের ছোঁয়ায়’ বীরের চরিত্রে দেখা যাবে কাকে? নাম জানলে চমকে উঠবেন
কিন্তু লাবু বলে তোমার আর কিছু করার নেই, মা ওখানে থাকবে বলেই ঠিক করেছে। আমার মা নিজের সংসারে ফিরে গেছে। তুমি আর মাকে আটকে রাখতে পারবে না। এরপর ফুলকি রোহিত এসে হৈমন্তীর ব্যাগপত্র সব নিয়ে যায়, ফুলকি তখন বলে, জামাইবাবু আপনি কিন্তু হেরে গিয়েছেন, রুদ্র খুবই রেগে যায় আর লাবুকে বলে আমি ফুলকিকে দেখে নেব। লাবু তখন বলে আমার ভাই আর ফুলকির গায়ে হাত দিতে গেলে আমি তোমার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়াব, রুদ্র তখন নিজেকে বোঝায় তাকে নিজের রাগ কমাতে হবে।