“মিঠি গিরগিটির মতো রং বদলায়, পা’ল্টি’বা’জ, সুবিধাবাদী মেয়ে!” “কী মতলবে আবার স্বতন্ত্রকে বাবা বলে ডাকছে কে জানে!”— মিঠির ব্যবহার ঘিরে বিতর্কের মুখে ‘চিরসখা’! স্বাতন্ত্রর বিদেশ যাওয়া বন্ধ করার পিছনে, মিঠির চাল দেখতে পাচ্ছে দর্শকরা!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরসখা’ (Chiroshokha) এখন নানা কারণে খবরে। তবে ভালো কোনও দৃশ্য বা চরিত্রের জন্য নয়, বরং প্লুটোর মৃ’ত্যুর পর গল্পের যে অবস্থা হয়েছে সেটা নিয়েই। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, স্বতন্ত্রকে মিঠি যা নয় তাই বলে অপমান করছে। এমনকি যে এতদিন মায়ের ঢাল ছিল, সে আজকে মায়ের চরিত্র নিয়ে আকার ইঙ্গিতে নানান কথা বলছে। দর্শক কোনও ভাবেই ‘মিঠি’র চরিত্রের এই পরিবর্তন মেনে নিয়ে পারছে না। প্লুটোর পরিণতির জন্য এবং তার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার জন্য, এখন মিঠি কমলিনীকেই দোষী করছে।

মিঠির ভালোর জন্যই একদিন ওই পরিবারের থেকে সরিয়ে এনেছিল কমলিনী তাঁকে, তার আগে কমলিনীকে উদ্যেশ্য করে প্লুটোর মা মিঠিকে অনেক খারাপ কথা শুনিয়েছিল। সেটাই মেনে নিতে পারেনি, মা হয়ে কমলিনী। কিন্তু সেই সবকিছু ভুলে গিয়ে মাকে যা ইচ্ছা বলছে মিঠি। এতটাই অপমান করে সে স্বতন্ত্রকে যে, পাকাপাকিভাবে স্বতন্ত্র বিদেশ চলে যাবে ঠিক করে। আর ঠিক সেই সময় মিঠি ছুটে গিয়ে তার কাছে ক্ষমা চায়, ‘বাবা’ বলে ডাকে!

Mithi stops Natun kaku in Star jalsha serial Chirosokha

এভাবেই স্বতন্ত্রর বিদেশ যাওয়া বন্ধ করে সে। মেয়ের মতো মিঠির মুখ দিয়ে বাবা শুনে, স্বতন্ত্র আপ্লুত হয়ে কাছে টেনে নেয়। এই দৃশ্য নিয়েই শুরু হয়েছে সমাজ মাধ্যমে নতুন বিতর্ক। কেউ বলছেন, “আবার নতুন নাটক শুরু করল মিঠি!” প্লুটোর মৃ’ত্যুতে মানসিক ধাক্কা লেগেছে বলে অজুহাত দিয়ে সবার সঙ্গেই খারাপ ব্যবহার করছে মিঠি, এই বদল একেবারেই ভাল লাগছে না দর্শকদের। অনেকেই লিখেছেন, “মিঠি গিরগিটির মতো রং বদলায়, ওর আবার কী মতলব কে জানে?”

কেউ আবার বলেছেন, “মিঠি একটা পাল্টিবাজ, ভীষণ স্বার্থপর এবং সুবিধাবাদী!” এই কয়েক সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিকের গল্প ঘুরেফিরে একই জায়গায় চলে আসছে বলে অভিযোগ অনেকের। মিঠির ব্যবহার, নতুন কাকুকে ঘিরে মায়ের সঙ্গে তার ঝামেলা— সব মিলিয়ে গল্পে যেন একটা চাপা অশান্তি চলছে। অনেকেই বলছেন, “আগেও শ্রীময়ীতে এই ধরনের চরিত্র দেখেছি, এখন আবার সেটা ঘুরে ফিরে আসছে। লেখিকার মাথায় কি আর বুদ্ধি নেই!”

আরও পড়ুনঃ “ছ’বছরে একদিনও বিছানায়…শেষবারের মতো বোঝার সুযোগটুকুও দিল না!” “ওর শরীরে তেমন কিছু ছিল না, মৃ’ত্যুর আগেও ব্যস্ত ছিল মানুষের জন্য!”— স্মৃতির ভারে বিধ্বস্ত অঙ্কিতা, শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে তাঁর স্মৃতিতে উঠে এল স্বামী জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ দিনগুলোর কথা!

উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিক শেষের কিছু টিআরপি তালিকায় ভালো ফল করলেও কিন্তু, এখন দর্শক সংখ্যা কিছুটা কমেছে। সমাজ মাধ্যমে যেসব মতামত দেখা যাচ্ছে, তাতে স্পষ্ট যে অনেকেই ‘চিরসখা’ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। কেউ কেউ তো বলেই দিয়েছেন, “এতো বদলে যাওয়া চরিত্র দেখতে ভাল লাগে না।” তবে গল্পে এবার কোন দিকে মোড় নেবে, সেটা নিয়েই সবার কৌতূহল। মিঠি সত্যিই ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইছে, নাকি এটা আবার কোনও নতুন চাল?