বিয়ের প্রমাণ নিয়ে হাজির সোহিনী! ডিভোর্স দিয়ে এবার চন্দ্রকে বিদায় করবে কমলিনী! ভালোবাসার নামে প্রতারণা, সন্তান নিয়েও করেছিল নাটক! চরম অপমানের মুখে বাড়ি ছাড়তে চায় কমলিনী! কমলিনীকে আটকাতে মরিয়া মিটিল-মিঠি!

স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, কমলিনীকে ধারাবাহিকভাবে অপমান করছে দেখে মিটিল প্রতিবাদ করে। বুবলাই আর বর্ষাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে হবে মিটিল, এই কথা শুনেই বুবলাই রেগে যায়। সে বলে, এই বাড়ি থেকে আমৃত্যু কোথাও যাবে না। কমলিনী জানিয়ে দেয়, এই বাড়ি এখন নতুনের। সেই যদি না চায় তাহলে কেউ এই বাড়িতে থাকতে পারবে না, দরকারে কোর্টের অর্ডার এনে বের করে দেওয়া হবে।

চন্দ্র এবার কমলিনীকে বলে, নতুনের সঙ্গে পুজো দিতে গেল কিন্তু স্বামীকে একবারও বললো না। এই কথায় কমলিনী জানায় যে চন্দ্রকে সে স্বামী বলে মানেই না। বুবলাই এই কথাকে কেন্দ্র করে আবার অপমান শুরু করে, এদিকে চন্দ্রের মা কমলিনীকে বোঝাতে থাকেন স্বামীর কোনও দোষ হয় না। কুর্চি এবার প্রতিবাদ করে বলে, যাঁকে নিয়ে এতো সমস্যা অথচ তাঁরই বাড়িতে থাকতে লজ্জা লাগে না? এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সোহিনী মেয়েকে নিয়ে কমলিনীর মুখোমুখি এসে দাঁড়ায়।

সোহিনী জানায়, তাদের হোটেল থেকে বের করে দিয়েছে টাকা না দিতে পারায়। চন্দ্রের কাছে টাকার দাবি করে সে, চন্দ্র না দেওয়াতে কমলিনীর সামনে অবশেষে সোহিনী স্বীকার করে নিজের পরিচয়। সোহিনী বলে যে চন্দ্র হোটেলে গিয়ে তাঁর স্বামীর পরিচয় দিচ্ছে, এদিকে এখানে সংসার করছে। অতীতে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গেছে বলে সোহিনীকে সে বিয়ে করে, পরবর্তীতে এক সন্তানও হয়। তারপরে সব টাকা উড়িয়ে এক রাতের মধ্যে পালিয়ে এসেছে এখানে। সোহিনী জানায়, সে প্রমানও দিতে পারে।

সোহিনী জানিয়ে দেয়, যদি চন্দ্র তাদের সঙ্গে ফিরে যায় তবেই, নাহলে এই বাড়িতেই চন্দ্রের স্ত্রীর পরিচয়ে থাকবে সে। কমলিনী টাকা দিয়ে সাহায্য করে তাদের, এদিকে সবাই চন্দ্রের কুকীর্তি বিশ্বাস করলেও বর্ষা-বুবলাই কিছুতেই করে না। কমলিনী বর্ষার উদ্দেশ্যে বলে, যার নিজেরই এতো কেচ্ছা আছে, সে লোকেরটা কি করে করবে? বাড়ির অনেকেরই স্বার্থ আছে তাই অন্যায়ের পক্ষে থাকলেও, কমলিনী ডিভোর্স দিয়ে বিদায় করবে চন্দ্রকে।

আরও পড়ুনঃ পা ভাঙা, বন্ধু বঞ্চনা আর ইউটিউব ট্রোল! আবেগঘন ভিডিওতেই আবার ট্রোলের শিকার সায়ন্ত মোদক!

সোহিনীকে চন্দ্র প্রতারক বলে অপমান করছে দেখে, তাঁর মেয়ে এবার প্রতিবাদ করে। অন্যদিকে কমলিনী বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে চায়। একই বাড়িতে সে স্বামীর অন্য স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করতে নারাজ। মিটিল, মিঠি, কুর্চি– সবাই মিলে কমলিনীকে আটকানোর চেষ্টা করে, কিন্তু সে নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। মিঠি নতুনকে ফোন করে সবটা জানতেই নতুন বলে, সন্ধের আগে সে আসতে পারবে না। ততক্ষণ যেন কমলিনীকে বাড়ি থেকে বেরোতে না দেয় মিঠি।

You cannot copy content of this page