ঢাক-উলুধ্বনিতে মূখরিত হলো কলকাতার রাজপথ! ইতিহাসের পাতা ছিঁড়ে রাস্তায় নেমে এলেন ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’! ধারাবাহিকের প্রচারে রীতিমতো বিপ্লব! স্টার জলসার অভিনব উদ্যোগ, এমন চমক আগে দেখেনি বাংলা!

বাংলার ইতিহাসে যাঁর নাম সোনার অক্ষরে লেখা, সেই রাণী ভবানীর জীবনকথা এবার ছোটপর্দায়। স্টার জলসা (Star Jalsha) নিয়ে আসছে নতুন ধারাবাহিক ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’ (RajRajeshwari Rani Bhabani), শুরু হচ্ছে ৭ জুলাই থেকে, প্রতিদিন রাত ৮:৩০-এ। মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন ‘রাজনন্দিনী পাল’ (Rajnandini Pal) , আর তাঁর বিপরীতে রয়েছেন ‘সায়ন বসু’ (Sayan Bose) । ধারাবাহিকটির প্রথম ঝলক অর্থাৎ প্রোমো প্রকাশের পর থেকেই টিভি দর্শকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে কৌতূহল ও আলোচনার ঢেউ।

সেই প্রোমোতেই উঠে এসেছে নবাবি শাসনের বিরুদ্ধে এক গ্রাম্য নারীর প্রতিবাদের গর্জন, আর সেই কাহিনিকেই আধার করে স্টার জলসা গড়ে তুলছে তাদের পরবর্তী ঐতিহাসিক গল্প। তবে শুধু গল্প নয়, প্রচারের ধরণেও অভিনবত্ব এনেছে চ্যানেলটি। ধারাবাহিকের প্রচার ঘিরে সম্প্রতি কলকাতার রাজপথে দেখা গেল ব্যতিক্রমী এক দৃশ্য। লালপার সাদা শাড়ি পরা একঝাঁক মহিলা, সঙ্গে ঢাক, শঙ্খধ্বনি-উলুধ্বনি, আর এক রাজকীয় পালকিতে রাণীর বেশে হাজির রাজনন্দিনী। এমন দৃশ্য দেখে থমকে দাঁড়িয়েছেন পথচলতি মানুষও।

মনে হয়েছে, যেন ইতিহাসের পাতা ছিঁড়ে বাস্তবের রাজপথে ফিরে এসেছেন স্বয়ং রাণী ভবানী। এই ‘লাইভ প্রমোশন’-এর জেরে শুধু ধারাবাহিক নয়, স্টার জলসা নিজেই হয়ে উঠেছে আলোচনার কেন্দ্রে। এখনকার বাংলা টেলিভিশনের বেশিরভাগ ধারাবাহিক যেখানে একই ঘরোয়া গল্পের ঘেরাটোপে আবদ্ধ, সেখানে ইতিহাসকে নতুন ভাবে তুলে ধরার এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। নির্মাতারা যেমন ঐতিহাসিক চরিত্রকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন যত্নসহকারে, তেমনি প্রোমোর ধারাভাষ্যেও রয়েছে অভিনবত্বের ছোঁয়া।

শিল্পনির্মাণেও যেমন জোর দিয়েছেন, তেমন আবেগ ও বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর। তবে, কিছু দর্শক প্রশ্ন তুলেছেন গ্রাফিক্স ও ভিএফএক্সের মান নিয়ে। কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, যদি গবেষণায় ফাঁক থেকে যায়, তবে ধারাবাহিকের আস্থা টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। রাণী ভবানী শুধুমাত্র একজন ঐতিহাসিক চরিত্র নন, তিনি এক আদর্শ। তাঁর অবদান— তারাপীঠ মন্দির সংস্কার থেকে বারাণসীর দুর্গা মন্দির নির্মাণ, এখনও স্মরণীয়।

আরও পড়ুনঃ ‘বাংলায় প্রশ্ন করার দরকার কী?’ – সাংবাদিকের বাংলা প্রশ্নের জবাবে বাঙালি ‘সুপারস্টার’ প্রসেনজিতের নির্লজ্জ উত্তর! পাশে বসে বাংলা ভাষার মুখরক্ষা করলেন অবাঙালি অভিনেতা রাজকুমার রাও! যে বাংলায় সুপারস্টার হলেন সেই ভাষাকেই অবজ্ঞা ফুঁসে উঠল নেটপাড়া!

সেই ইতিহাসই এবার কেবল পাঠ্যবইয়ের পাতায় নয়, পৌঁছে যাবে হাজার হাজার টিভি দর্শকের ঘরে। তবে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এই ইতিহাস উপস্থাপন কতটা সত্য, কতটা হৃদয়ছোঁয়া হবে? সেই উত্তর মিলবে সময়ের সঙ্গে, তবে বাংলা টেলিভিশনে কোনও ধারাবাহিকের এমন প্রচার আগে দেখা যায়নি, প্রচারের অভিনব পদ্ধতিতে স্টার জলসা ইতিমধ্যেই বুঝিয়ে দিয়েছে—এবারের গল্প একদম আলাদা।