ইমনের মুখে ঝামা ঘষলো তেজ, সকলের সামনে সুধাময়ীকে কাছে টেনে নিলো সে

স্টার জলসার (Star Jalsha ) নতুন এবং জনপ্রিয় ধারাবাহিক শুভ বিবাহ (Subho Bibaho) সুধা আর তেজের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি। তবে এই ধারাবাহিকটিতে অন্যান্য ধারাবাহিকের মতো শুধু ভালোবাসা নিয়ে টানাপড়েন ও সংসারের কুটকচালি প্রাধান্য পাবে না। কাহিনিটি একেবারে অন্য ধরণের বলে জানা গেল। সমাজের অনৈতিক নিয়মের বিরুদ্ধে বিরোধিতা করেই দুটি মানুষের ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠবে। এটাই দেখার তেজ কি সুধার জীবনে নতুন করে রং এনে দেবে? নাকি সুধার জীবনে ভালোবাসার রং আর ফিরে আসবে না।

শুভ বিবাহ আজকের পর্ব ১৮ই আগস্ট (Subho Bibaho Today Episode18th August)

ধারাবাহিকের শুরুতেই দেখা যায় বাড়ির সকলেই সুধা এবং তেজকে অনেকক্ষন ধরে ডেকে চলেছে। কিন্তু চাবি না পাওয়ায় তেজের দরজা খুলতে দেরি হয় আর তখন কবিতা উঁকি মেরে দেখার চেষ্টা করলে মেজো কাকিমনি তাকে তার বকা দিতে থাকে। এরম সময়ে সুধা তাকে চাবি খুঁজে দিয়ে দরজা খুলে দেয়।হঠাৎ জ্যোৎস্না এসে জানায় সুধাকে ঠাম্মা নীচে ডাকছে । ত্বরিতা উঁকি দিয়ে বিছানার অবস্থা খারাপ দেখলে সে ইমনকে বলতে ছোটে তেজ তার হাত থেকে বেরিয়ে গেছে। ঠাম্মা জানতে চায় তাদের বাড়িতে গণেশের জন্য রোজ নতুন নতুন রান্না হলেও কেন‌ বাজার শেষ হচ্ছে না? সমুদ্র সুধাকে সাবধান করে বলে নিজের খরচে সব এনে ঠাম্মার চোখকে ফাঁকি দিতে না। সমুদ্র চেষ্টা করে প্রসঙ্গ বদলাতে কিন্তু ঠাম্মা জানায় এরম কোন‌ও দিনই সম্ভব নয় কিন্তু সুধার কাজে খুশি হয় সে সঙ্গে মন ভরে সুধাকে আশীর্বাদ করে। ও ত্বরিতাকে সুধার থেকে কিছু শিখতে বলে।

অন্যদিকে তেজের সন্দেহ হয় সে ভেবে পায়না কি করে সুধা এই সব করছে। এরমধ্যে তেজ সমুদ্রকে অফিস নিয়ে যেতে চায় ও কিছু কাজ সামলাতে বলে। আর বিজিতের উপর রেগে যায় ইমন কারণ সে তথ্য দিতে পারছে না তাকে। তারপরেই সুধাকে ফোন করে তার ফুলের গয়নার তথ্য চায় সে।তা সুধা ভুল করে রান্না ঘরে রেখে দিয়েছিল সেটি। বিজিত তাকে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বললে সে চিরকুটকে তার ফোন ও ঘড়ি দিয়ে চলে যায়। আর চিরকুটের সন্দেহ হয়।

অন্যদিকে সমুদ্র ও তেজ গাড়ি নিয়ে অফিসের জন্য রওনা দেয়। তাদের গাড়ি সিগন্যালে পড়লে পাশের অটোতে সুধাকে দেখতে পায় সমুদ্র সে গার্ড করে দেয় যাতে তেজের চোখে না পড়ে সুধা। কিন্তু পরবর্তী সিগন্যালে সুধাকে দেখতে পায় তেজ আর সমুদ্র চেষ্টা করে তাকে বোঝানোর যে কোনও ভাবেই সুধার এইখানে আসা সম্ভব নয়। তেজ ট্র্যাকার দেখলে তা দেখায় সুধা বাড়ি আছে কারন তার ঘড়ি ছিল চিরকুটের হতে। সুধা বুঝতে পারে তেজ এবার থেকে তাকে সন্দেহ করবে।

ইতিমধ্যে সুধা এসে উপস্থিত হয় বিজিতের কাছে তথ্য তুলে দেয় তার হাতে ও ক্ষমা চেয়ে নেয় ইমন দেখে এগিয়ে আসতে থাকলে সুধা পালিয়ে যায়। ইমন সে কে? জানতে চাইলে বিজিত উত্তর না দিয়ে চলে যায়। কিন্তু সে কে জানতে উত্তেজিত হয় পড়ে ইমন। আর জ্যোৎস্না জানতে পারে আজ সুদীপ্ত একটা শো করবে একটা ক্যাফেতে জ্যোৎস্না উজ্জ্বলকে তার ভালোবাসার প্রমাণ দেওয়ার জন্য বলে ঠাম্মার কাছ থেকে অনুমতি পাইয়ে দিতে, উজ্জ্বল রাজি হলে ডলিও যাওয়ার জন বায়না করতে থাকে। উজ্জ্বল ঠাম্মার থেকে অনুমতি নিতে গেলে তেজ এসে সুধাকে খুঁজতে শুরু করে ঠাম্মা জানায় সে তো ঘরেই ছিল। চিরকুট জানায় সুধা তাকে পড়া মুখস্থ করাচ্ছিল শুনে ভাবতে বসে তেজ কিন্তু সুধা জানে সে বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকেছে। ঠাম্মা সকলকেই যাওয়ার অনুমতি দিয়ে দেয়। সকলে গিয়ে গান শুনতে থাকে এরমধ্যে ইমন বলে আজ সবাই সবার ভালোবাসার মানুষকে গোলাপ দেবে। তখন তেজ সুধার মাথায় একটা গোলাপ লাগিয়ে তাকে কাছে টেনে নেয় ।