নিপাট ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে শংকর। অন্যদিকে বইমুখী, প্রতিবাদী, মেয়ে ঐশানী। ঘটনাক্রমে বিয়ে হয়ে যায় তাঁদের দুজনের। তারপর কি হয়? শ্বশুরবাড়ি এসে কি আখেরে বদলে যায় ঐশানীর জীবন? নাকি একই রকম থাকে? এই প্রশ্নের উত্তর নিয়েই ধারাবাহিক ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ (Horogouri Pice Hotel)। স্টার জলসার (Star Jalsha) এই ধারাবাহিক শুরুর পর থেকেই টিআরপিতে (TRP) ছক্কা হাঁকিয়ে এসেছে।
পাইস হোটেল মালিক শংকর একেবারে সাদাসিধে। জীবনে বেশি রাখঢাক নেই। যেমন চলছে তেমন চলাতেই বিশ্বাসী সে। তবে স্ত্রীর প্রতি খুব যত্নশীল। পরিবারের প্রতি দারুণ দায়িত্ববোধ তাঁর। ধারাবাহিকে এহেন শঙ্করের ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেতা রাহুল মজুমদার। আর ঐশানীর চরিত্রে অভিনয় করছেন শুভস্মিতা মুখোপাধ্যায়। ধারাবাহিকের গল্পে যদিও সারাদিন চলে খাদ্যচর্চা।
যদিও এই মুহূর্তে, শংকর আর ঐশানীর একটি সন্তান হয়েছে। কিন্তু সেই সন্তানকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না শঙ্করের মা। ছেলের বউ আর তাঁর হবু সন্তানকে নিয়ে কিঞ্চিৎ যত্নশীল নন তিনি। এমনকি ঐশানীকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অস্বাস্থ্যকর একটি ঘর থাকার জন্য বরাদ্দ করেন। সবকিছু মেনে নিলেও শংকর ভাবে তাঁর সন্তানকে কী করে মা এড়িয়ে চলছেন?
ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে দেখা যায়, ঐশানী নিজের মেয়েকে কোলে করে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কান্না থামছেই না ছোট্ট মেয়েটার। তখন শংকর ভাবে, সারাদিন ঐশানী একা নিজেই মেয়েটাকে সামলে যাচ্ছে। শঙ্করের তাঁকে সাহায্য করা উচিত। কিন্তু ঘরে ঢুকতেই ঐশানী বলে, “তুমি আবার আসতে গেলে কেন? এখুনি কেউ দেখলে আমার ঝামেলা হবে।”
উত্তরে শংকর বলে, তাঁর মা যদি ঐশানীর সঙ্গে থাকত এত চিন্তা হত না তাঁর। নাতনির মুখ দেখেও মন নরম হয়নি তাঁর মায়ের। ঐশানী বলে খামোখা আন্টির উপর রাগ করা উচিত নয় শঙ্করের। শঙ্কর এর উত্তরে গম্ভীর হয়ে বলে, আমার মা আমার মেয়ের মুখ দেখবে না। আমার মেয়েকে বরণ করে বাড়িতে তুলবে না। এটা আমি কোনদিন স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি ঐশানী।”
শংকর ঐশানীকে আরও বলে, “তার উপর মা পিসিমাকে সাপোর্ট করল। তোমাকে ওই আনহাইজেনিক ঘরে শুতে বাধ্য করল। জানি না এতে পরিবারের কি মঙ্গল হবে। সারাদিনে একবারের জন্য মা তোমাকে ঘরের বাইরে থেকে একবারের জন্য দেখতে পর্যন্ত এলো না। এরপরও তুমি বলছো আমার অভিমান হওয়াটা ভুল? “