বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় আধ্যাত্মিক এবং ভক্তিমূলক ধারাবাহিকের বিশেষ কদর বরাবরই রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতা থেকেই বিভিন্ন সময় বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় বিভিন্ন সাধক চরিত্রের উপস্থিতি দেখা গেছে। যেমন সাধক বামাক্ষ্যাপা থেকে শুরু করে রামপ্রসাদ (Ramprasad)। তবে হালফিলে এই দুই চরিত্রই অভিনয় করেছেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী।
বলা যায় এই চরিত্রের মধ্যে নিজের সর্বস্ব নিবেদন করেছেন তিনি। টিআরপি তালিকায় দারুন কিছু ফল না করলেও বাঙালি দর্শকদের একাংশের কাছে এই ধারাবাহিকটি কিন্তু অত্যন্ত জনপ্রিয়। আসলে এই ধারাবাহিকের রামপ্রসাদ সেনের জীবনের অনেক অজানা কথাই দর্শকদের সামনে গল্প হয়ে ফুটে উঠছে। আর যা বেশ ভাল লেগেছে দর্শকদের।
এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে দেখানো হচ্ছে সংসার ধর্ম পালন করেও মা কালীর আরাধনা করে যাওয়া বাংলার প্রতিথযশা শাক্ত কবি রামপ্রসাদ সেন কীভাবে সংসারের মধ্যে থেকেও মাতৃ সাধনা করেছিলেন। বাঙালির কাছে রামপ্রসাদ সেনের জীবনী এবং গুরুত্ব এককথায় অপরিসীম। রামপ্রসাদী সুর আজও মানুষের মনে ঝড় তোলে।
এবং এই সুরকে আয়ত্ত করাও কিন্তু বেশ কঠিন। দর্শকরা চান এই ধারাবাহিককে সম্পূর্ণভাবে যেন বাস্তবসম্মত রেখে এগিয়ে নিয়ে যায় চ্যানেল। কোনরকম গাঁজাখুরি দৃশ্য যেন অন্তত এই ধারাবাহিক না ঢোকানো হয়। তাহলে এই ধারাবাহিকের সৌন্দর্য, মাধুর্য সবটাই নষ্ট হয়ে যাবে বলে অভিমত তাদের।
রাজলক্ষ্মী নামক চরিত্র
রামপ্রসাদ সেনের স্ত্রীর নাম সর্ব্বাণী। সেই অর্থে সংসার ধর্ম এখনও শুরু হয়নি তাঁদের। যদিও ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে ধীরে ধীরে। সর্ব্বানীও মা কালীর ভক্ত। যদি সম্প্রতি এই ধারাবাহী এসেছে রাজলক্ষ্মী নামক একটি চরিত্র।রামপ্রসাদ রাজলক্ষী একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। আর তা দেখে দর্শকরা বলছেন বলি হতে বাঁচাতে গিয়ে না গল্পের মূল বিষয় বস্তু থেকেই সরে আসে তারা। তাদের মতে এই ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে উল্টোপাল্টা কিছু ঘটলে সত্যি দর্শকের মনে ভীষণ রকমের আঘাত আসবে। যদিও এটা একটি ধারাবাহিক তাই আশঙ্কা থেকেই যায়