Mithijhora Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) যে সমস্ত ধারাবাহিকগুলো শুরুর থেকেই দর্শকদের মাঝে নানান কারণে চর্চায় এসেছে তাদের মধ্যে অন্যতম মিঠিঝোরা (Mithijhora)। রাই, নীলু এবং স্রোতের কাহিনী বর্তমানে জমে উঠেছে জি বাংলার পর্দায়। দিনে দিনে বাড়ছে ধারাবাহিকের টিআরপিও। তবে তারই মধ্যে দর্শকদের মাঝে ভীষণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে রাই এবং তার স্যার অনির্বাণের জুটি।
ইতিমধ্যেই রাইকে রাগানোর জন্য অনির্বাণ তাকে জানায় সে অন্য কাউকে ভালোবাসে। কিন্তু পরেরদিন বিকেলে রাই এবং সকলকে ডেকে রাইয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেয় অনির্বাণ। সত্যিটা না জেনেই রেগে গিয়ে অনির্বাণকে অপমান করে রাই। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে স্রোতের মুখে সবটা শুনে ভীষন কষ্ট পায় সে। পরেরদিন সকালে অনির্বাণের কাছে ক্ষমা চাইতে সে চলে যায় অনির্বাণের বাড়ি। কিন্তু সেখানে গিয়ে সে জানতে পারে অনির্বাণ চলে যাচ্ছে। এই কথা শুনেই সে চলে যায় অনির্বাণকে আটকাতে। যথাস্থানে গিয়ে অনির্বাণ ফিরিয়ে নিয়ে আসে রাই।
মিঠিঝোরা আজকের পর্ব ২৪ জুন (Mithijhora Today Episode 24 June)
অনির্বাণের বিয়ের প্রস্তাবেও হ্যাঁ বলে দেয় সে। এরপরই রাইকে নিয়ে রাইয়ের বাড়ি গিয়ে রাইকে বিয়ের করার প্রস্তাব দেয় অনির্বাণ। অনির্বাণের সমস্ত কথা শুনে রাজি হয়ে যায় নন্দিতা। যদিও রাইয়ের বিয়ের কথা শুনে একেবারেই খুশি হয়নি নীলু। এরপরই নিজের বাড়ি ফিরে গিয়ে শর্মিকে সবটা বলে অনির্বাণ। রাই হ্যাঁ বলেছে শুনে খুশি হয়ে যায় শর্মিও।
রাইকে বিয়ে করছে অনির্বাণ, শুনেই চমকে গেল শৌর্য্য
কিছুক্ষণ পরই অনির্বাণ চলে যায় অফিসে। সেখানে গিয়ে সে রাইকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করে সে কেন আজ অফিসে আসিনি। এরপর কথা বলতে থাকে দুজনেই। তখনই চলে আসেন বৌমণি। বৌমণিকে অনির্বাণ জানায় রাইকে সন্ধেবেলায় ক্যাফেতে পাঠিয়ে দিতে। অনির্বাণের কথায় রাই হয়ে যায় বৌমণি। এরপর অফিস থেকে ঠিক বেরিয়ে অনির্বাণ চলে যায় শৌর্য্যর বাড়ি। দাদাকে আচমকা দেখে অবাক হয়ে যায় শৌর্য্য। সুচিস্মিতা আর শৌর্য্যকে অনির্বাণ জানায় পুরোনো সমস্ত কথা ভুলে যেতে। অনির্বাণ এও জানায় সে বিয়ে করছে। যদিও অনির্বাণ যে রাইকে বিয়ে করছে এটা বুঝতে সময় লাগেনি শৌর্য্যর।
আরও পড়ুন: অনুরাগে নয়া ট্র্যাক! মিশকা, ইরা, পৃথার পর গল্পে উদয় দীপার নতুন শত্রুর! প্রাণে মেরে শেষ করতে চায় দীপাকে! কে সে?
স্রোতকে বাড়িতে ডাকলেন সার্থকের বাবা
অন্যদিকে দেখা যায় কলেজে যায়নি সার্থক। বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বাবা। মুখে না বললেন ছেলে হিসেবে বাবার চিন্তা মাথায় ঘুরতে থাকে তার। পিসিমনি চলে যাওয়ার পর ঘরে এসে বাবার রিপোর্টগুলো দেখতে থাকে সে। সার্থকের বাবা জানান তিনি বেশিদিন বাঁচবেন না। বাবার মুখে এই ধরনের কথা শুনেই বেরিয়ে যায় সার্থক। তখনই স্রোত ফোন করে সার্থকের বাবাকে। তিনি স্রোতকে বলেন তার বাড়িতে আসার জন্য। সার্থকের বাবার কথা শুনে রাজিও হয়ে যায় স্রোত। কিন্তু সার্থক, স্রোতকে আসাটা কি ভালোভাবে নেবে সে? আর রাই আর অনির্বাণের বিয়েটা কি মেনে নেবে শৌর্য্য নাকি প্রাক্তনের বিয়ে ভাঙতে কোন ফন্দি আটবে সে? জানা যাবে আসন্ন পর্বে।