স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় মিটিল চন্দ্রকে ‘ক্রিমিনাল মাইন্ডেড’ বললে, সে রেগে গিয়ে চিৎকার করতে থাকে। ঠিক যেমন চোরের মায়ের বড় গলা! এরপরেই সেখানে এসে উপস্থিত হয় বর্ষা আর বুবলাই। বুবলাই আসতে মা কমলিনীকে অপমান শুরু করে দেয়। নতুনের উদ্দেশ্যে বুবলাই বলে, একজন বাইরের লোক টাকার বিনিময়ে কমলিনীকে হাতের মুঠোয় করে রেখেছে।
নতুন প্রতিবাদ করে বলে, শুধু যে সে রেখেছে এমন নয়, বরং কমলিনীও তাঁকে হাতের মুঠোয় রেখেছে। বর্ষা এবার নির্লজ্জ আখ্যা দেয় নতুন-কমলিনীকে, নতুন বর্ষার অতীতের কেচ্ছার কথা মনে করিয়ে প্রমাণ করে দেয় যে কার আদতেই লজ্জা নেই! পরিবারের সকলের তরফে কমলিনীকে চূড়ান্ত অপমানের অভিযোগ উঠতে থাকে বুবলাইয়ের বিরুদ্ধে। কমলিনীও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, সে আর বুবলাই-বর্ষার দায়িত্ব নেবে না।
নতুন পরামর্শ দেয় বুবলাইকে, নিজের বাবার সমর্থন থেকে বেরিয়ে এসে নিজের ভবিষ্যতের দিকে নজর দিতে। না হলে ভবিষ্যতে তার বউ যে পরিমাণ স্বার্থপর, তাকে ছেড়ে চলেই যেতে পারে। তখন পাগলের মত এদিক ওদিক ঘুরতে হবে তাকে। এমন সময়ে সোহিনী তার মেয়েকে নিয়ে ফিরে আসে। চন্দ্র ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে চায়। কিন্তু কমলিনী প্রতিবাদ করে বলে, যাঁর সূত্র ধরে এখানে এসেছে তাঁরা, তাকেও বেরিয়ে যেতে হবে।
এবার সোহিনী জানায়, তার সারাদিন কিছু খাওয়া হয়নি, আর ভবিষ্যতেও তাকে যদি খালি পেটে থাকতে হয় কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু তাদের সন্তানের জন্য চন্দ্রকে ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে। চন্দ্র যদি দিতে না চায়, তবে থানায় গিয়ে হলেও আদায় করবে সে। সোহিনী স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই বাড়িতেই চন্দ্রের স্ত্রীর অধিকারে থাকবে সে। এবার পুলিশ না এলে কেউ তাকে বের করতে পারবে না।
আরও পড়ুনঃ “বড়দের যারা সম্মান করে না, তাদের আমি অপছন্দ করি”, “ছেলেও জানে নিয়ম না মানলে মা কথা বন্ধ করে দেবে”— মা হিসাবে অঞ্জনাও ‘ইন্দ্রাণী’র মতোই কঠোর! ছেলেকে কড়া শাসনে রেখেই মানুষ করেছেন অভিনেত্রী! জানেন তাঁর জীবনের নীতি?
সোহিনীর কথায়, চন্দ্রের মত নিচ লোকের সঙ্গে সে থাকতে চায় না, শুধুমাত্র মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এতদিন থেকেছে। এবার উচিৎ শিক্ষা দেবে সে চন্দ্রকে। পরদিন সকালে চন্দ্র তার মাকে নিয়ে কমলিনীর কাছে হাজির হয়, বাড়ি তাঁর নামে লিখে দিতে বলে। চন্দ্রের কথায়, কমলিনীর আগে নতুনের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব। সেই সূত্রে এই বাড়ির উপর অধিকার তারই হওয়ার কথা। কুর্চি সবটা শুনে কমলিনীকে সাবধান করে দেয় ফাঁদে না পড়তে।