পিলুর শ্বশুর রঞ্জার প্রশংসায় পঞ্চমুখ!আহীরের বাবার মুখে ছোট ম্যাডামের জন্য ভূয়সী প্রশংসা শুনে কী বলল পিলু?
সিরিয়ালের অভিনেতা অভিনেত্রীরা প্রচুর খাটেন সারা দিন ।আগে আমরা একদম বুঝতে পারতাম না কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং ইউটিউব চ্যানেল শুটিং সেটে গিয়ে ইন্টারভিউ করেন বলে আমরা বুঝতে পারি কতটা কষ্টের মধ্যে শুট করতে হয় সিরিয়ালের কলাকুশলীদের।কাজের প্রচণ্ড চাপ থাকে তাদে। এমনকি সপ্তাহের মাঝে মাঝে একটা দিন ছুটিও পান না তারা।টানা শুটিং করে যেতে হয়।
তবু আমরা তাদের হাসিমুখ টাই দেখি।নতুন প্রজন্মের বহু ছেলেমেয়ে এখন অভিনেতা-অভিনেত্রী হবে বলে স্বপ্ন দেখেন কিন্তু সবাই সেটা হতে পারেন না। কেউ সুযোগ পান আবার কেউ সুযোগ পান না।কিছু জন আছে যারা সুযোগ পেয়েও হারিয়ে ফেলেন কারণ এই চাপটা তারা নিতে পারেন না।
জি বাংলা পিলু সিরিয়ালে এরকম অনেক নতুন মুখ আমরা দেখতে পাচ্ছি। বিশেষ করে পিলু অর্থাৎ মেঘা দাঁ অভিনয়ে একদম নবাগতা। রঞ্জার ভূমিকায় অভিনয় করছেন ইধিকা পাল যাকে আগে আমরা রিমলি সিরিয়ালে দেখেছি।এবার এই রঞ্জার সম্পর্কে এমন কিছু অজানা কথা আমরা জানতে পারলাম সেটা আমরা কেউ আশা করিনি।
রঞ্জা এই সিরিয়ালে দ্বিতীয় মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন। প্রথমদিকে তার চরিত্র ছিল পুরোপুরি নেগেটিভ তবে এখন মনে হচ্ছে কিছুটা হলেও পজিটিভ হয়েছে। আজ তার উদ্দেশ্যে কয়েকটা কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন আহীরের বাবা অর্থাৎ সপ্তর্ষি বিশ্বাস। যেটা পড়ে আমরা বুঝলাম যে ইধিকা ঠিক কতটা সিরিয়াসলি নেয় তার অভিনয় ক্যারিয়ার কে।
দ্বিতীয় মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছে বলে তার কিন্তু কোনো ক্ষোভ নেই।এমন অনেকেই আছেন যারা হয়তো নিজেদের অভিনয় জীবন শুরু করেছেন সিরিয়ালে মুখ্য ভূমিকায় কিন্তু পরবর্তীকালে হয়তো একটু গৌণ ভূমিকায় অভিনয় করতে হচ্ছে এবং তারা অভিমান করে সিরিয়াল ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু ইধিকার মতে নিজের অ্যাক্টিংটাই আসল। সপ্তর্ষি বিশ্বাস ঠিক সেই কথাটাই লিখেছেন নিজের ফেসবুক পোস্টে।
সপ্তর্ষি বাবু টলিউড ইন্ডাস্ট্রির বহু পুরনো অভিনেতা সেখানে ইধিকা বেশ নতুন অর্থাৎ এই প্রজন্মের অভিনেত্রী সে।ও একজন সিনিয়র হয়ে তিনি আজকে ইধিকার অভিনয় ক্ষমতা এবং ডেডিকেশনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
আর কমেন্ট বক্সে সমর্থন জানিয়েছেন অন্যান্য সিনিয়র অভিনেতা যারা ইধিকার সঙ্গে আগে কাজ করেছেন।রিমলি সিরিয়ালের নায়িকার জাঁদরেল শাশুড়ির ভূমিকায় অভিনয় করতেন বিদিপ্তা চক্রবর্তী। তিনিও লিখেছেন যে শুটিং সেটে ইধিকা যা পরিশ্রম করত সেটা তিনি নিজের চোখে দেখেছেন।