অগ্নির প্ল্যানে জব্দ কথা! বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছে অগ্নি, কী হতে চলেছে ‘কথা’তে? আসছে জমজমাট পর্ব

অবশেষে, কথা (Kothha) জানতে পেরে গেল পুরো ঘটনা। এভি’র বিয়ে নিয়ে জমে উঠেছে সিরিয়াল (Serial) ‘কথা’। গল্পের শুরুতে দেখা যায় জুনি গেছে তাঁর বাড়িতে এবং কথাকে অগ্নির বিয়ের ব্যাপারে সমস্ত কথা বলছে। আর এই দৃশ্য আড়াল থেকে গুহ বাড়ির বাকি সদস্যরা দেখছে। পাচক মশাইয়ের কথা শুনে বেজায় মন খারাপ তাঁর। কথা জুনিকে জিজ্ঞাসা করছে, তাঁর কথা কী সবাই ভুলে গেছে? সবকিছুর মাঝে কথা জুনিকে বলে “এবার থেকে তুই তোর বাপের বাড়িতে আসতে পারবি, কারণ এখানে আমি থাকবো”।

এই কথা শুনে জুনি বলে, সে আর এখন আসতে পারবে না কারণ আর কদিনের মধ্যেই বাড়িতে বিয়ে লাগতে চলেছে। আর বিয়ে মানেই প্রচুর কাজ। এই সময় জুনি কথার মুখ দেখে বলে তুই কোন চিন্তা করিস না, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। এইসবে কথা বলে “আমি তো পাচক মশাইকে ভালবাসতাম, তাই হয়তো আমার কষ্টটা একটু বেশিই হচ্ছে। তোর কষ্ট হচ্ছে না জুনি? আমি তো আর কখনোই ওই বাড়িতে যেতে পারবো না”। জুনি কথাকে সান্তনা দেয় ও কাঁদতে মানা করে।

Kothha today episode 23 january

কথা ও জুনির কথোপকথনের মাঝে এসে পরে অগ্নি এবং বলে সে কেন তাঁকে বলে আসেনি। কথা অগ্নিকে বলে, “বলে আসলেই বা কী করতেন পাচক মশাই? আর আপনি বা আমাকে এই সমস্ত কথা বলছেন কেন?”। আবার, এই সময় সঙ্গীতা তাঁর ছেলের বিয়ের কার্ড দিয়ে নিমন্ত্রণ জানায় কথা’কে। কার্ডের ওপর অগ্নিভ ও কনকচাঁপা নামটা দেখে আরও বেশী করে চোখ দিয়ে জল পরতে থাকে। বিয়ের কার্ড দেখে সঞ্চিতাকে কথা বলে বাচক মশাই সুস্থ থাকুক ভালো থাকুক এটাই সে চায়।

কথাকে আরেকটু রাগিয়ে দিয়ে সঞ্চিতা তাকে বলে, অগ্নির বিয়ে ভালোভাবে উৎরে দেওয়ার জন্য তাঁকে গুহ বাড়িতে গিয়ে থাকতে হবে। সঞ্চিতা তাঁর কথা মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করে এভি’র জন্য যে পাত্রী নির্বাচন করা হয়েছে সে খুব ভালো মেয়ে। এইসব শুনে অগ্নিভ বলে, “কথা ভাবছে আমি ওকে মুক্তি দেবো। ও তো জানে না আমিই ওকে বিয়ে করবো”। এইসব দেখে জুনি ভাবে, “ইস, কথাটা কত কষ্ট পাচ্ছে”।

আরও পড়ুনঃ আমার স্বামী একটা সময় দলটার জন্য প্রাণপাত করেছে, আজ আমার সেটা ভাবতেই লজ্জা লাগে! অভয়ার বাবা-মায়ের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বি’স্ফোরক নন্দিনী পাল

এই সময় অগ্নিভ ভাবে, “এবার কথা জব্দ হবে”। সবাই চলে যাওয়ার পর কথা খুব কান্নাকাটি করতে থাকে। ওদিকে, এভি বাড়ি চলে গিয়ে কাজ করছে আর মনে মনে ভাবে “কথা মেয়েটাই এমন ওকে না ভালোবেসে পারা যায় না”। অন্যদিকে, বাড়িতে কথা সন্ধ্যে দিতে থাকে আর ভাবে পাচক মশাই যেনো তাঁর সামনেই উপস্থিত আছে। দেখা যায়, কথা ও অগ্নির মনের মধ্যে নানা ধরনের কথা চলছে। আগামী দিনে কথা কী সত্যিই আসল সত্যিটা জানতে পারবে যে অগ্নির পাত্রী আর কেউ নয় সে নিজেই।

Notifications Powered By Aplu