‘বেস্ট ফ্রেন্ডকে গার্লফ্রেন্ড বানিয়ে নিলেন’! একদিকে সব প্রমাণ সূর্যের বিপক্ষে ওদিকে আজই দীপাকে গুলি করল মিশকা
শুধু টিআরপি নয় জনপ্রিয়তা নিরিখ এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম হিট এবং সুপার হিট সিরিয়াল হয়ে উঠেছে অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa)। গল্প একের পর এক সাসপেন্স এবং প্রতিটি পর্বে নতুন নতুন চমক এই সিরিয়ালের প্রতি ক্রমশ সদস্যদের আগ্রহ বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর তার সঙ্গে রয়েছে একটাই উত্তেজনা যে এই বুঝি ধরা পড়ে গেল মিশকার জারিজুরি।
মিশকা কিডন্যাপ করে দীপাকে
একদিকে যেখানে সূর্যকে খুনের দায়ে এবং মিশকার দেহ লোপাট করার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানে দীপা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে নিজের ডাক্তারবাবুকে নির্দোষ প্রমাণ করতে। আর ওদিকে মিশকা নানা ছদ্মবেশে সূর্যর কাছে আসার চেষ্টা করে চলেছে। বারবার সে বেঁচে যাচ্ছে। এরই মধ্যে পুলিশ অফিসার নিয়ে যায় সূর্যকে কোর্টে তুলতে। আর ওদিকে দীপা মিশকাকে আবার ধরে ফেলে ডাক্তারের ছদ্মবেশে কিন্তু দীপার চোখ ফাঁকি দিয়ে পালায় সে। তারপরে দীপা তাকে খুঁজতে বেরোলে অবশেষে দীপাকে কিডন্যাপ করে মিশকা সেন।
আজকের পর্বে
এর আগের পর্ব দেখা গেছে মিশকা কিডন্যাপ করে দীপাকে এক অন্ধকার জায়গায় নিয়ে গেছে এবং তার কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে তাকে মারার চেষ্টা করে। দীপা তাকে চ্যালেঞ্জ করে যে সে এই কাজটিও করতে পারবে না। এদিকে কোর্টে সূর্যকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে এবং একের পর এক প্রমাণ তার বিপক্ষে যাচ্ছে। মিশকার উকিল একের পর এক প্রমাণ হাজির করছে কাঠগড়ায় যেখান থেকে প্রমাণ হচ্ছে যে সূর্য আসল খুনি এবং সে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল।
এদিকে সূর্যের বাবা বলে পিস্তল তাদের বাড়িতেই থাকে এবং ওই পিস্তলটি লাবণ্য সেনগুপ্তর। অন্যদিকে পুলিশ অফিসার এটাও বলে যে তাদেরকে অনেকবার ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করেছে সূর্য এবং দীপা। তারা এটা বলে যে মিশকা সেন বেঁচে আছে কিন্তু তার স্বপক্ষে তারা কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। আর তাই মিশকার উকিল অবশেষে দাবি করে যে স্বামী স্ত্রীর এই চক্রান্তটা ফাঁস হয়ে গেছে বলে দীপা গা ঢাকা দিয়েছে। তাই দুজনের চরম থেকে চরম শাস্তির দাবি করে সে।
ওদিকে দীপা খেলা ঘুরিয়ে দেয় এবং মিশকাকে এমন নিজের কথার জালে ফাঁসায় যে মিশকার থেকে বন্দুক সে কেড়ে নেয় এবং তার কপালে বন্ধুর ঠেকায় দীপা। ওদিকে আসলে যে গুলিটা মিশকার বন্দুক থেকে বেরিয়েছিল সেটা দীপার গায়ে লাগেনি। দীপা পাল্টা ধমক দিয়ে বলে যে সে মিশকাকে মারবে না কারণ তার সঙ্গে তার দেহের ভেতর আরো একটা প্রাণ বেড়ে উঠছে যে নিষ্পাপ। এমন সময় সেখানে আসে তবলা এবং সে সময় নষ্ট না করে দীপাকে বলে মিশকাকে কোর্টে নিয়ে যেতে। তবে রাস্তায় যাবার পথে ব্যাপক যানজট দেখা যায়। অটো থেকে নেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে মিশকা। তখন তাকে ধরে বেঁধে সেখানে বসানো হয় এবং দীপা বলে তবলাকে যে সে মিশকাকে নিয়ে আসুক। এদিকে সে হাঁটা পথেই কোর্টের দিকে রওনা দেয়।