২০১৫ সালে ধরা পড়ে ঐন্দ্রিলার ক্যান্সার। তারপর থেকেই ট্রিটমেন্ট চলছিল অভিনেত্রীর। এই দীর্ঘ সময় অভিনেত্রীর পাশে ছিলেন তার বিশেষ ঘনিষ্ট বন্ধু অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর মাত্র ২৫ বছর বয়সে সকলকে ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তার প্রয়াণের কারণ ছিল ব্রেন স্ট্রোক। তার চলে যাওয়ার পর ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন সমস্ত জায়গা থেকেই।
তবে আস্তে আস্তে তিনি ফিরছেন সমাজের মূল স্রোতে। বর্তমানে তিনি অভিনয় করেছেন করছেন স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক রামপ্রসাদে। কিন্তু ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর থেকেই তিনি নিজেকে বিরত রেখেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। অনেকদিন তাকে দেখা যায়নি সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে সকলকে অবাক করে এবার তিনি ফিরছেন অন্যভাবে। আসছে তার নতুন প্রজেক্ট, নাম ন্যাড়া ছাদের গল্প। অভিনেতার ফেরার সংবাদ শুনে খুশি তার ভক্তরা।
তাহলে জানেন কি কি এই ন্যাড়া ছাদের গল্প! সেই বিষয়ে সবাইকে বলতেই সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ এসেছিলেন পায়েল, সায়ক, সব্যসাচী সহ রামপ্রসাদ ধারাবাহিকের একাধিক তারকা। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি যুধাজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ও যুক্ত আছেন তাদের এই প্রকল্পের সঙ্গে। তাঁরা সকলেই মিলেই যৌথভাবে করছে এই প্রকল্পটি। সেই নিয়েই কথা বলেন অভিনেতা অভিনেত্রীরা লাইভে। সায়ক জানান “খুব তাড়াতাড়ি কিছু আসতে চলেছে তোমাদের সকলের জন্য। আমি, পায়েল দি, সব্যদা সবাই থাকবো সেখানে একসঙ্গে। কি আসছে বলত?”
জানেন কি আসছে বাস্তবে! কি নিয়ে কথা বলছেন তারা? কি আসলে এই ন্যাড়া ছাদের গল্প! না না বেশি ভাবতে হবে না আমরাই আপনাদের জানিয়ে দিচ্ছি। আসলে স্টার জলসার পর্দায় বেশ জনপ্রিয় রামপ্রসাদ ধারাবাহিকটি। সেই ধারাবাহিকের সমস্ত কলাকুশলীরা মিলেই সম্প্রতি খুলেছেন একটি পডকাস্টিং চ্যানেল। এইদিন যাবত ইউটিউবে তারা গল্প পোস্ট করতেন নিয়মিত। এবার নতুন রূপে তারা সেই চ্যানেলটিকেই নিয়ে আসলেন ফেসবুকে। সেই পডকাস্ট শোয়ের নামই হল ন্যাড়া ছাদ।
আরো পড়ুন: মাথায় হাত কাকীয়া-তিস্তার! অর্জুনকে বিয়ে করে সেনগুপ্ত বাড়িতে উঠল দীপা
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংবাদ প্রকাশে আসা মাত্রই উঠেছে কমেন্টের ঝড়। একজন লিখেছেন “অনেক শুভেচ্ছা আপনাদেরকে। আমি ইউটিউবে ন্যাড়া ছাদের অন্যতম প্রথম সাবস্ক্রাইবার। আমি প্রতিদিন আপনাদের গল্প শুনি। খুব ভালোলাগে আপনাদের গল্প। আপনারা সকলেই ভালো থাকবেন।” আরেকজন নেটিজেন লিখেছেন “আমি অভিনেতা সব্যসাচীর খুব বড় ফ্যান। আমি ওনার সব গল্প শুনেছি। আমি গল্প শুনতে খু ভালোবাসি। এমনকি আমি গল্প শুনতে শুনতে কাজও করি। অনেক ধন্যবাদ আপনাদের ফেসবুক আসার জন্য।” আবার আরেক অনুরাগী জানিয়েছেন “আমাকে আপনাদের দলে নেবেন? আমি খুব ভালো কবিতা পাঠ করতে পারি। আশা করি আপনাদের সাহায্য করতে পারব।” সব মিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে এই সংবাদটি শুনে খুব খুশি হয়েছেন নেটিজেনরা সকলেই। আপনাদের কি মত এই বিষয়ে?