টেলিপাড়ার জনপ্রিয় জুটি দোলন রায় আর দীপংকর দে। ৭৯ বছর বয়সী অভিনেতা দীপংকর দে তার অভিনয় শুরু করেন ১৯৭১ সালে সীমাবদ্ধ সিনেমা দিয়ে। তারপর একের পর এক বাংলা সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। তার ৫৩ বছরের অভিনয়ের জীবনে তিনি করেছেন ৬০ টির বেশি সিনেমা। পরমা, বাঞ্ছারামের বাগান, শত্রু, জন অরণ্য, শাখা প্রশাখা, আগন্তুক , আগন্তুকের পরে, একাই একশো, হর হর ব্যোমকেশ, বাদশাহী আংটি, হাঙ্গামা, সুদ আসল, তিতলি, স্বপ্ন, শ্বেত পাথরের থালা, চিত্রাঙ্গদা সহ একাধিক সিনেমায়।
বাংলা সিনেমা এবং ধারাবাহিক দুনিয়ায় অত্যন্ত চেনা মুখ দোলন রায়। সজনী গো সজনী সিনেমার হাত ধরেই তার অভিনয় জগতে পথ চলা শুরু হয়। তারপর মুক্তি, পাকা দেখা, চল কুন্তল, চারুলতা, আপন পর, অলীক সুখ ,ক্রিসক্রশ, অমানুষ, দৃষ্টিকোণ সহ অনেক সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। তাছাড়াও স্ত্রী, ঠিক যেন লাভ স্টোরি, মা, তোমায় আমায় মিলে, খেলাঘর সহ একাধিক ধারাবাহিকেও কাজ করেছেন তিনি।
বয়স শুধুই নম্বর মাত্র। তাই বয়স, সমাজের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০২০ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন অভিনেতা দীপংকর দে সঙ্গে। রবি ঘোষের নাটক দলে কাজ করার সময়ই পরিচয় হয় তাদের কিন্তু তাদের বয়সের ব্যবধানের তাকে বারবার কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছে। মাঝে তাই তিনি অভিনীত ছেড়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি ফিরে আসেন অভিনয় জগতে। সম্প্রতি মৃত্যু হয় দীপংকর দে-এর বড় মেয়ের। তবে শোনা যাচ্ছিল আবার তারা ফিরছেন অভিনয়ে।
আরো পড়ুন: “এরপর খাব কী? সংসার কিভাবে চলবে…?” রেডিও ছাড়ার পর পরিবারের ইনসিকিউরিটি সামলে কিভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন মীর?
কিন্তু তার আগেই শোনা গেল দু‘সংবাদ টেন্ট সিনেমার প্রযোজিত স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক বঁধুয়ার জন্য প্রথমে আবিরের মায়ের চরিত্রে নেওয়া হয় তাকে। পরে অনেক কষ্টে আবিরের দাদুর চরিত্রে রাজি করা হয় দীপংকর দেকে। পর্দায় স্বামীকে বাবা বলতে হবে এবং সেই নিয়ে ট্রোল হবে এই ভেবেই তাকে ধারাবাহিক থেকে বাদ দিয়ে দেয় ধারাবাহিকের প্রযোজনা সংস্থা। যদিও দোলন রায় এই বিষয়ে জানিয়েছেন এতে লোকসান হয়েছে ধারাবাহিকেরই। কারণ তিনি এই চরিত্রটি বেশি ভালো করতে পারবেন এবং শুরুতেই ট্রোলের ভয়ে তাকে বাদ দেওয়া হয় বলে তার মত।তো কি মনে হয় আপনাদের এই বিষয়ের কি কোনও প্রভাব পড়বে বঁধুয়া ধারাবাহিকে?