স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্ব শুরুতেই দেখা যায়, সকাল সকাল দুজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি অধরা মাধুরীতে এসে উপস্থিত হয়। কুর্চি দরজা খুলতেই তারা জানায়, চন্দ্র আর সোহিনীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। কুর্চি প্রথমে নিজের মাকে ডেকে সবটা বলে, তারপর তিনি বড় নাতি বুবলাইকে ডেকে আনতে বলে চন্দ্রদের। এদিকে চন্দ্র আর সোহিনী ঘরের দরজা বন্ধ করে নিজেদের জিনিসপত্র গোছাচ্ছে পালানোর মতলবে।
চন্দ্র সোহিনীকে বলছে বাড়ির সবার গয়না চুরি করে আনতে পেরেছে কিনা। সোহিনীও জানায়, যখন বাড়িতে কমলিনী, কুর্চি আর মিঠি ছিল না, তখন সে যতটা পেরেছে সবকিছু হাতিয়ে নিয়েছে। মায়ের গয়নার সম্পর্কে জানতে চায় চন্দ্র। সোহিনী বলে যে শাশুড়ির একটা ভারী হার তার খুব পছন্দ হয়েছে। সেটা নিজের কাছে রেখেছে, চন্দ্রকে বেচতে দেবে না। চন্দ্র জানায় দুদিনের মধ্যে তাদের পালাতে হবে। সোহিনী বলে পালানোর আগে তাদের মেয়ে সোহেলিয়াকে এখানেই রেখে যাবে।
চন্দ্র সমর্থন করে বলে, কমলিনী মানবিকতার খাতিরে তাদের মেয়েকে ফেলতে পারবে না। নিজের কাছে রেখে দেবে যত্ন করে। সেই সময় বুবলাই দরজা খোলার জন্য ডাকে চন্দ্রকে। দরজা খুলতেই বুবলাই বলে যে মেঘালয় থেকে দুজন ব্যক্তি তাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে, তাড়াতাড়ি সোহিনীকে নিয়ে যেতে বলেছে। চন্দ্র আতঙ্কিত হয়ে যায় পুলিশ এসেছে ভেবে। সোহিনীকে শিখিয়ে দেয়, যদি কারাবাস হয় তাদের, তাও যেন সোহিনী স্বীকার না করে যে চন্দ্র সঙ্গে বিয়ে হয়নি।
এরপর তারা নিচে নামতেই ওই দুই ব্যক্তি নিজেদের প্রথমে প্রতিবেশী হিসেবে পরিচয় দেয়। ততক্ষণে বাকির বাড়ি সবাই জড়ো হয়ে যায় বসার ঘরে। কমলিনী আর মিঠিও সেখানে এসে দাঁড়ায়। ওই দুই ব্যক্তি কমলিনীর পরিচয় জানতে চান। কমলিনী বলে দেয় যে এই বাড়ি তাঁর। চন্দ্র সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে তাও চন্দ্র দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে এই বাড়িতেই থাকে। মানবিকতার খাতিরে তার বয়স্ক মাকেও বের করে দিতে পারেনি কমলিনী। মিটিল দেখে পুলিশ ভর্তি দরজার বাইরে।
ভিতরে গিয়ে সে সবাইকে বলে বাইরের পরিস্থিতি। কিছু একটা খারাপ ঘটার আশঙ্কায় কমলিনী কুর্চিকে বলে নতুনকে খবর দিতে। কুর্চি সেই মতো নতুনকে ফোন করে কমলিনীর বাপের বাড়ির লোকেদের নিয়ে তাড়াতাড়ি আসতে বলে। এরপর ওই দুই ব্যক্তি নিজেকে মেঘালয়ের পুলিশ হিসাবে পরিচয় দেয় এবং জানায় চন্দ্রকে গ্রেফতার করতে এসেছে। এই কথা শুনে চন্দ্রের মা বরাবরের মতো নিজের ছেলেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ এবার সমস্ত প্রমাণ নিয়ে এসেছে।
পুলিশও জানিয়ে দেয়, চন্দ্ররা পালিয়ে যাবে সেই খবর তাদের কাছে ছিল। সেই জন্যই তাড়াতাড়ি করে এসে হাজির হয়েছে। মেঘালয় স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় থাকতো চন্দ্র আর সোহিনী, কিন্তু আদতেই বিবাহিত নয়। সোহেলিয়া সোহিনীর আগের পক্ষে মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর গর্ভবতী অবস্থায় চন্দ্রের সঙ্গে আলাপ হয় তারপর বিভিন্ন অসামাজিক কাজে যুক্ত হয়ে পড়ে দুজনে। একটা ভুয়ো কোম্পানির আড়ালে মেয়েদের কাজ দেওয়ার নাম করে নিষিদ্ধ এলাকায় পাচার করে দেয় তারা।
আরও পড়ুনঃ “নাকে স্যালাইন! ধন্যবাদ জি বাংলা এই যুগান্তকারী আবিস্কারের জন্য!” “অভূতপূর্ব সাফল্য বাংলার মেডিক্যাল সায়েন্সে, আমেরিকা জানলে ট্রাম্প নিজের বলে চালিয়ে দেবে!”— ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর বিতর্কিত দৃশ্য ঘিরে সমাজ মাধ্যমে হাসির রোল, চলছে মিমের বন্যা!
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।