“সবার সৌভাগ্য হয় না শাঁখা-পলা-সিঁদুর পরার!” থেকে “চরিত্রের চাহিদায় সব করতে হয়!”— ফের বিতর্কে জড়ালেন মধুবনী এই দ্বিচারিতার জন্য! ‘কিছুদিন আগে শাঁখা-পলা খুললে স্বামীর অমঙ্গল নিয়ে বড় বড় কথা, এখন ‘চিরসখা’তে নিজেই খুলে ফেললেন!’— দর্শকের কটা’ক্ষে সরগরম সমাজ মাধ্যম!

গত মাসের শুরুর দিকেই, মোটা শাঁখা-পলা ও সিঁদুর পড়া নিয়ে ঘটা করে পোস্ট এর পর বিতর্কের শিরোনামে আসেন অভিনেত্রী ‘মধুবনী গোস্বামী’ (Madhubani Goswami)। সামাজিক মাধ্যমে নানা রকম সমালোচনা হয়েছিল তাঁকে ঘিরে, এমনকি তাঁর ব্যক্তিগত মনোভাব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। বর্তমানে স্টার জলসার ‘চিরসখা’ ধারাবাহিকে এক আইনজীবীর চরিত্রে দেখা যায় তাকে। তবে সমালোচনা বন্ধ হয়নি, অভিনেত্রী সেটার সুযোগই দেন না বলা চলে। এবার যেন সেই বিতর্ক আরও জোরালো!

সমালোচনার ঢেউ যত বাড়তে থাকে, ততই জনমনে কৌতুহল— ছোটপর্দায় ফিরে মধুবনী আগের রূপে কাজ করছেন না কেন, নাকি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বদলেছেন? এই ধরনের প্রশ্ন ঘুরেফিরে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। দীর্ঘ বিরতির পর তিনি আবার ছোটপর্দায় ফিরেছেন। পর্দায় তার চরিত্রটিকে কোনও শাঁখা-পলা এবং সিঁদুর পড়তে দেখা যাচ্ছে না। দর্শকরা তাই প্রশ্ন তুলছেন, এতদিন আগে যিনি শাঁখা-পলাকে সধবা নারীদের চিহ্ন বলে বড়াই করেছিলেন। বলেছিলেন এই সুযোগ সবার হয় না।

তাই যেকোনও পরিস্থিতিতে এগুলো খোলা উচিত না, ‘স্বামীর অমঙ্গল’ হয়। সেই তিনিই এখন পেশার তাগিদে খুলে রাখলেন সেই শাঁখা-পলা! মধুবনী অবশ্য বিষয়টি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন এবং স্পষ্ট করেছেন যে সমাজ মাধ্যমে তাঁর লেখা পোস্টটুকু অনেকেই মনোযোগ দিয়ে পড়েননি, তাই ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেছেন, সেটে যে পরিবর্তন হচ্ছে তা কলাকুশল্যের অনুষঙ্গ— চরিত্রের স্বার্থে মেকওভার দরকার হলে সেটাই করতে হয়। এর সঙ্গে ব্যক্তিগত বিশ্বাস-আচার সংস্কারের কোনও সম্পর্ক নেই।

কাজের প্রসঙ্গে এসব পরিবর্তন স্বাভাবিক, আর সেটাই তিনি করছেন পেশাগতভাবে। চরিত্রের দাবি মিটাতে চেহারার বদল আনতে হয়—এটাই অভিনয়ের বাস্তবতা, আর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত-অধিকার প্রত্যেক শিল্পীরই থাকতেই হবে। মধুবনী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সেটে যা করতে হয় তাই হবে এবং ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও ধার্মিকতা নিয়ে অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন তুললে তা সম্মানহানিকর। যতই সমালোচনা হোক না কেন, মধুবনী নিজেই জানিয়েছেন খুব খুশি যে আবার সহঅভিনেতাদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ মিলেছে।

আরও পড়ুনঃ “যাদের কমরেড ভেবে পাশের বাড়ির ছেলের মতো মিশেছি, তারা আমার সেই রূপের মর্যাদা রাখেনি!” “এই পেশায় সবাই স্বার্থপর, আমিও আগের মতো উন্মুক্ত নই!”— খারাপ সময় সহকর্মীদের আচরণ নিয়ে রূপঙ্কর বাগচীর আক্ষেপ!

কিছুক্ষণের আড্ডা আর শুটিংয়ের কাজ তাকে আবার প্রাণবন্ত করে তুলেছে। ব্যক্তিগত জীবনও তিনি একা হাতে সামলাচ্ছেন—ছেলে কেশবের পড়াশোনা ও স্কুল এবং নতুন ব্যবসার দায়িত্ব, সবই তাঁর কাঁধে। এই ব্যস্ততা মাঝে মাঝে সমালোচনার কারণ হয়ে গেলেও মধুবনী পেশায় স্থিরতার সঙ্গে এগোবেন বলে দাবি করেছেন। অনুরাগীরাও এখন আনন্দিত যে বহুদিন পর তিনি ছোটপর্দায় ফিরে এসেছেন, আর মধুবনীও ভক্তদের ভালোবাসা পেয়ে দৃঢ় মনোভাবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন।