স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, কমলিনী নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়। অয়নদীপের আর কোনও প্রশ্ন করার জায়গা থাকে না স্বতন্ত্রকে। এরপর কমলিনীর পক্ষের উকিল কুর্চিকে কাঠগড়ায় ডাকে। কুর্চিকে প্রথমেই প্রশ্ন করা হয়, সে কবে থেকে কমলিনীদের সঙ্গে থাকছে এবং তিনি কি বিবাহিতা? কুর্চির উত্তর দেওয়ার আগেই, অয়নদীপ বাধা দিয়ে চিৎকার করে ওঠে।
অয়নদীপ প্রমাণ করার চেষ্টা করে, যে বিপক্ষীয় উকিলের এই প্রশ্ন অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু কমলিনীর পক্ষের উকিল জানিয়ে দেন, প্রাসঙ্গিকতা আছে বলেই প্রশ্ন করা হচ্ছে। এরপর কুর্চি উত্তর দেয়, সে বিগত পনেরো বছর ধরে কমলিনীর সঙ্গে আছে, এবং অবশ্যই বিবাহিত। স্বামীর অত্যাচারে এক বস্ত্রে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসতে তিনি বাধ্য হয়েছিলেন। এমনকি আমি ডিভোর্স দেবে না বলে দেয়, তাদের একমাত্র ছেলের সঙ্গেও দেখা করাতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
স্বামীর পরিচয় দিয়ে কুর্চি জানায়, তিনি আর কেউ নন বরং অয়নদীপ। কমলিনীর উকিল খুব সহজেই প্রমাণ করে দেয়, যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে যোগ্য সম্মান দিতে পারে না, সে অন্যের স্ত্রীর সম্মান নিয়ে কি করে ওকালতি করছেন? কুর্চিকে জানতে যাওয়া হয় স্বতন্ত্রর ব্যাপারে। কুর্চি জানায়, তার দাদার অবর্তমানে স্বতন্ত্রই তাদের পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছিল। এমনকি চন্দ্র চলে যাবার পর, কমলিনীর হাতে সোহিনী নামক একজনের চিঠি এসে পড়ে।
কুড়ি বছর আগে স্মৃতিভ্রষ্ট হওয়ার মিথ্যা কথা বলে চন্দ্র বাড়ি ফিরে আসতে, ঘটনাচক্রে একজন মহিলা এবং তার সন্তান এসে দাবি করেন তারা চন্দ্রের পরিবার এবং তার নামও সোহিনী। অপরদিকে স্বতন্ত্র এবং কমলিনীর সম্পর্ক নিয়ে কোনদিনও প্রশ্ন ওঠেনি। বুবলাইয়ের বউ বর্ষা প্রথম এই সম্পর্ক নিয়ে খারাপ ইঙ্গিত শুরু করে। ফিরে আসতে সেই ইঙ্গিত এমন পরিস্থিতি এসে পৌঁছায়, যে তাদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মামলার শুনানি সেই দিনের মতো শেষ হয়।
আরও পড়ুনঃ সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার পর্দায় ধরা পড়তে চলেছে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর প্রেমের গোপন অধ্যায়! কোন অজানা কাহিনী অপেক্ষা করছে দর্শকের জন্য?
এরপর কুর্চি অয়নদীপের কাছে গিয়ে ডিভোর্সের দাবি করতেই, সে কুর্চির চরিত্র নিয়ে অকথ্য আক্রমণ শুরু করে। কমলিনীর অনুপ্রেরণায় কুর্চিও পরকীয়া করছে, বলে অয়নদীপ। অপরদিকে কুর্চির কথায় স্পষ্ট, অয়নদীপ মানসিক রোগী। মেয়েদেরকে সন্দেহ করে, অত্যাচার করে। ছোটবেলায় তার মা বাড়ি ত্যাগ করেছিল বলে, সব মেয়েকে সে অসম্মান করে। কুর্চিকে অয়নদীপ হুমকি দেয়, বাড়ি গিয়ে মেরে আসবে। তাদের এই কথোপকথন কুর্চি, অয়নদীপের অজান্তেই রেকর্ড করে নেয়।
“শুভশ্রীর সঙ্গে ছিলাম মাত্র ৪ বছর, রুক্মিণীর সঙ্গে ১২ বছর!” শুভশ্রীকে প্রতি কথায় অপমান করেন কেন? ‘বুড়ো ভাম, অন্যকে ছোট করার আগে নিজের দিকে তাকান!’ ‘শুভশ্রী আজ সফল, তোমরা শুধু সহ’বাস করেই যাও!’– দেবকে কড়া ভাষায় নিন্দা ভক্তদের!