পেয়ার হো তো অ্যায়সা! সুধা-তেজের ভালোবাসা দেখে অবাক প্রতিবেশী থেকে বাড়ির লোক!

ধারাবাহিক ‘শুভ বিবাহ’-তে শুরুর দিন থেকেই ( Subho Bibaho new episode) চলছে জমজমাট পর্ব। সুধা চাইছে সত্যিটা তেজের পরিবারকে জানিয়ে দিতে, তবে তেজ বলেছে এটা সঠিক সময়ে নয় বলার। সুধা যে ডিভোর্সি সেটা যদি তেজের পরিবার জানে, পরিবারের মানুষগুলো কষ্ট পাবে। ঠাম্মি পুজো দিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছে, বাড়িতে এসে বুঝতে পারে সবকিছু যেন কেমন পাল্টে গিয়েছে দুদিনেই।ঠাম্মি তেজের ঘরে গিয়ে দেখে দরজা খোলা, এদিকে সদর দরজা খোলা এসব দেখে বিরক্ত বোধ করে। ধারাবাহিকে দেখা গেছে, জ্যোৎস্না ঠাম্মির কান ভাঙাতে থাকে। সুধা নিয়মকানুন মানছে না এসব বলে বিব্রত করে। ঠাম্মি বলতে থাকে সুধা কি করেছে তুমি জানো না। ঠাম্মি বলে যে তেজ বাড়িতে ছিল না, কিন্তু ওকে বাঁচাতে সমস্ত দোষ নিজের ঘাড়ে করে নিল।

ধারাবাহিকে দেখা গেছে, সুধা আরতি করছে, সবাই চোখ বন্ধ করে ঠাকুর প্রণাম করছে। ত্বরিতা সে সময় এমন জায়গায় প্রদীপ রেখে দেয় যাতে সুধার আঁচলে আগুন লেগে যায়। তেজ সেই আগুন দেখতে পায় এবং নিজের হাত দিয়েই আগুন নিভিয়ে দেয়। তেজ বলে একটু দেখে কাজ করতে। ত্বরিতা সুধাকে বলে, কত বড়ো বিপদ হতে পারত। ‌ ঠাম্মি পুরো ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করে। জ্যোৎস্না বলে যে এর আগে এমন ঘটনা আমাদের বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটেনি তবে কোন অঘটন হবে না তো। ঠাম্মি উত্তর দেয়, এর আগে আমাদের বাড়িতে কেউ শলা পরামর্শ করেনি। বলে এই যে ত্বরিতা করেছে। ত্বরিতা অবাক হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ঠাম্মি বলে, তুমি কি ভাবলে আমি বুঝতে পারিনি। ঠাম্মির কথা বিশ্বাস করতে চায় না ত্বরিতা, বলে কোনো প্রমাণ আছে। ঠাম্মি বলে তোমার শাড়ির আঁচলেও প্রদীপের তেল লেগেছে। ত্বরিতাকে অনেক বকা খেতে হয় ঠাম্মির কাছে। সুধাকে সকলে তৈরি হয়ে নিতে বলে তার নিজের বাড়ি যাওয়ার জন্য। ঠাম্মির মায়ের দেওয়া সেই গয়নাটা পরেই রেডি হতে বলে, কিন্তু সুধা সে গয়না কোথাও খুঁজে পায় না। তেজ বলে আপনি গয়নাটা হারিয়ে দিলেন, সুধা বলে আমি হারাইনি হয়তো ওবাড়িতে আছে গয়নাটা।

ধারাবাহিকের আগামী পর্বে (Subho Bibaho) দেখা যাচ্ছে, সুধার বাড়িতে এসে পৌঁছেছে তেজ-সুধা। প্রতিবেশীরা সকলে অপমান করতে থাকে। কেন মিথ্যে কথা বলে সুধার বিয়ে দেওয়া হয়েছে এ নিয়ে আপত্তি জানায় প্রতিবেশীরা। এদিকে নন্টে এসে সুুধার হাত ধরতে যায়, তখনই তেজ থাপ্পড় মারে। নন্টে জিজ্ঞেস করে জামাইবাবু এভাবে আপনি আমাকে মারলেন। তেজ উত্তর দেয়, অনেকক্ষণ ধরে আমি সব কথা শুনেছি। সুধা এখন আর এই পরিবারের মেয়ে নয়, আমাদের পরিবারের বউ। আর আমাদের পরিবারের বউকে অপমান করার সাহস কারণ নেই। কথাটা বুঝে রাখুন।

প্রসঙ্গত, তেজ এভাবে সুধার পাশে এসে দাঁড়ালে, পাড়া-প্রতিবেশীরা চুপ করে যায়। প্রতিবেশীরা বলে আমরা ভালই বলতে চাইলাম, তুমি আমাদের ভুল বুঝছো। তেজ বলে আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপারে যদি নাক গলাতে আসেন, তবে পুলিশকে জানাবো। সুধা ভাবতে থাকে এই মিস্টার বসু মল্লিক আমার জন্য এদের সাথে লড়াই করছে। সুধা ভাবতেই পারছে না তেজের এমন ব্যবহার। তেজ শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে চায় না, জানায় সুধাকে দিয়ে গেলাম, আবার এসে নিয়ে যাব। ঠাম্মির জোরাজুরিতে বাড়িতে ঢুকলেও, খাবার খেতে চায় না তেজ।

আরো পড়ুন: অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে জগদ্ধাত্রী, অবস্থা বেগতিক দেখে কাঁদছে কৌশিকী

এদিকে সুধার ছোট স্টুডেন্টগুলো তার সাথে দেখা করতে এসেছে তাদের নতুন জামাইবাবুর জন্য আঁকা নিয়ে। তবে তাদেরকে খেতে দেওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। তেজ সেই আঁকাগুলি নিয়ে ওদের খেতে বসতে বলে। এদিকে বাড়ির লোকে সবাই ভাবে মেয়ের পাশে আছে জামাই। অদিতি ভাবে এত তাড়াতাড়ি তেজকে কি দিয়ে বশ করলো সুধা। কি হতে চলেছে আগামীতে জানতে হলে দেখতে হবে শুভ বিবাহ ধারাবাহিকটি (Subho Bibaho)

Back to top button