অবিনাশকে সুস্থ করতে কেন রাই আর নীলুকেই লাগবে? নিজের ছেলে, ব‌উ, মেয়ে কাছে থাকতে পারেনা? নেটিজেনদের ট্রোলের মুখে মিঠিঝোরা

জি বাংলার (Zee Bangla) কিছুমাস আগেই শুরু হয়েছে অর্গানিক স্টুডিওর ধারাবাহিক মিঠিঝোরা (Mithijhora)। ধারাবাহিকটি শুরুতে ভালো ফল না করলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে ধারাবাহিকের টিআরপি। ধারাবাহিকের শুরু থেকেই দেখানো হয়েছে দুই বোন, মা বাবাকে নিয়ে বেশ সুখেই দিন কাটছিল রাইয়ের। তবে তাদের জীবনে নতুন মোড় নিয়ে আসে শৌর্য। শৌর্যের সঙ্গেই বিয়ে ঠিক হয় রাইয়ের। কিন্তু ভাগ্যচক্রে শৌর্য সাত পাকে বাঁধা পড়ে নীলুর সঙ্গে।

যদিও স্ত্রী হিসেবে সে কখনই মেনে নেয়নি নীলুকে। তার মনে সবসময়ই কেবল ছিল রাই। শৌর্যের বাবা অবিনাশ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ঠিক করার জন্য সুচিস্মিতা নিয়ে আসেন রাইকে। তারপর থেকেই শুরু হয় দুই বোনের মধ্যে সমস্যা। রাই আর শৌর্যকে একসঙ্গে দেখে হিংসা করতে থাকে নীলু। বোনের সংসার ভাঙছে দেখে বাধ্য হয়ে রাই শৌর্যকে জানিয়ে দেয় সে অন্য কাউকে ভালোবাসে। শৌর্য সেই কথা শুনে ফিরে যায় নীলুর কাছে।

নীলুর শশুরবাড়িতে চলতে থাকা ঘটনার প্রতিবাদ করে এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় রাই। তারপরই অবিনাশের দায়িত্ব আসে পড়ে নীলুর কাঁধে। ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছেন বিছানা থেকে পড়ে গেছেন অবিনাশ। সেই কারণেই সকলে মিলে দুস্তে থাকে নীলুকে। সুচিস্মিতা বলে নীলুর যাওয়ায় হলে তাকে ডাকতে পারত। এমনকি শৌর্যও বলে নীলু কেন গেল তার বাবাকে ফেলে তার জন্য রান্না করতে। শৌর্যও নীলুকে বলে হয় সেই রাইকে নিয়ে আসবে নাহলে নীলু রাইকে নিয়ে আসবে। এটা শুনেই অবাক হয়ে যায় নীলু।

এপিসোডটি প্রকাশে আসার পরই নেট দুনিয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকেই জানিয়েছেন “এটা কি ধরনের বিচার! অবিনাশকে দেখার জন্য নীলু বা রাইকেই লাগবে কেন? তার স্ত্রী এখনও সুস্থ আছেন। তিনি কেন দেখা শোনা করেছেন না স্বামীর। আর বাড়িতে নীলু ছাড়াও আরও একটা বউ আর মেয়ে আছে তারাও তো দেখতে পারে। অথচ সবকিছুতেই নীলু আর রাই।” এই মন্তব্যের সঙ্গেই আরও যুক্ত করে একজন বলেছেন “পরিবারটাই আসলে ভালো না। তবুও তো রাই প্রতিবাদটা করেছে।”

আরো পড়ুন: বিরাট খবর! অসুস্থতা কাটিয়ে একসঙ্গে পর্দায় ফিরছেন দুই কিংবদন্তি সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এবং মাধবী মুখোপাধ্যায়! কবে আসছে তাদের ধারাবাহিক?

আবার কিছু নেটিজেনরা জানিয়েছেন “বারবার নীলুকে দোষারোপ না করে, অপমান না করে তাকে ভালো হওয়ার সুযোগটা দেওয়া দরকার। তাহলেই এত নেগেটিভ হবে না বিষয়টা।” কিছু নেটিজেন এও বলেছেন “আসলে শৌর্যওই ভালো নয়, রাইয়ের একেবারেই যোগ্য নয় সে। একবার রাই একবার নীলু, ওর চরিত্রটাকেই স্বার্থপর মনে হয়, কিন্তু নীলু এক্ষেত্রে স্বার্থহীন।” ধারাবাহিকের কিছু অনুরাগী বলেছেন “নীলু যাই করেছে সেটা সাময়িক ভুল বোঝাবুঝির কারণে। নীলুকে দোষ দেওয়ার আগে শৌর্যের বউদিকে বউদিকে দোষ দেওয়া উচিত কারণ তার জন্যই নীলু আজ এমন হয়েছে।” সত্যি কি নীলু আর রাই শুধুমাত্র পরিস্থিতির শিকার এই বিষয়ে আপনাদের কি মত?