কমলিনীর পুরস্কার জেতার আনন্দ ছাপিয়ে গেল মিঠির অপমান! মিঠির কথায় ক্ষতবিক্ষত স্বতন্ত্র, মায়ের সাফল্যকেও ভুল বোঝালো সে! আর অপমান সহ্য করতে না পারে, বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল স্বতন্ত্র!

স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্ব শুরুতেই দেখা যায়, কমলিনীর বাড়ির বাইরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে। অন্যদিকে বাড়িতে একেবারেই অন্য ছবি। মিঠির চারপাশে ঠাম্মী, সোহিনী আর বুবলাই এমনভাবে কথা বলছে যাতে মিঠি মায়ের বিরুদ্ধে চলে যায়। কিন্তু মিঠির মনে মায়ের বিরুদ্ধে যতই ক্ষোভ থাক, সে তো জানই যে এদের উদ্দেশ্য মোটেই ভালো না। তাই মিঠি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, একটু শান্তি ছাড়া আর কিছুই সে চায় না।

মিঠির মন বিষয়ে দিয়ে না পরে, এই সময় বুবলাই তাকে খুশি করতে পান্তুয়া খাওয়ানোর চেষ্টা করে, কিন্তু মিঠি তা প্রত্যাখ্যান করে। সে জানায়, দাদা হয়ে যখন সে মাকে যা তা বলে অপমান করছে, তখন তার কাছে ভালো কিছু নেওয়ায় বা খাওয়ার ইচ্ছা নেই তার। মায়ের সম্বন্ধে খারাপ কথা শুনতে আর একেবারেই রাজি নয় মিঠি। স্বতন্ত্রকে মিঠি মায়ের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করছে, আর স্বাতন্ত্রর প্রতি তার অভিমান আরও বেড়ে উঠতে থাকে।

ওদিকে, অনুষ্ঠানে কমলিনী প্রথম পুরস্কার জিতে নেন ফটোগ্রাফিতে। শুধু সম্মানই নয়, তার হাতে তুলে দেওয়া হয় পাঁচ লক্ষ নগদ অর্থও। মঞ্চে দাঁড়িয়ে কমলিনী কৃতজ্ঞতা জানায় সকলকে, বিশেষ করে স্বতন্ত্রকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ দেন। এরপর কুর্চিকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন কমলিনী। স্বতন্ত্রও তাদের সঙ্গে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। স্বতন্ত্রর একটাই ইচ্ছা যে মিঠিকে মায়ের এই সাফল্যের খবরটা নিজের মুখে দেবে।

কিন্তু বাড়িতে এসে দেখে সেখানে শুরু হয়েছে অশান্তি। সেই পরিস্থিতিতে মিঠি মায়ের সুখবরকেও ভুলভাবে নেয়। কমলিনী নিঃস্বার্থ ভাবে মিঠিকে বলে যে, পুরস্কারের টাকা দিয়ে তাঁর সব প্রয়োজন মেটাতে চায়। হঠাৎ করে মিঠি অভিযোগ করে বসে, মা তাকে ঘুষ দিচ্ছে! বর্ষা, সোহিনী, চন্দ্র আর বুবলাই— সবাই মিলে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। ঠাম্মীও কড়া সুরে কিছুটা কটাক্ষ করেই কমলিনীকে প্রশ্ন করে, কেন এই অবস্থায় মেয়েকে রেখে গিয়েছিল।

এতকিছুর মাঝে মিঠি স্বতন্ত্রকেও অপমান করে বসে। কেন সে বারবার তাদের জীবনে হস্তক্ষেপ করে, সে অধিকার কে দিয়েছে—এই প্রশ্নও তোলে মিঠি! স্বতন্ত্র যদিও মিঠির আচরণে আঘাত পায়, তবু রাগ না করে উল্টে ক্ষমা চায় তার কাছেই। অপমান আর ভালো লাগছেনা বলে, বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে চায় স্বতন্ত্র। কুর্চি কান্নায় ভেঙে পড়ে, কমলিনীও স্বতন্ত্রর কাছে ক্ষমা চায় মেয়ের হয়ে। কিন্তু মিঠি নিজের ভুল স্বীকার করে না। শেষমেষ আঘাত পেয়ে স্বতন্ত্র সিদ্ধান্ত নেন, এবার বিদেশে চলে যাবে স্থায়ীভাবে।

আরও পড়ুনঃ “অভিনয় করতে চাই, অফার এসেছিল কিন্তু…”— কেন অভিনয় থেকে দূরে সরে গেলেন ‘রাখী বন্ধন’ খ্যাত সোহম বসু রায় চৌধুরী? অবশেষে মুখ খুলে কারণ জানালেন নিজেই! তবে কি আর ফিরছেন না ছোটপর্দায়?

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।