Anirban is falling in Love with Rai: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরায় (Mithijhora) রাই আর স্রোতের জীবনে আসছে নতুন মোড়। ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে অপমান করে রাইকে(Rai) চলে যেতে বলেছে অনির্বাণ(Anirban)। তারপরই সবটা ভেবে খানিকটা অনুশোচনায় পড়ে যায় অনির্বাণ। সে ভাবতে থাকে সত্যিই তো রাই কিছু করেনি। সে মুহূর্তেই অনির্বাণের জন্য খাওয়ার নিয়ে আসে তার কর্মচারী। অনির্বাণ তাকে বলে আরও একটা প্লেট টেবিলে রাখতে আর রাইকে ডেকে দিতে।
রাইকে নাম শুনে অনির্বাণের কর্মচারী অনির্বাণকে বলেন “জানেন স্যার রাই ম্যাডাম খুব ভালো। উনি সবার খেয়াল রাখেন। আগের দিন আমার জ্বর এসেছে শুনে আজ আমার খোঁজ নিয়েছিলেন যে আমি সুস্থ আছি কিনা। কিন্তু কিছুক্ষণ আগেই ম্যাডামকে দেখলাম কান্নাকাটি করতে। আমিও জিজ্ঞাসাও করেছিলাম। কিন্তু ম্যাডাম কিছু বলেননি।” এই কথা শুনেই খারাপ লাগে অনির্বাণের। ওদিকে স্রোতের বন্ধুরা স্রোতকে বলে সার্থক স্যার কেন স্রোতের সঙ্গে এরকম ব্যবহার করছেন সেটাই বোঝা যাচ্ছে না।
তখনই একজন বলে “আসলে স্যার তার অতীতের কথা এখনও ভুলতে পারেননি। আসলে স্যার যখন বিদেশে ছিলেন তখন স্যারের মা অসুস্থ হয়ে পড়েন কিন্তু স্যারের বাবা স্যারের মাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি। তাই স্যার তার বাবার ওপর রেগে আছেন। তারপর স্যারের জীবনে একজন মেয়েও এসেছিল কিন্তু সেও স্যারকে ঠকিয়ে চলে যায়। তারপর থেকেই স্যার এরকম হয়ে গেছে।” পিছনে দাঁড়িয়ে এইসব কথাই শুনে নেয় সার্থক। তিনি ভাবে “আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তুমি এরকম করছ তো, আমি তোমায় এখানে টিকতেই দেব না।”
এই কথা ভেবেই সকলের সামনে যায় সার্থক। আর সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের বলেন তারা এখানে কি করছে। তখন স্রোত বলে তারা এখানে কোন খারাপ কাজ করছে না। হ্যাঁ তার ব্যক্তিগত জীবনে নিয়ে কথা বলেছে সেটা ভুল কিন্তু আর কিছু নয়। তখনই সার্থক স্যার স্রোতকে বলে তিনি থাকতে কিছুতেই স্রোতকে এই কলেজে টিকতে দেবেন না। ওদিকে রাই অনির্বাণের কেবিনে গেলে অনির্বাণ রাইকে তার সঙ্গে খাওয়া খেতে বলে।
অনির্বাণ বলে সে তার অতীতের কারণে রাইকে এই সব বলে ফেলেছে। সে ক্ষমা প্রার্থী। কিন্তু এই তাকে জানিয়ে দেয় সে তার সঙ্গে এইভাবে রোজ রোজ খাওয়া খেতে পারবে না।
আরো পড়ুন: “ইউটিউবে নাচ না শিখে গুরুর কাছে যান!” বর্তমান সমাজের অবস্থা নিয়ে মুখ খুললেন শিল্পী তনুশ্রী শঙ্কর
এতে সবাই ভুল বুঝবে। তখন অনির্বাণ রাইকে বলে কেউ কিছুই ভাববে না। তখনই রাইয়ের খাওয়ারের ব্যাগে একটা কাগজ দেখে অনির্বাণ। রাই তাকে বারণ করে ওটা দেখতে কিন্তু অনির্বাণ কোন কথা না শুনে কাগজটা বের করে দেখে ওটা বিল। তখন রাই বলে “আমি আপনার জন্য রান্না করছিলাম তাই বাড়িতে বলেছে আমি আপনাকে খাবার খাইয়ে বশ করতে চাই। তবে আপনি এগুলো ভালোবাসেন, আর আমি খাওয়াবো না। তাই নিয়ে এসেছি। আমি টাকা পেলে দোকানে দিয়ে দেবো।” তখন অনির্বাণ করুণভাবে করজোড়ে রাইয়ের কাছে ক্ষমা চায়। যেটা দেখে বোঝাই যাচ্ছে রাইকে ভালোবেসে ফেলেছে অনির্বাণ। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের রাইকে নিজের মনের কথা কি বলবে অনির্বাণ?