বর্তমানে স্টার জলসার (star jalsha ) যে ধারাবাহিক গুলির সবচেয়ে জনপ্রিয় তার মধ্যে অন্যতম হল ‘শুভ বিবাহ’ (Subho Bibaho) ধারাবাহিকটি। শুরুর দিন থেকেই দর্শকদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে ধারাবাহিকটি। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা। অভিনেতা হানি বাফনা ( honey bafna )এবং সোনামণি সাহার ( sonamoni saha) জুটি বেশ পছন্দ হয়েছে দর্শকদের। বর্তমানে সুধা এবং তেজের গল্পে দর্শকদের জন্য থাকছে একের পর এক চমক।
এখন গল্পে দেখা যাচ্ছে যে, ত্বরিতাকে গনেশ পুজোর আরতি করতে দিলে আরতি করার সময় ত্বরিতার হাত থেকে পঞ্চ প্রদীপ পড়ে যায়। ফলে ব্যাঘাত ঘটে পুজোয়। এরপর পুজো করতে আসা পুরোহিত মশাইও সবাইকে বলে যে আজকে পুজো করা সম্ভব হবে না কারণ সমস্ত দুর্বো নষ্ট হয়ে গেছে। তখনই সুধার ঘর থেকে পুজো আওয়াজ শুনতে পায় সবাই। ছোটকা সবাইকে নিয়ে উপরে কি হচ্ছে সেটা দেখার জন্য যায়।
সবাই সুধার ঘরে এসে দেখতে পায় যে সুধা। খুব সুন্দর করে গণেশের আসন সাজিয়েছে। সুধার ঘরে এসে উপস্থিত হয় দাদুও। দাদুকে দেখে অবাক হয়ে যায় ঠাম্মি। আমি দাদু কে জিজ্ঞেস করে আজ পর্যন্ত কোনদিন এ বাড়ির পুজোতে না এসে হঠাৎ আজকে এখানে তিনি এসেছেন কেন? এর উত্তরে দাদু জানায় এতদিন বাড়ির পুজোয় সে খালি আরম্বর আর বিলাসিতা দেখেছেন, কোনরকম ভক্তি, শ্রদ্ধা দেখতে পাননি। এরপর ঠাম্মি সুধা কে বলে যে সে কার অনুমতিতে এখানে গণেশ পুজোর আয়োজন করেছে? এর উত্তরে সুধা বলে যে পুজো করার জন্য তো কারোর অনুমতির প্রয়োজন নেই প্রয়োজন আছে ভক্তি এবং শ্রদ্ধার। সুধা সেই ভক্তি শ্রদ্ধা দিয়েই আয়োজন করেছে এই পুজোর।
এরপর দেখা যায় ত্বরিতা সেখানে এসে উপস্থিত হয় এবং সুধার পুজো বানচাল করে দিতে প্রদীপ জ্বালানোর তেলের বোতল হাপিস করে দেয়। এরপর ঠাম্মি সুধাকে বলে যে আমাদের সাহায্য ছাড়া কি করে তুমি পুজোর
সম্পন্ন করো সেটাই এখন আমি দেখব। সুধা তখন প্রদীপ জ্বালানোর জন্য তেলের বোতলটা খুঁজে পায়না। যখন সবাই ভাবছে সুধা হয়তো পুজো সম্পন্ন করতে পারবেনা তখনই এক অভিনব পন্থায় প্রদীপ জ্বালিয়ে ফেলে সুধা। একটা বোতলে ভালো করে জল নিয়ে সেই জল একটা বাটিতে নিয়ে সেই জলের মধ্যেই সিঁদুর মিশিয়ে দিয়ে প্রদীপ ধরিয়ে নেয়, এবং আরতি করে পুজো সম্পন্ন করে। সুধার এই কান্ড থেকে অবাক হয়ে যায় বসু মল্লিক পরিবারের সবাই।
এরপর ঠাম্মি নিচে গিয়ে গজাননকে বলতে থাকে যে তুমি আমায় ক্ষমা করে দাও কিন্তু তুমি তোমার পুজো গ্রহণ করো। এই নিয়ে পুরোহিত মশাই ঠাম্মিকে বলে আজকে আর পুজো করা সম্ভব নয়। কালকে তিথি চলে যাওয়ার আগে পুজো সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু যে গণেশ পূজোয় বিঘ্ন ঘটিয়েছে তাকে দুদিন নির্জলা উপোস থাকতে হবে এবং তারপর গঙ্গাস্নান করতে হবে। এই শুনে বিপাকে পড়ে যায় ত্বরিতা।
আরও পড়ুন: অনির্বাণকে উপেক্ষা করে বাড়ি ফিরল রাই! প্রায়শ্চিত্ত করতে বড় পদক্ষেপ নিল অনির্বাণ
এরপর দেখা যায়, তেজ সুধার ঘরের দরজাটা নিজেই ঠিক করে দিতে থাকে যাতে বৃষ্টির সময় সুধার কোনওরকম অসুবিধা না হয়। এই সময় বেশ কাছাকাছি চলে আসে তেজ এবং সুধা। কাজ করতে করতে তেজের গালে লেগে যায় কালির দাগ। সুধা নিজের শাড়ির আঁচল দিয়ে সেই সেই কালির দাগ মুছতে গেলে মনে পড়ে যায় ঠাম্মির কথা যে যে দেশকে স্পর্শ করতে না তাই তেজ নিজেই আঁচল নিয়ে মুখের কালিটা মুছে দেয়। এরপরই দেখা যায় ঠাম্মি গজানোর জন্য যে গয়নাটা বানাতে দিয়েছিল তা আলমারি থেকে খোয়া গেছে। ফলে তুমুল অশান্তি সৃষ্টি হয় বসু মল্লিক পরিবারে। তখন ঠাম্মি সুধা কে ২৪ ঘন্টা সময় দেয় সব খোয়া যাওয়া গয়না ফিরিয়ে আনার জন্য নয়তো পুলিশ ডেকে সুধা কে ধরিয়ে দেওয়া হবে। এরপর গল্প কোন দিকে মোড় নেবে তা জানা যাবে আগামী পর্বগুলোতে।