এই মুহূর্তে স্টার জলসার অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) এক নতুন পর্বে এসে পড়েছে। একদিকে যেমন সূর্য আর দিপার ডিভোর্স হয়ে গেছে সেখানে অন্যদিকে অর্জুন ফিরে এসেছে যে দীপা কে ছোটবেলা থেকে ভালোবাসতো কিন্তু কোনদিন মনের কথা সেভাবে জানাতে পারেনি। আবার মিশকা উস্কানি দেয় সূর্যকে। এবার আইনি পথে যাবে এই জুটি।
গত পর্বে দেখা গেছে যে দীপা কে আর দুঃখে দেখতে পারছে না তার বাপের বাড়ির লোকজন। তার দেওর বোন থেকে শুরু করে মা বাবা সকলে মিলে তাকে অনেক বোঝায় যে এবার তাকে নতুন করে জীবন শুরু করতে হবে তার সন্তানদের জন্য। এতে সে রাজি হয় এবং ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু হবে এরপর থেকে। আজকের পর্বে দেখা যায় দীপা তার সন্তানদের উপর অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য আইনি পথে চলার সিদ্ধান্ত নেয়।
অন্যদিকে মিশকা সূর্যকে ব্রেনওয়াশ করে যে সে চাইলে সোনা রুপা এই বাড়িতে থাকতে পারে এবং মিশকা তাদের উপর কোন দোষ দেবে না এবং ক্ষতি করবে না। সূর্য চাইলেই সোনা রুপার কাস্টডি দাবি করতে পারে আদালতে কারণ দীপা সেভাবে রোজগার করে না। তাই এই কেস জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা পুরোটাই সূর্যর। নিজের মেয়েদের ফিরে পেতে মরিয়া সূর্য এবার এই পথেই চলতে চায় এবং উকিল ঠিক করে কাগজপত্র তৈরি করতে বলে। সে সমস্ত সথা শুনে নেয় সূর্য ওর বাবা এবং প্রবীরবাবু এসে তার ছেলেকে যারপরনাই মারধর করে। সূর্যের কাকাই বাঁচাতে এলে প্রবীরবাবু তাকেও বলে দেয় যে তারা প্রশ্রয় দিয়ে এক অমানুষ তৈরি করেছে।
এবার উর্মি নিজের দিদির জীবন ঠিক করে দিতে সাহায্য নিতে যায় অর্জুনের কাছে। অর্জুন জানিয়ে দেয় সে কিছুটা জানে এই বিষয়টা তবে উর্মি সমস্ত কিছু বলতে যাওয়ার আগেই অর্জুন জানিয়ে দেয় সে দীপাকে সাহায্য করবে না। উর্মি অবাক হয়ে যায়। অর্জুন জানায় দীপা স্বাবলম্বী এবং আত্মসম্মান বোধে ভরপুর এক মেয়ে। তাই সে অন্যের সাহায্য নেবে না। আর অর্জুন চায় না সে দিপার লাঠি হয়ে থাকুক কারণ একবার লাঠি পেয়ে গেলে সেই লাঠি ছাড়া চলতে পারে না মানুষটি। তবে অর্জুন জানায় এই লড়াইয়ে সে পরোক্ষভাবে তাদের পাশেই আছে। দীপা উকিলের সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়ি যাওয়ার পথে জানতে পারে সেই উকিল এক সপ্তাহ আগে মারা গেছে।
এদিকে বাড়ি ফেরার পথে ফুচকাওয়ালা দেখে সে তাকে দাঁড় করায় এবং বাড়ির সবাইকে ডেকে এনে খাওয়ায়। ঠিক তখনই শুনতে পায় বাড়ির ভেতর পিয়ানো বাজাচ্ছে কেউ। সে এই ভেবে ছুটে যায় যে ডাক্তারবাবু এসেছে। কিন্তু গিয়ে দেখে পিয়ানো বাজাচ্ছে অর্জুন। অর্জুনের পিয়ানো বাজানোর আওয়াজে ছুটে আসে সোনা এবং রুপা। সোনার মনে পড়ে তার বাবা তাদেরকে কোলে বসিয়ে পিয়ানো বাজাতো। সেই কথা সে রূপাকে বলে এবং তাদের মনে কষ্ট হয়। অর্জুন কথাগুলো শুনে কিছুটা অবাক হয়।