স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, কমলিনী খুব চিন্তায় পড়েছে বাড়ি ফেরা নিয়ে। এমন সময়ে রিসোর্ট এর একজন কর্মচারী এসে জানায় তাদের রাতের খাবার তৈরি আছে। এরপর তাকে বাইরের পরিস্থিতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে স্বতন্ত্র। লোকটি জানায়, এখনো বৃষ্টি থামেনি। সকালের আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া যথেষ্ট মুশকিল আছে।
অন্যদিকে ‘অধরা মাধুরী’তে সবাই খুব উদ্বিগ্ন কমলিনীর বাড়ি না ফেরা নিয়ে। রাত এগারোটা বেজে গেলেও কমলিনী বাড়ি না ফেরায়, হঠাৎ করে বড় ছেলে বুবলাইয়ের মায়ের জন্য চিন্তা শুরু হয়। বুবলাই বলে, থানায় ‘মিসিং ডায়েরি’ করতে চায় মায়ের নামে। কুর্চি, মিঠি-বাবিল, সবাই এই কথায় আপত্তি জানায়। কুর্চি বলে, কমলিনী নতুনের সঙ্গে গেছে। তাঁরা দুজনে প্রাপ্ত বয়স্ক, কি কারণে হারিয়ে যাবে।
বর্ষা এবার বলে ওঠে, এতদিন চন্দ্র বাড়িতে ছিল না। এবার তার ফিরে আসায় যদি স্বতন্ত্র নিজের অবস্থান হারানোর ভয়ে কমলিনীকে মে’রে কোথাও গু’ম করে দেয়! কুর্চি খুব রেগে গিয়ে প্রতিবাদ করে এই কথার। এদিকে চন্দ্রের বড় মাসিও প্রতিবাদ করে, তবুও বুবলাই আর চন্দ্র থানায় যেতে চায়। চন্দ্র হঠাৎ বলে, এখনও তার সঙ্গে কমলিনীর বিচ্ছেদ হয়নি। এখনও সে তার সন্তানের মা, তাই চিন্তা হচ্ছে।
চন্দ্রের মাসি এবার প্রতিবাদ করে বলে, এতদিন এই সন্তানের মা’কে রেখে পালিয়ে গিয়ে অন্য সংসার পাতার সময় চিন্তা হয়নি? এখন ফিরে এসে দুটো মিষ্টি মিষ্টি কথা বললে, কেন কমলিনী তাঁকে মেনে নেবে! বুবলাই মাসিকে বাবার অপমান করছে বলে, সাবধান করে ঘরে যেতে বলে। এবার চন্দ্রের মাসি রেগে গিয়ে বুবলাইকে কটাক্ষ করেন, যে না পেরেছে নিজের চাকরি টিকিয়ে রাখতে আর না পারছে বউকে সামলে রাখতে।
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘ বিরতির পর দেবী রূপে ফিরছেন পায়েল দে! মহালয়ার ভোরে কোন চ্যানেলের পর্দায় দেখা যাবে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’?
এখন ক্ষিপ্ত হয়ে মা’কে কা’মড়ে আঁ’চড়ে নিচে নামাচ্ছে রোজ। এবার স্বামীর পক্ষে দাঁড়িয়ে মাসিকে বাড়ির অথিতি বলে চুপ থাকতে বলে। মাসি উল্টে বলেন, বর্ষা এই বাড়িতে বিনা অধিকারে আছে আর সে কমলিনীর দেওয়া অধিকারে। এমনিতেই নিজের কেচ্ছায় মুখ দেখাতে না পেরে বর্ষাকে বাপের বাড়ি যেতে হয়েছিল, কমলিনী আবার ফিরিয়ে এনেছে। অন্যদিকে দেখা যায়, কমলিনী-স্বতন্ত্র একসঙ্গে খাওয়ার খেতে খেতে মনের কথা ভাগ করে নিচ্ছে।