স্টার জলসার একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘গাঁটছড়া’। যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যায় অভিনেতা গৌরব চ্যাটার্জী এবং অভিনেত্রী সোলাঙ্কি রায়কে। প্রথম থেকে এই ধারাবাহিকে খড়ি ঋদ্ধির জুটি দর্শকের দারুন পছন্দের । তবে বর্তমানে সেই জুটি ভেঙ্গে গেছে আর খড়ির জায়গায় তার মতোই দেখতে একজন এসেছে যার নাম ঈশা কিন্তু ঋদ্ধির মনে হচ্ছে ঈশাই হল খড়ি।
তাই সে চেষ্টা করে যাচ্ছে ঈশার আসল সত্যি জানার। উল্টোদিকে ঈশা যে ডি অর্থাৎ ঋদ্ধির কাকার ষড়যন্ত্রের শিকার সেটাও কিছুটা হলেও বোঝা যাচ্ছে। আগের পর্বগুলোতে দেখা গেছে ঋদ্ধি বারবার চেষ্টা করে যাচ্ছে ঈশাকে তার পুরনো স্মৃতি মনে করানোর। খড়ির সঙ্গে তার বিয়ের মুহূর্ত কাটানো স্মৃতির সেইসব ফটো এবং ভিডিও সে ঈশার সামনে তুলে ধরছে।
আসন্ন পারবে দেখা যাবে এইসব পুরনো স্মৃতি ঈশা দেখতে পেয়ে তার শরীর খারাপ করতে শুরু করে এবং সে ঘরে চলে যায় শুতে। তারপরেই বনি কুনাল এবং ঋদ্ধি মিলে আলোচনা করতে থাকে যে ঈশার সত্যিই তারা কী করে জানতে পারবে। এবং তার সঙ্গে কেন কেউ ঈশাকে তাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে এটাও ভাবতে থাকে কিন্তু আড়াল থেকে দ্যুতি তাদের কথা শুনে এবং ভাবে যে হাসপাতালে গিয়ে সকলের আগে তাকে জানতে হবে আসল সত্যি কী!
এর মধ্যেই যখন বনি, কুনাল এবং ঋদ্ধি সিংহ রায় বাড়িতে আসে বনিকে দেখে মধুজা রাগারাগি করতে শুরু করে। আর তখনই ঋদ্ধি এবং কুনাল বলে যে বনি একটা সময়ে এই বাড়ির সদস্য ছিল আর থাকবে। তাই এই বাড়ির সুখ-দুঃখের সময় সে সব সময় কথা বলেছে আর কথা বলবে। তারপরেই উল্টো দিকে দেখা যায় তানি, ঈশাকে গিয়ে বলে যে তার শরীর খারাপ করে গিয়েছিল ঋদ্ধি তাকে পুরনো স্মৃতি মনে করানোর চেষ্টা করছিল তাই। যার জন্য ঈশা রেগে যায়।
এরপরই দেখা যায় সেই স্টোররুমে গিয়ে ঈশা সবকিছু ভাঙচুর করে এবং সেখানে যখন ঋদ্ধি পৌঁছায় তখন সে তাকে বলে আপনি আবার এগুলো ভাঙচুর করতে শুরু করেছেন। তখন ঈশা বলে যে আমি এই ঘরটাকে ভেঙে অন্যরকম করব এ ঘরে পুরনো কিছু থাকবে না। কিন্তু ঋদ্ধি তাকে অনুরোধ করতে থাকে যাতে সে স্টোর রুমটা না ভাঙ্গে তার কারণ অনেক তার স্মৃতি রয়েছে এই স্টোররুমে খড়ির সঙ্গে।
এরপরেই দেখা যায় ঋদ্ধিরা হাসপাতালে জন্য বেরিয়ে গেছে আর এর অনেক আগে দ্যুতি হাসপাতালে পৌঁছেছে। যখন রিসেপশনিস্ট ছিল না তখন সেই রিসেপশনিস্টের খাতা এবং কম্পিউটার চেক করে কিন্তু খড়ির নাম পায় না। আর তখনই তার সন্দেহ বাড়ে। আর সেই সময় ঋদ্ধি এসে সেখানে রিসেপশনিস্টকে না দেখেই সাহায্য চায় আর তাকে দেখে দ্যুতি টেবিলের তলায় লুকিয়ে পড়ে।
উল্টোদিকে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে মৈনাক। ঋদ্ধি এবং মৈনাকের আবার কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এবং অন্যদিকে ঋদ্ধির কথা গুলো ঈশার অবাক লাগে এবং সে পুরনো স্মৃতি আবার ঘাঁটতে শুরু করে। যেদিন সিংহ রায়দের স্টেজ শো হয়েছিল এবং সকলে মিলে রাম্প ওয়াক করেছিল সেই ভিডিও সে কম্পিউটারে দেখতে শুরু করে। আর যখনই খড়ির সময় আসে তাকে দেখে ঈশা আবার অবাক হয়ে যায় এবং ভাবতে থাকে যে সত্যিই তো এটা তো আমি। তারপরে হাসপাতালে ঋদ্ধি আবার তার মেজ মা অর্থাৎ ভালো মাকে দেখতে পায়। এবং সে তার পিছু পিছু যায় এই ভেবে যে হয়তো কারো শরীর খারাপ, সে হাসপাতালে ভর্তি।