স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, স্বতন্ত্র বৈধব্যের শেষ সুতোটাও ছিঁড়ে কমলিনীকে আমিষ খাওয়ার খাইয়ে দেয়। নতুন জানায়, কমলিনী এতদিন নিরামিষ খেয়েছে বলে, সে-ও তাই খেয়ে থেকেছে। এরপর কমলিনীকে আবারও প্রস্তাব দেয় তাঁদের বন্ধুত্বকে সর্ম্পকের নাম দেওয়ার। কিন্তু কমলিনী জানায়, সেটা এই পবিত্র বন্ধুত্বের অপমান হবে, সবাই বলবে এতদিন যা ভেবেছিল সেটাই ঠিক।
নতুন জানায়, সে সারাজীবন কমলিনীর জন্য অপেক্ষা করবে। কোনও দিনও যদি কমলিনী তাঁকে স্বীকৃতি না দেয়, তবুও মনে মনে তাঁকেই নতুন স্ত্রী হিসেবে জায়গা দেবে। অন্যদিকে চন্দ্র সোহিনীকে নিয়ে বর্ষার কাছে উপস্থিত হয়। এরপর সেই স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যাওয়ার গল্প বলে সহানুভূতি আদায় করে, এদিকে বর্ষাও এমন করে কমলিনীর অতীত ব্যাখ্যা করে সোহিনীর সামনে যেন চরিত্র’হীন লাগে।
সোহিনী জানায়, সে বিপদে পড়ে এই বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। শুধুমাত্র নিজের সন্তানের কথা ভেবেই সে ক্ষতিপূরণ চেয়েছে, কারণ এই বাড়িতে তো কেউ তাঁকে মর্যাদা দেবে না। বর্ষা কুবুদ্ধি দেয়, কমলিনীকে ফাঁসিয়ে দিতে, যাতে সে এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে সোহিনী আর তার মেয়ের জায়গা পাকা হয়। বর্ষা চন্দ্রকে বলে, এমন কিছু করতে হবে যাতে সবার চোখে কমলিনী নিচে নেমে যায়।
দুপুর বেলায় কমলিনীকে ডেকে পাঠায় নতুন। কমলিনীকে পিটিশন জমা না করে, চন্দ্রকে মিউচ্যুয়াল ডিভোর্সের জন্য রাজি করাতে বলে সে। কমলিনী জানায়, চন্দ্র যে পরিমাণ লোভী, অনেক টাকা চাইবে। নতুন কথা দেয়, চন্দ্র যত টাকাই চাইবে, সে দিতে রাজি। কিন্তু কমলিনী রাজি হয় না। তারপর ইলিশ মাছ, ভাত রান্না করে নতুন নিজে হাতে কমলিনীকে খাইয়ে দেয়। আবেগে আপ্লুত হয়ে, কমলিনী নতুনের ভালোবাসা স্বীকার করে নেয়।
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘদিনের পর্দার সঙ্গী দীপঙ্কর দে, কিন্তু বাস্তবেও কি কোন সম্পর্ক ছিল? অভিনেত্রী সোমা দে-কে ঘিরে জল্পনার অবসান!
বাড়িতে সবার অনুপস্থিতিতে বর্ষা আর চন্দ্র ষড়’যন্ত্র করে কমলিনীকে ফাঁসানোর। নিজের মায়ের ঘর থেকে গয়নার বাক্স চুরি করে চন্দ্র বর্ষার বুদ্ধিতে কমলিনীর আলমারিতে রেখে আসে। এরপর নিজেই সোহিণীকে গয়না দেখানোর নাম করে কথাটা পারতেই, চন্দ্রের মায়ের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে বাক্সটা খুঁজে না পেয়ে। এই মুহুর্তে কমলিনীও এসে পড়ে, আর সোহিনী পুলিশে খবর দেওয়ার পরামর্শ দেয়।