অবশেষে মিল হল বাবা- ছেলের! বাবার কাছে ক্ষমা চাইল সার্থক! বাবা-ছেলের দূরত্ব মিটিয়ে দিল স্রোত

Mithijhora Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) যে সমস্ত ধারাবাহিকগুলোর বর্তমানে টিআরপি তালিকায় স্লট দখল করতে সক্ষম হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম অর্গানিক স্টুডিওর প্রযোজিত ধারাবাহিক মিঠিঝোরা (Mithijhora)। শুরুর থেকেই ধারাবাহিকটি মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে ধারাবাহিক প্রেমী দর্শকদের। তবে বর্তমানে রাইয়ের বিয়ে নিয়ে জমজমাট মিঠিঝোরার প্রতিটি পর্ব। অন্যদিকে সার্থক আর উজ্জ্বল বাবুর সম্পর্কেও চলছে টানাপোড়ন।

সম্প্রতি অনির্বাণ সকলকে জানিয়েছে সে রাইকে বিয়ে করছে। যদিও কথাটা শুনে একেবারেই খুশি হননি শৌর্য্যর বাড়ির কেউ। তবে দাদার পাশে থেকেছে শৌর্য্য। তবে রাইকে ছেলের বউ হিসেবে মানতে নারাজ অনির্বাণের মা। নানানভাবে অনির্বাণকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তিনি।
এমনকি রেগে গিয়ে রাইকে চরিত্রহীনও বলেছেন তিনি। তবে মায়ের মুখে স্ত্রীর অপমান শুনে চুপ থাকেনি অনির্বাণ। মাকেও জবাব দিয়ে দিয়েছে সে।

মিঠিঝোরা আজকের পর্ব ১ জুলাই (Mithijhora Today Episode 1 July)

ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখা গেছে অনির্বাণকে ফোন করেছে শৌর্য্য। ফোন করে অনির্বাণকে সে জানায় বিয়ের কোন কাজে তার প্রয়োজন হলে সে যেন নির্দ্বিধায় শৌর্য্যকে জানায়। ভাইয়ের মুখে এই কথা শুনে বেশ খুশি হয় অনির্বাণ। এরপরই রাইয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে শৌর্য্য। অনির্বাণ তাকে জানায় রাই তার বান্ধবীদের সঙ্গে ঘুরতে গেছে। কথা শুনে ফোন রেখে দেয় শৌর্য্য।

সন্দেহ ডানা বাঁধছে অনির্বাণের মনে

বেশ খানিকক্ষণ পর অনির্বাণকে তার মা বলেন সুচিস্মিতার ফোন নম্বর দিতে। অনির্বাণ তাকে জানায় তার কাছে নেই তবে শৌর্য্য থেকে নম্বর নিয়ে সে দিচ্ছে। এরপরই শৌর্য্যকে ফোন করে অনির্বাণ। শৌর্য্য ফোন লাগছে না বারবার। বাধ্য হয়ে শৌর্য্যর দাদাকে ফোন করে নম্বর দিয়ে মাকে দিয়ে দেয় অনির্বাণ। আর মনে মনে ভাবতে থাকে রাইয়েরও ফোন লাগছে না আর শৌর্য্যও লাগছে না তবে কি ওরা দুজন একসঙ্গে আছে?

আরও পড়ুন: বিরাট খবর! সিনেমা ছেড়ে ফের ছোট পর্দায় ইধিকা! বিপরীতে ফের জন ভট্টাচার্য

বাবার কাছে ক্ষমা চাইল সার্থক

অন্যদিকে দেখা যায় বাবার সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে সার্থক। রেগে গিয়ে ঘরে চলে যায় সার্থকের বাবা। এরপরই সার্থকও চলে যায় নিজের ঘরে। কিন্তু তখনই সার্থকের কাছে গিয়ে সার্থক মেজাজ নিয়ে সার্থককে বলে “আপনি এইভাবে আঙ্কেলকে অপমান করতে পারেন না আজ যদি আঙ্কেলের কিছু হয়ে যায় তাহলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন আপনি?” স্রোতের কথা শুনে নিজের ভুল বুঝতে পারে সার্থক। ছুটে যায় বাবার কাছে। বাবাকে কাছে ক্ষমা চায় সে। উজ্জ্বল বাবুও বুকে টেনে নেন ছেলেকে। এরপরই সার্থক জানতে পারে স্রোত কলেজ ছাড়বে না সেকথা শুনেই আরও বেশি খুশি হয়ে যায় সার্থক। তবে কি এবার স্রোতকে ভালোবাসতে শুরু করবে সার্থক? আপনাদের কি মনে হয়?