স্টার জলসার পর্দায় চলা মোটামুটি দীর্ঘমেয়াদী এবং জনপ্রিয় এবং একইসঙ্গে বিতর্কিত ধারাবাহিক হচ্ছে ‘গুড্ডি।’ এই ধারাবাহিকের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু ও অভিনেত্রী শ্যামৌপ্তি মুদলি।
প্রথমে রণজয় অভিনয় করেছেন পুলিশ অফিসার অনুজের চরিত্র। এরপর লীনাদেবী অনুজের চরিত্রটিকে মেরে ফেলেন। এরপর অনুজের ছেলে পুবলু অর্থাৎ ঋতুরাজ ফিরে আসে যাঁকে দেখতে অবিকল তাঁর বাবার মতো। অন্যদিকে আবার গুড্ডির পালিতা কন্যা রেশমি অর্থাৎ ঋতাভরীকে দেখতে হয়েছে অবিকল গুড্ডির মতোই। আসলে মা-মেয়ের দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্যামৌপ্তি।
তবে নতুন এই অধ্যায় যুক্ত হয়েছে আরও দুটি চরিত্র অয়ন্তিকা ও ঋগ্বেদ। অয়ন্তিকা ভালোবাসে ঋতুরাজকে আর ঋগ্বেদ ভালোবাসে ঋতাভরীকে। কিন্তু ঋতুরাজ বা ঋতাভরী এই দুজনকে ভালোবাসে না। ঋতুরাজ এবং ঋতাভরী একে অপরকে ভালোবাসে। অর্থাৎ নায়ক নায়িকার জীবনের ভিলেন হওয়ার কথা ছিল এই দুজনের। কিন্তু তা হচ্ছে না মনের কষ্ট লুকিয়ে ঋতাভরী ও ঋতুরাজের বিয়ে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে এই দুজন।
এই দুটি চরিত্রকে দেখে দর্শকরা আগেই বলেছিল যে দ্বিতীয় প্রজন্মেও শিরিন এবং যুধাজিৎ এসে গেছে। ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, অয়ন্তিকা আর ঋগ্বেদ মিলে প্ল্যান করেছে যে তারা ঋতাভরী ও ঋতুরাজের বিয়ে দেবে।
তাদের পরিকল্পনা এটা পুরোটাই হবে সারপ্রাইজ, সবাই জানবে বিয়েটা, অয়ন্তিকার সঙ্গে ঋতুরাজের হচ্ছে। ঋতুরাজ নিজেও এই বিষয়ে কিছুই জানবে না। গুড্ডি ধারাবাহিকে এত নেগেটিভিটির ভিড়ে ঋগ্বেদ ও অয়ন্তিকার এই দুই চরিত্র দর্শকদের নজর কেড়ে নিয়েছে। নিজেদের বুকফাটা কষ্টকে চেপে তাঁরা যেভাবে সত্যিকারের ভালোবাসাকে মিলিয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন তা প্রশংসনীয়।
এই দুজনের ভূয়সী প্রশংসা করলেও কিছু দর্শক আবার আশঙ্কায় ভুগছেন। অনেকেই আবার নাকি অয়ন্তিকার মধ্যে শিরিনের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। এক নেটিজেন যেমন লিখেছেন যে, এখনই এত আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। গুড্ডি আর অনুজের বিয়েটাও কিন্তু শিরিন নিজের হাতে দিয়েছিল। তারপর কি হয়েছিল সেটা তো সবাই জানে। আসলে ধারাবাহিকটি লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের। আর তাই যে কোনও সময় গল্প ঘুরে যেতেই পারে।