স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আদালতে শেষ পর্যায়ের শুনানি নিয়ে চরম নাটকীয়তা শুরু হয়েছে। চন্দ্রের উকিল প্রথমেই কমলিনীকে কাঠগোড়ায় দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করেন, তার স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কেমন ছিল। খারাপ হলেও কমলিনী জানান, স্বামীর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিল একেবারে স্বাভাবিক, এমনভাবে যেমন সাধারণ দাম্পত্যে থাকা উচিত। এরপরই উকিল পরের প্রশ্নটা করেন, নতুনের সঙ্গে সম্পর্কটা কেমন ছিল?
তাতে কমলিনী দ্বিধা ছাড়াই বলেন, নতুন তাঁর খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এক বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক যেমন হওয়া উচিত, ঠিক তাই তাদের সম্পর্কও ছিল। কিন্তু তখনই আদালতের চিত্রটা বদলে দিতে শুরু করে চন্দ্রের উকিল। তিনি বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেন যে কমলিনীর কথার আরেক মানে বের করতে। আর সেই বিবৃতি চাপে এসে পরপরই কমলিনী নিজেই স্পষ্ট করে দেন, কুড়ি বছর আগেই তাঁর স্বামীর প্রতি যে প্রেম ছিল তা মরে গিয়েছে, আর তিনি আর সেই সম্পর্ক রাখতে চান না।
আরও বলেন, স্বামী অসৎ একজন ব্যক্তি, যিনি সবাইকে ঠকিয়েছেন। সোহিনীর চিঠি হাতে পাওয়ার পর সবই বোঝা গেছে, সেজন্য তিনি বাধ্য হয়েই আলাদা হতে চাইছেন। কমলিনীর উকিল বলেন, কুড়ি বছর আগে চন্দ্রের স্বামী হিসেবে আচরণ ও পরবর্তীতে সোহিনী-র সঙ্গে পরকীয়ার ঘটনা কিভাবে চাপা পড়ে গেছিল। কমলিনীর উকিল তা তুলে ধরে বলেন, চন্দ্র যখন বাড়ি ফিরে আসেন, কয়েক দিনের মধ্যেই সোহিনী ও তাঁর মেয়ে সেখানেই হাজির হয়েছিলেন, কিন্তু পরে তাদের কোনওভাবে টাকা দিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এই অভিযোগের মোকাবিলায় চন্দ্র কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করেন— ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, বাবার সঙ্গে চেহারার মিলের কারণে সোহিনীর সন্তান তাঁকে বাবা বলে ডেকেছে, কখনোই তিনি সোহিনীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন না, বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বিচারকের কাছে অনুরোধ করেন, শেষ জীবনে তিনি নিজের স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গেই থাকতে চান, তাই ডিভোর্স না দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন। মামলার উত্তেজনা তখনই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয় যখন বিচারক জানান, আজকেই রায় শোনানো হবে।
আরও পড়ুনঃ “সবার সৌভাগ্য হয় না শাঁখা-পলা-সিঁদুর পরার!” থেকে “চরিত্রের চাহিদায় সব করতে হয়!”— ফের বিতর্কে জড়ালেন মধুবনী এই দ্বিচারিতার জন্য! ‘কিছুদিন আগে শাঁখা-পলা খুললে স্বামীর অমঙ্গল নিয়ে বড় বড় কথা, এখন ‘চিরসখা’তে নিজেই খুলে ফেললেন!’— দর্শকের কটা’ক্ষে সরগরম সমাজ মাধ্যম!
ঠিক তখনওই আদালত কক্ষে শেষ মুহূর্তে প্রবেশ করে মিটিল, সঙ্গে আছেন সোহিনী ও তাঁর মেয়ে। তাদের উপস্থিতি মুহূর্তেই পরিবেশে নড়েচড়ে বসার মতো জাগায় এনে দেয়। নতুন সাক্ষী, নতুন তর্ক এবং এমনকি অতীতের জমে থাকা প্রশ্নগুলো আবারও সামনে আসবে। কোর্টরুমে উপস্থিত সবার চোখ কেড়ে নিয়েছে এই অনাকাঙ্ক্ষিত আবির্ভাব। এখন দেখার বিষয়, মিটিল-সোহিনীর আগমন কি কমলিনীর পক্ষে সুবিচার নিশ্চিত করবে, নাকি চন্দ্রের কথার কোনও নতুন প্রমাণ উঠে আসবে যা রায়কে অন্য দিকে ঠেলে দেবে!