Mithijhora Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) যে সমস্ত ধারাবাহিকগুলোর বর্তমানে দর্শকদের নজর কেড়েছে তার মধ্যে অন্যতম মিঠিঝোরা (Mithijhora)। প্রথমে রাত সাড়ে ৯টায় ধারাবাহিকটি বিশেষ ভালো ফলাফল না করলেও সময় পরিবর্তনের পর থেকেই সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে মিঠিঝোরা। প্রথম সপ্তাহেই রাত ১০টার স্লট দখল করছে ধারাবাহিকটি। প্রতি সপ্তাহেই রাই, নীলু আর স্রোতের জীবনের নতুন মোড় বেশ পছন্দ করছেন ধারাবাহিকটি প্রেমী মহিলারা।
বর্তমানে ধারাবাহিকে এসেছে বিশেষ চমক। নীলুর মিথ্যের কথা জানতে পেরে নীলুকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে শৌর্য্য। এদিকে স্রোতও ফিরে এসেছে ক্যাম্প থেকে। আর রাইও অনির্বাণের অফিসে গিয়ে অনির্বাণকে জানিয়ে দিয়েছে সবটা। তবে তারপরই ডোরা গিয়ে অনির্বাণকে জানিয়ে দেয় রাই আর শৌর্য্যর সম্পর্কের ব্যাপারে। তারপর থেকে রাইয়ের সঙ্গে বিশেষভাবে আর কথা বলে না অনির্বাণ।
ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখা গেছে শৌর্য্যকে বারবার ফোন করার চেষ্টা করতে থাকে নীলু। যাতে করে শৌর্য্য সঙ্গে আবার সম্পর্ক ঠিক করা যায় কিন্তু নীলুর ফোন বারবার কেটে দিতে থাকে শৌর্য্য। নীলু মনে মনে ভেবে নেয় সে এবার শৌর্য্যকে জব্দ করবেই। তবে এই বাড়িতে সে থাকবে না। দিদি বসের সঙ্গে সুখে সংসার করবে এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারে না নীলু। ফলে যে ঠিক করে নেয় অনির্বাণের সঙ্গে রাইয়ের সম্পর্ক সে খারাপ করবে।
রাইকে এড়িয়ে গেল অনির্বাণ
এদিকে রাই অফিসে আসতেই সকলে ধন্যবাদ জানায় রাইকে। সবাই বলেন রাই না থাকলে তারা অফিসে আর কাজ করতে পারত না এরপরই অনির্বাণের দেওয়া গিফ্টটা খুলে দেখে রাই। সে সবাইকে বলে এটা শুধু তার জন্য নয়, এটা গোটা অফিসের সকলের জন্য অনির্বাণ দিয়েছে। এই বলে সকলকে সবটা দিয়ে দেয় রাই। এদিকে সবাইকে বলে অনির্বাণ অফিস থেকে বেরোতে যাবে তখন রাই তাকে বলে ফাইলের কথা কিন্তু রাইকে এড়িয়েই বেরিয়ে যায় রাই। রাই বুঝতে পারে অনির্বাণ তাকে এড়িয়ে চলছে তাই সেও অনির্বাণের সঙ্গে কথা বলবে না বলে ঠিক করে।
আরও পড়ুন: মৃত্যু মুখে গীতা! সমুদ্রে ভেসে উঠলো রক্তাক্ত দেহ! গীতা LLB তে আসছে বিরাট চমক
স্রোতের গায়ে হাত তুলতে গেল সার্থক
অপরদিকে স্রোত চলে গেছে সার্থকের বাড়ি। আর সেখানে গিয়েই সার্থকের বাবা স্রোতকে জানান সার্থক কেন তার সঙ্গে এমন ব্যবহার করে। সার্থকের মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী জানতে পেরে সার্থকের মায়ের ছবিতে ফুল, ধুপ জ্বালিয়ে দেয় স্রোত। কিন্তু সেই মুহূর্তেই বাড়িতে চলে আসে সার্থক। মায়ের ছবিতে মালা দেখে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেনি সে। স্রোত যখন তাকে জানায় এই সব সে করেছে। তখন রেগে গিয়ে স্রোতকে মারতে ওঠে সার্থক। তাহলে কি এবার আরও দূরে চলে যাবে রাই অনির্বাণ, নাকি দূরে গিয়েও কাছাকাছি আসবে তারা? সার্থককের কষ্ট কি কমাতে পারবে স্রোত?