মারণ রোগে কাহিল শরীর! “ভগবান আমায় একটা অন্য শরীর দিতে পারতেন” আক্ষেপ শিল্পী স্বাগতালক্ষ্মীর

কোভিডের আগেই শরীরে গত বাসা বেঁধেছিল মারণ কর্কট ব্যাধি। করোনাকালে তিনি ছিলেন চিকিৎসাধীন। তবুও ভেঙে পড়েননি তিনি। উল্টে অতিমারীর সময় টানা লকডাউনের আবহে টানা ১৬৬ দিন একের পর এক গান রেকর্ড করে ইউটিউবে আপলোড করেছেন। অসুস্থ শরীরে নয়া নজির গড়ছিলেন বাংলা তথা ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত (Swagathalaxmi Dasgupta)

গায়িকা মনে করেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাঁচতে হবে। বাঁচার ইচ্ছেশক্তিটাই আসল । আর তাই উঠতি প্রতিভাদের উদ্দেশ্যে শরীরে ভয়ংকর রোগের বীজ বহন করেও নিজের গান রেকর্ড করে চলেছেন গায়িকা। দীর্ঘ লকডাউনে নিজের একাধিক অনুরাগী ও ছাত্র-ছাত্রীর অবসাদের কথা কানে আসে স্বাগতার। তাই তাদের উজ্জীবিত করতে গানকেই অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তিনি ।

কিন্তু অসুস্থতাকে কি এইভাবে অস্বীকার করা যায় ? সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে স্বাগতা বলেছেন, “ভগবান আমায় একটা অন্য শরীর দিতে পারতেন।” এই শরীরের উপর প্রায় ১৩-১৪ বার ছুঁড়ি কাচি চলেছে। শরীরের উপর এত ধকল কোনো কালেই উচিত বলে মনে হয়নি।

ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালীন রবি ঠাকুরের গান দিয়ে একটি নতুন রামায়ণ তৈরি করেছেন তিনি । নাম দিয়েছেন ‘রবি রামায়ণ’। গায়িকার মতে, রবি ঠাকুরের এমন অনেক গান আছে যেগুলি তিনি মনে করেন রামায়ণের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ । যেমন ‘ আমরা বেড়া ভাঙি , আমরা অশোক বনে , এটি নেতাজিকে উদ্দেশ্য করে লেখা হলেও হনুমানজির উল্লেখও আছে বলে জানান তিনি ।অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথের, ‘ আমার সোনার হরিণ চাই ‘ , ‘ একই লাবণ্য পূর্ণ প্রাণে’ সবই রামায়ণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

আরো পড়ুন:অবিনাশকে সুস্থ করতে কেন রাই আর নীলুকেই লাগবে? নিজের ছেলে, ব‌উ, মেয়ে কাছে থাকতে পারেনা? নেটিজেনদের ট্রোলের মুখে মিঠিঝোরা

গোটা জীবনটা নায়িকা অর্পণ করেছেন রবীন্দ্রনাথের গানে। খুঁজে খুঁজে বের করেছেন রবীন্দ্রনাথের ৪১টি গান। এছাড়াও দিনকয়েক আগে নিজের কথায় এবং সুরে একটি গান পোস্ট করেছেন ইউটিউবে। ভবিষ্যতে আরও নিজের গান নিয়ে আসার কথা জানান গায়িকা স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত।

You cannot copy content of this page