অভয়ার পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কটাক্ষের পরেই শ্রীলেখাকে সামাজিক বয়কটের ডাক! অভয়া ধ’র্ষণ-মৃ’ত্যুর এক বছরের পূর্তিতে প্রতিবাদে অংশগ্রহণের জের, অভিনেত্রীকে নিয়ে ব্যানার পড়ল সোদপুরে!

টলিপাড়ার ঠোঁটকাটা অভিনেত্রী ‘শ্রীলেখা মিত্র’ (Sreelekha Mitra) -এর নামে তাঁর বেহালার সোদপুরের বাড়ির সামনে বেশ বড় ধরনের ব্যানার পড়েছে, যেখানে তাঁকে সামাজিকভাবে বয়কট (Boycott) করার ডাক দেওয়া হয়েছে! সম্প্রতি ৯ অগাস্ট অভয়া ধর্ষণ-মৃত্যুর (Abhaya Protest) এক বছরের পূর্তিতে অভয়া মঞ্চে প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। শ্রীলেখা অভিযোগ করেছেন যে, সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে এবং সেই অভিযোগ হরিদেবপুর থানায় ইমেলের মাধ্যমে দায়ের করেছেন।

ব্যানারটি পড়ে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি ছড়িয়েছে, তবে অনেকেই এটি নিয়ে উস্কানি ও বিতর্ক তৈরি করছে। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র এই নিয়ে বলেছেন, “দেশের সেরা পার্টি বিজেপিকে জিজ্ঞেস করুন, তাদের সিবিআই কী করছে? শুভেন্দু অধিকারীও তো নবান্নে গিয়েছিলেন, তিনিই উত্তর দিতে পারবেন যে বিচার কেন হচ্ছে না।” শ্রীলেখা অভিযোগ করেছেন, রাজনীতির ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষদের স্বার্থকে উপেক্ষা করা হয় এবং ক্ষমতাধারীরা তাদের সুবিধার জন্য সবকিছু ব্যবহার করেন।

তিনি আরও বলেছেন যে, এই ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষদের জীবন বিপন্ন হয়ে যায় এবং দীর্ঘ সংগ্রামের পরও তাদের মূল্য পাওয়া যায় না। শ্রীলেখা উল্লেখ করেন, “প্রতিটা বাড়ির তামান্না, অভয়ারা এরম করেই ম’রে, আর মানুষ এদের হয়ে সারাজীবন লড়াই করে বলে তাঁদের চড়া দামও দিতে হয়।” তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার উদাসীনতার কারণে সাধারণ মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যায়, ফলে প্রতিবাদী মনোভাব জন্ম নেয়।

অভিনেত্রীর মতে, ক্ষমতাধারীদের কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের উপর কঠোর প্রভাব ফেলে এবং এ ধরনের প্রতিবাদের কারণ সৃষ্টি করে। এছাড়াও শ্রীলেখা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সরাসরি কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে সাধারণ মানুষ কী করবে তা একটি বড় প্রশ্ন। তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে, সরকারের উদাসীনতা এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতা সাধারণ নাগরিকদের অসন্তোষের মূল কারণ।

আরও পড়ুনঃ “স্বাভাবিক শৈশব হারিয়ে যাচ্ছে! বাচ্চাদের নৃত্যশিল্পীর বদলে অ্যাক্রোব্যাট বানানো হচ্ছে” – বর্তমান নাচের ধারা নিয়ে কড়া বার্তা মমতা শংকরের!

শ্রীলেখা মনে করেন, এই পরিস্থিতিতেই তিনি নবান্ন অভিযানের মতো প্রতিবাদী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছেন। অভিনেত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি কটাক্ষ করে ওই আন্দোলনের মঞ্চে বলেন, “ডাই’নি, তুই নাম চেয়ার থেকে শা’লা!” এই কথাটিই মূলত বয়কটের ডাকের পেছনের প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী মানুষজন এই কটাক্ষে হাততালি দিয়েছেন, কেউ কেউ হাসি-উল্লাসও করেছেন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।