স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আদালতে শুনানি চলছে। বুবলাই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে, কমলিনীর উকিল তাঁকে প্রশ্ন করতেই সে বলে, মায়ের পর’কীয়া সমর্থন না করায় স্বতন্ত্র তার চাকরি কেড়ে নিয়েছে। এরপরেও যদি তার মা স্বতন্ত্রের সঙ্গে সংসার পেতেন, তাহলে আ’ত্মহ’ত্যা করবে সে। তার স্ত্রী বর্ষা এবং শশুরবাড়ি লোকেরা অনেক কথা শোনায় মায়ের চরিত্র নিয়ে।
কমলিনীর উকিল বুবলাই যে অফিসে কর্মরত ছিল, সেখানকার প্রধানকে ডেকে পাঠায়। তিনি আদালতে এসে, কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে প্রমাণসহ জানিয়ে দেন যে বুবলাইকে তারা কারোর কথায় কাজ থেকে বাদ দেয়নি। বরং স্বতন্ত্র নিজে গিয়ে বুবলাই এর সুপারিশ করায় তাঁকে চাকরিতে নেওয়া হয়েছিল, এবং ছড়ানোর সময় স্পষ্ট বলে দেওয়া হয় যে কোম্পানির অবস্থা আশঙ্কাজনক তাই এই সিদ্ধান্ত।
কমলিনীর উকিল এরপর বর্ষার অতীতের কে’চ্ছার সমস্ত তথ্য প্রমাণ আদালতে জমা দিয়ে বলে, নিজের চরিত্রে সমস্যা এবং স্বামী ত্যাগ করার পরেও শাশুড়ি ফিরিয়ে এনেছিল। এখন সেই শাশুড়ির চরিত্র নিয়েই কথা বলছে। বুবলাই যে স্ত্রী এর কথায় প্রভাবিত এবং অহেতুক কল্পনা করে মিথ্যা বলা তার স্বভাব, প্রমাণ করে দেয় কমলিনী র উকিল। চন্দ্রর উকিল এবং চন্দ্র দু’জনেই কোনও কথা বলতে পারে না, সেইদিনের মতো শুনানি শেষ হয়।
পরবর্তী তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে, বলা হয়। পরদিন অনন্যা অধরা মাধুরীতে সকাল সকাল হাজির হয়ে কমলিনীর খোঁজ করতে থাকে। কমলিনী আসলে অন্যনা হাত জোড় করে বলে, কয়েকটা দিনের জন্য স্বতন্ত্রকে ছেড়ে দিতে। কারণ প্লুটোর বিয়ে ঠিক হয়েছে এবং বাবা মায়ের পরে তার প্রধান অভিভাবক কাকা। সামাজিক নিয়মে তাই অনন্যার ছেলের কাকার উপস্থিতি একান্ত কাম্য। কমলিনী এই ব্যবহার এবং কথার প্রতিবাদ করে।
আরও পড়ুনঃ লীনা গাঙ্গুলির নতুন গল্পে গৌরব-শন একসঙ্গে! নায়িকার নাম নিয়ে টেলিপাড়ায় জোর ফিসফাস! দুই নায়ক, এক নায়িকা, ফের কী আসছে প্রেম নিয়ে প্রতিযোগিতার গল্প?
উত্তরে অনন্যা বলে ওঠে যে এখন সব জায়গায় স্বতন্ত্র কমলিনীর সঙ্গে যাচ্ছে, এমনকি রাত পর্যন্ত কাটাচ্ছে। এক কথায় বলতে গেলে কমলিনীর হাতের পুতুল, এসব কথা সহ্য করতে না পেরে কমলিনী স্বতন্ত্রকে ফোন করে ডেকে আসতে বলে বাড়িতে। তারপরেও অনন্যা একাধিক অপমান করায়, মিঠি সহ্য করতে পারে না। মায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলে অনন্যাকে। অনন্যা বলে, এই বাড়ি তার দেওরের, সে দান করেছে ঠিকই তবে এই বাড়িতে তার অধিকার এখনও আছে।
“আমি এতদিন যা বলেছি ঠিক বলেছি…কোনও আক্ষেপ নেই, আবারও বলব!” “আজকাল কেউ কু’কুরকে “কু’কুর” বললেও লোকে তেড়ে আসে!”— দীর্ঘদিনের বিতর্ক নিয়ে অকপট মমতা শঙ্কর! সমালোচনার জবাবে মুখ খুলতেই ফের জড়ালেন নয়া বিতর্কে!