জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে। না, এবার আর আর্য-অপর্ণার প্রেম বা বিচ্ছেদ নিয়ে নয়। মীরা এবং কিঙ্করের ষড়যন্ত্র কিংবা রাজনন্দিনী ফিরে আসা নিয়েও নয়। তবে কি আবার জীতু আর দিতিপ্রিয়ার মধ্যে কোনও রকম সমস্যা শুরু হলো? তেমন কিছুই না, সমস্ত আলোচনার মূলে রয়েছে সম্প্রতি পর্বে দেখানো একটি দৃশ্য। কী দেখানো হয়েছে সেখানে?
প্রসঙ্গত, ধারাবাহিকের বর্তমান গল্পে একে অপরকে মনের কথা জানিয়েছে আর্য-অপর্ণা। প্রতি পর্বেই একাধিক ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের সাক্ষী হচ্ছেন দর্শক। শুরু থেকে ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ছিল। তবে, আর্য-অপর্ণার প্রেম দেখতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন দর্শকরা। এবার সেই প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মীরা। অপর্ণার বাবাকে গিয়ে সে আর্য-অপর্ণার একান্ত মুহূর্তের কিছু ছবি দেখিয়ে অপমান করে। এরপরই জ্ঞান হারান অপর্ণার বাবা।
হাসপতালে নিয়ে গেলে জানা যায়, ওনার হার্টে ব্লকেজ আছে। তড়িঘড়ি অপরেশন করা হয়। এবার আসে সেই বিতর্কিত দৃশ্য। দেখা যায়, হাসপাতাল কেবিনে শুয়ে আছেন অপর্ণার বাবা আর সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছে অপর্ণা। একজন রোগীকে ঘিরে যেমন ব্যবস্থা থাকা দরকার, সবটাই আছে সেখানে। কিন্তু বিরাট বড় খামতি যেন দর্শকদের চোখ এড়াতে পারলো না। এই পর্বেই কিছু দর্শক লক্ষ্য করেন, অপর্ণার বাবাকে যে সেলাইন দেওয়া হচ্ছে সেটা নাক দিয়ে!
মানে, অক্সিজেন মাস্ক -এর সঙ্গে যুক্ত সেই সেলাইনের চ্যানেল! এই নিয়ে সমাজ মাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনা আর মিমের বন্যা। কেউ কেউ নিজের হাসি থামাতে পারছেন না, আবার কেউ চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে কটাক্ষ করছেন না জেনে এমন অবাস্তব জিনিস দেখানোর জন্য। সমাজ মাধ্যমে কেউ বলছেন, “অভূতপূর্ব সাফল্য বাংলার মেডিক্যাল সায়েন্সে! এখন থেকে থেকে অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়েই নাকের দুটো দিয়ে স্যালাইন দেওয়া যাবে।
ধন্যবাদ বাংলা সিরিয়ালকে এই যুগন্তরকারী আবিস্কারের জন্যে!” অন্যজন আবার বাঙ্গ করে বলেছেন, “দেখবেন এই আবিস্কার যেন কোনও ভাবেই দেশের বাইরে না যায়। আমেরিকা জানতে পারলে, ট্রাম্প নিজের বলে চালিয়ে দেবে কিন্তু!” উল্লেখ্য, এর আগেও এমন বহু দৃশ্য দেখানো হয়েছে বাংলা ধারাবাহিকে। তবে চিকিৎসা ক্ষেত্রের মতো এমন সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে কতৃপক্ষের উদাসীনতা ভাবাচ্ছে দর্শকদের। আপনাদের কী মতামত এই বিষয়ে?
আরও পড়ুনঃ “থার্ড হ্যান্ড কাঞ্চনকে পেয়েই সব খুলে ফেলছে, ফার্স্ট হ্যান্ড বর পেলে তো দেখতেই হত না!” “ট্যালেন্ট কম, তাই শরীর দেখিয়ে লাইমলাইটে আসার চেষ্টা!” “টাকার জন্য আর কত নিচে নামবেন?”— এবারও সীমা ছাড়ালেন শ্রীময়ী! ব্রাইডাল লুকে অশা’লীনতা, নেটিজেনদের রোষানলে কাঞ্চনপত্নী!
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।