টেলিপাড়ায় সিরিয়াল বন্ধের খবর এখন আর হট টপিক নয়। মাত্র মাস তিনেক সম্প্রচারের পরেই বন্ধ হয়েছে একাধিক ধারাবাহিক। কয়েকদিন আগেই শেষ সম্প্রচার হয়ে গেল স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘বাংলা মিডিয়াম’ -এর। শেষ হয়েছে অন্য একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক খেলনা বাড়ি-ও।
টিআরপি কম হলেই দুমদাম বন্ধ হচ্ছে বাংলা সিরিয়াল। স্টার জলসা হোক বা জি বাংলা সর্বত্রই এক চিত্র। মাত্র তিন মাস সম্প্রচারের পরও বন্ধ হচ্ছে অনেক বাংলা ধারাবাহিক।
কয়ে সপ্তাহ আগেই শেষ হয়েছে বাংলা মিডিয়াম ধারাবাহিকের শ্যুটিং। তার মাঝেই টেলি পাড়ায় জোর গুঞ্জন বন্ধ হচ্ছে আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক। আজকাল যদিও বেশির ভাগ সিরিয়ালের মেয়াদ ৮ মাস।
আর সেই আট মাসেই শেষ হল সুকৃত সাহা ও অয়ন্যা রায় অভিনীত জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’। ১১ নভেম্বর শেষ হয়েছিল এই ধারাবাহিকের শুটিং। ১৯ নভেম্বর ছিল শেষ সম্প্রচার। শুরুতে টিআরপি তালিকায় ভালো ফল করেছিল এই ধারাবাহিক। কিন্তু যত এগিয়েছে ততই তলানিতে এসে ঠেকেছে এই পিরিয়ড ড্রামা। প্রতিদ্বন্দ্বি ‘কার কাছে কই মনের কথা’র সঙ্গে কোনওভাবেই পেরে উঠতে পারল না এই মেগা সিরিয়াল।
সুকৃত সাহা ও অয়ন্যা রায়ের পাশাপাশি একাধিক অভিজ্ঞ মুখেরাও রয়েছেন। রয়েছেন শ্রীময়ী চট্টরাজ, গীতশ্রী রায়, কুণাল চক্রবর্তী, সোহিনী সান্যালদের মতো টেলিপাড়ার নামজাদা অভিনেত্রীরাও। পুজোর আগেই শোনা গিয়েছিল বন্ধ হবে অ্যাক্রোপলিস এন্টারটেনমেন্টের গাঁটছড়া, সেই স্লটেই আসে এই প্রযোজনা সংস্থার ‘কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’।
শেষের পর্বে, সিরিয়ায়লের খবর এগিয়ে গিয়েছিল কয়েক বছর। বড় হয়ে যায় মানিক ও কমলা। তারপর শেষ হল কমলা ও মানিকের মিষ্টি দাম্পত্যের গল্প। এ প্রসঙ্গে, এক নেটিজেনের মত,’ অতঃপর, শেষ হলো এক রূপকথার গল্প। এক সাহিত্য, একটা নস্টালজিয়া,আর শেষ হলো সব কল্পনা,স স্বপ্ন। এই ছোট্ট সময়ের পথচলার সাক্ষী হতে পেরে আমরা আনন্দিত,তবে বিদায় টা এতো তাড়াতাড়ি হবে কখনো ভাবিনি,আমরা নাহয় ধরে নিলাম ওদের সংসারটা পর্দার আড়ালে চলতে থাকবে শুধু আমরা থাকবনা। সেই বাতাবি গাছটা একদিন বড় হবে, ছোট্ট হাতের ছাপ দুটো থেকেই যাবে। কিন্তু এগুলো মন কে শান্তনা দেওয়ার জন্য, মনতো মানতেই চাইছে না, কি করে মানবে? এত ভালোবেসে ফেলেছিলাম যে! ওদের অবুঝ সংসার টা পরিণত হলো কিনা সেটা না দেখার আক্ষেপটা থেকেই গেলো..’
টেলিপাড়ায় জোর গুঞ্জন ‘কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’-এর স্লটে দেখা যাবে, ব্লু প্রোডাকশনের আসন্ন মেগা গীতা LL.B। প্রকাশ্যে এসেছে ধারাবাহিকের প্রোমো। প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, কোন জখম রাহাজানি চুরি বাটপারি বা শ্লীলতাহানি সবরকম কেস সামলাতে আসছেন গীতা এল.এ.বি। আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত বাড়ির মেয়েদের মতই বাড়ির সমস্ত দায়ভারও তাঁর ঘাড়ে। জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ কি না পারে সে। দেইনা উকিলের ড্রেস পরে কাজে বেরোবে, অমনি কেউ বলছে ইসবগুল এনে দিস তো! কারো আবার দাবি লাইটের বিল জমা দিতে হবে।
সকলের কথা শুনতে শুনতে জেরবার গীতা। তারমাঝেই ভগবানের কাছে প্রার্থনা একটা কেস যেন পেয়ে যাই। আর কেস পেয়েই, কেস জন্ডিস। গীতার কাছে আসে এক অপহরণের কেস। তবে অপহৃত মানুষ নয়। অপহৃত এক ছাগল। শুনেই রেগে লাল গীতা। বলে ওঠে, “কোর্টে আমার মুখ চলে আর বাইরে হাত।” যা দেখে হেসে কূটোপাটি দর্শকমহল