স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, কমলিনীর বাপের বাড়িতে মৌ আর প্লুটোর আশীর্বাদের আয়োজন চলছে। হঠাৎ করে কমলিনীর মায়ের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ায়, তড়িঘড়ি ডাক্তার দেখাতে হয় তাকে। অনুষ্ঠান বাড়িতে মায়ের সেবা করার জন্য, কমলিনী আগের দিনই সেখানে চলে আসে।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে দেখা যায় মৌয়ের মা একাহাতে অনুষ্ঠানের সব দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এদিকে মায়ের শরীর অসুস্থ থাকায়, মৌয়ের বাবা কোনও ভাবেই রাজি নন এমন দিনে অনুষ্ঠান করায়। মৌয়ের মা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এতদিন সবাই বাড়ির বয়স্ক মেয়ে কমলিনীর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা নিয়ে ব্যস্ত ছিল, তাই সে বাড়ির অল্পবয়সী মেয়ের বিয়ে নিয়ে কোনও আলোচনা করতে পারেনি।
তারিখ ঠিক হয়ে গেছে, লোক বলা হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে শাশুড়ি শরীর খারাপ হলে অনুষ্ঠান পেছানো সম্ভব নয়, জানিয়ে দেন তিনি। এদিকে মিঠির ওই দিনেই কমলিনীর জামা-কাপড় নিয়ে আসার কথা মামাবাড়িতে। মৌয়ের মা কমলিনীকে পরামর্শ দেয়, যেহেতু অতীতে মিঠির সঙ্গে প্লুটোর সম্পর্ক ছিল, সেহেতু আজকের দিনে এখানে উপস্থিত থাকলে ওর খারাপ লাগতে পারে।
কমলিনী জানিয়ে দেয়, মিঠি এখন অতীত নিয়ে ভাবে না। এরপর অনন্যা তার স্বামী, নতুন, এবং ছেলে প্লুটোকে নিয়ে উপস্থিত হয়। কমলিনীকে বাপের বাড়ি দেখে কিছুটা অবাক হয় অনন্যা। এদিকে অনন্যার স্বামী কমলিনীকে ‘বৌমা’ বলে সম্বোধন করলে, কমলিনী অনুরোধ করে যেন তাকে নাম ধরেই ডাকা হয়। নতুনকে উদ্দেশ্য করে অনন্যা বলে, কমলিনী এখানে আছে জেনেই সে রাজি হয়েছে আসতে।
নতুন অনন্যাকে কড়া ভাষায় জবাব দিয়ে বলে, বারবার কমলিনীকে অপমান করার অধিকার তার নেই। বাড়ির বাইরে যদি ভদ্রভাবে কথা না বলতে পারে অনন্যা, তাহলে ভাইপো যতই আপন হোক না কেন, এই বিয়ের কোনও অনুষ্ঠানের নতুন থাকবে না। এরপর দেখা যায় প্লুটো সংযত হয়ে রয়েছে। এই দেখে সবাই তাকে বলে বিয়েটা যখন করছে, তখন এসবের আর কোনও মানে নেই।
আরও পড়ুনঃ এবার ‘পরশুরাম আজকের নায়ক’–এর সাফল্যকে পেছনে ফেলেই মুম্বই পাড়ি তৃণার, স্বামী নীলের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করছেন অভিনেত্রী! টেলিপাড়াকে বিদায় জানিয়ে বাণিজ্যনগরীতে অভিনেত্রী, আর দেখা যাবে না টলিউডে?
পরবর্তীতে মৌ তৈরি হয়ে আসলে আশীর্বাদের পর্ব শুরু হয়। প্লুটোর অনিচ্ছা সত্ত্বেও পাশাপাশি বসানো হয় দুজনকে। নতুন কমলিনীকে বলে, মিঠিকে আসতে বারণ করে দিতে। কিন্তু কমলিনী বলে যে কল্পনা করে কষ্ট পাওয়ার থেকে, সামনে দেখে কষ্ট পাওয়া অনেক সহজ। তাই মিঠির এখানে থাকা প্রয়োজন। নতুন কমলিনীর দৃঢ়তার প্রশংসা করে, এরপর মিঠি আসতেই তার মাথায় বাজ পড়ে!