অভিমান ভুলে অবশেষে কাছাকাছি! নিজের ভুল বুঝতে পেরে রাইয়ের কাছে ক্ষমা চাইল অনির্বাণ! ক্ষমা করবে কি রাই?
জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরার (Mithijhora) কাহিনী জমে উঠেছে দিনে দিনে। ইতিমধ্যেই রাইয়ের নতুন নায়কের আগমন আলাদায় মোড় এনে দিয়েছে ধারাবাহিকের কাহিনীতে। অনির্বাণের জন্য রান্না করতে গিয়ে অফিসে আসতে দেরি করে ফেলে রাই। সেই কারণেই রাইকে অনেক কথা শোনায় অনির্বাণ। অনির্বাণের মুখ থেকে এরকম খারাপ কথা শুনে রাই ঠিক করে নেয় এই চাকরিটা সে ছেড়ে দেবে। কিন্তু অনির্বাণ তাকে বলে তার কেবিনে বসেই রাইকে চাকরি ছাড়ার আবেদনপত্র লিখতে হবে।
অনির্বাণের কথা মতোই তাই চিঠি লিখতে শুরু করে রাই। আর তখনই অনির্বাণের ফোনে কল করে তার প্রথম স্ত্রী কোয়েল। আর অনির্বাণ ফোনটা ধরা মাত্রই কথা বলতে থাকে। এটা দেখে অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে যায় অনির্বাণ। সে রীতিমতো ঝাঝি মেরে কোয়েলকে বলে “তোমরাকে কতবার বলব আমি তোমার সঙ্গে কথা বলতে চাইনা। আমি এখন অফিসে আছি আমায় বারবার বিরক্ত করবে না। ফোনটা রাখো।” এই কথা বলেই ফোনটা কেটে দেয় অনির্বাণ। কিন্তু অনির্বাণের এত জোরে জোরে কথা বলার কারণে কিছুই লিখে উঠতে পারছিল না রাই।
ফোনটা রেখে অনির্বাণ রাইকে জিজ্ঞাসা করে তার লেখা হয়েছে নাকি। তখন রাই বলে “হয়ে এসেছে। আসলে আপনি এত জোরে জোরে কথা বলছিলেন যে ঠিক করে লিখতে পারিনি।” তখন রাইয়ের ওপর মেজাজ করে বলে অনির্বাণ। সে বলে “আপনি আমার ব্যক্তিগত কথা শুনছিলেন!” তখন রাইকে একটু রেগেই উত্তরে দিয়ে বলে “আমি কথা শুনছিলাম না আপনি নিজেই এত জোরে জোরে কথা বলছিলেন যে সবটাই কানে আসছি সবার। তাই ব্যক্তিগত কথাকে আপনি নিজেই ব্যক্তিগত রাখেননি।’
এই কথা বলেই অনির্বাণকে নিজের চাকরি ছাড়ার আবেদনপত্র দিয়ে দেয় রাই। সেটা হাতে নিয়ে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলে অনির্বাণ। তারপর সে রাইকে বলে কাজে ফেরত যেতে। রাইও বাধ্য হয়ে কাজে চলে যায়। ওদিকে কলেজে সার্থক স্যার আসার পর সবাই স্যারকে বলে কলেজের প্রোগামের কথা। তখন একজন স্রোতকে বলে নাচে অংশগ্রহণ করতে। তখন সার্থক স্যার বলেন এই ধরনের মেয়েরা এইটা পারবে। তখন রেগে যায় স্রোত। সার্থকের কথার প্রতিবাদ করে সে।
সবাই স্রোতকে বলে সে কেন বারবার সার্থক স্যারের ওপর রেগে যায়। তখন স্রোত বলে এতে তার কোন দোষ নেই। তখন স্রোত সার্থক স্যারকে বলে এই কেন তার বাড়ি গিয়েছিল সেটা সবাইকে বলতে। তখন রেগে গিয়ে সার্থক বলে স্রোতকে তিনি নিজের ক্লাস থেকে তিনদিনের জন্য বরখাস্ত করলেন। কিন্তু সেটা শুনেই স্রোতের বন্ধুরা বলে তাহলে তারাও ক্লাস করবে না। কারণ সার্থক স্যার বিনা দোষে স্রোতের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে। এটা শুনে আর কিছুই বলতে পারেনা সার্থক। ওদিকে অনির্বাণের খাওয়ার আসার পর সে ড্রাইভারকে বলে রাইকে টিফিন বক্স দেখাতে।
সেখানে এত ভালো ভালো খাওয়ার দেখে অনির্বাণ ভাবে “মেয়েটা আমার জন্য এতসব রান্না করেছে। না এইভাবে ওকে বলাটা ঠিক হয়নি। আমায় ওর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।” এটা ভেবেই অনির্বাণ ড্রাইভারকে বলে আরও একটা প্লেট আনতে। আর রিসেপশনিস্টকে বলে রাইকে নতুন ফাইল নিয়ে আসতে। তাহলে কি এবার দূরত্ব ঘুচবে রাই আর অনির্বাণের মধ্যে?