Mithijhora Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরা (Mithijhora)। নতুন নতুন চমকের কারণে প্রথম থেকেই ধারাবাহিকটি মন জয় করে এসেছে দর্শকদের। রাই, নীলু এবং স্রোতের কাহিনীতে প্রতি সপ্তাহেই নতুন নতুন চমক দারুণ পছন্দ করছেন মিঠিঝোরার দর্শকরা। ফলেই আগের থেকে বেড়েছে ধারাবাহিকের টিআরপিও। বিশেষ করে রাইয়ের নতুন নায়ক অনির্বাণের আসার পর থেকেই ধারাবাহিকের প্রতি দর্শকদের উৎসাহী বেড়েছে অনেকটা। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহেই হরগৌরী পাইস হোটেলকে হারিয়ে স্লট দখল করছে মিঠিঝোরা।
ধারাবাহিকে ইতিমধ্যেই এসেছে বিরাট চমক। সার্থকের ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে অনিশার এনগেজমেন্ট পার্টি থেকে চলে আসে স্রোত। এদিকে অফিস থেকে বাড়িতে ফিরেই নীলুর সত্যিটা জেনে যায় শৌর্য্য। মায়ের মুখ থেকে সবটা শুনে অভিমানে ঘরে নিজেকে বন্ধ করে রাখে শৌর্য্য। ছেলেকে এই অবস্থায় দেখে নীলুকে চড় মারে সুচিস্মিতা। নীলুও দরজার সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করতে থাকে শৌর্য্যকে।
মিঠিঝোরা আজকের পর্ব ২৩ মে (Mithijhora Today Episode 23 May)
পরেরদিন সকালে হতেই কলেজের সকলের সঙ্গে মেডিকেল ক্যাম্পে চলে যায় স্রোত। সার্থক সেখানে সকলকেই কিছু না কিছু কাজ দিয়ে দেয় কিন্তু স্রোতকে বসিয়ে রাখে। এইভাবেই কেটে যায় ১ ঘণ্টা। সার্থক তাকে ডাকছে না দেখে বাধ্য হয়েই স্রোত চলে যায় সার্থকের কাছে। সার্থককে গিয়ে স্রোত জিজ্ঞাসা করে কেন তাকে কোন কাজ দেওয়া হচ্ছে না। তখন সার্থক বলে সময় হলে তাকে ডাকা হবে, এখন সে বসতে পারে। এটা শুনে চলে যায় স্রোত। কিন্তু এত গরমে শরীর খারাপ হতে শুরু করে স্রোতের। তার কিছুক্ষণ পরই স্রোতকে ডাকে সার্থক।
নীলুর ব্যাপারে চরম সিদ্ধান্ত নিল শৌর্য্য
এদিকে শৌর্য্যকে ডাকতে থাকে নীলু এবং সুচিস্মিতা। নীলু শৌর্য্যকে বলে সে তাকে সবটা বুঝিয়ে বলছে শুরু একবার সে দরজাটা খুলে দিল। ছেলে দরজা খুলছে না দেখে চিন্তা করতে থাকেন সুচিস্মিতা। তিনি নীলুকে বলেন যা যা হচ্ছে এই সব নীলুর জন্যই হয়েছে। এই বলেই নীলুর ওপর মেজাজ করতে থাকেন সুচিস্মিতা। তখনই দরজা খুলে বেরিয়ে আসে শৌর্য্য। সে সুচিস্মিতা এবং নীলুকে বলে ভিতরে আসতে তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ করা বলার আছে। এটা শুনে ঘরের ভিতরে চলে যায় নীলু আর সুচিস্মিতা।
আরও পড়ুন: নিজের জায়গা পুনরুদ্ধার করল পর্ণা! ক্রমশ নিম্নমুখী জগদ্ধাত্রী! কোথায় দাঁড়িয়ে ফুলকি, কথা, গীতারা
রাইয়ের জন্মদিনে সারপ্রাইজ দিল অনির্বাণ
সকাল হতেই অনির্বাণের অফিসে চলে আসে রাই। কিন্তু অনির্বাণ জানিয়ে দেয় সে এখন কারুর সঙ্গে দেখা করবে না। এটা শুনে রাই নিজের চলে যায় অনির্বাণের ঘরে। অনির্বাণের কাছে গিয়ে রাই অনুরোধ করে অফিসটা যেন অনির্বাণ বন্ধ না করে। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্ত অনড় অনির্বাণ। তখন রাই বলে তার জীবনের এই বিশেষদিনে সে তার কাছে অনুরোধ করছে। এটাই বলেই বেরিয়ে যায় রাই। অনির্বাণ রাইয়ের ফাইল ঘেঁটে জানতে পারে আজ রাইয়ের জন্মদিন। এদিকে বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করতে থাকে রাই। তখন বৌমণি রাইকে বলে তার জন্য নিশ্চয়ই কিছু বিশেষ পরিকল্পনা করেছে ভগবান। তাহলে কি রাইয়ের জন্মদিনে রাইকে সারপ্রাইজ দেবে অনির্বাণ, আপনাদের কি মনে হয়?