মিষ্টি কথার পাচন ‘আনন্দী’ (Anondi) এখন বাংলার প্রতিটা ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছে। পর্দায় আবার দেখা যাচ্ছে অন্বেষা-টুকাইয়ের জুটি। সিরিয়ালের দর্শকরা এই জুটিকে প্রথম দেখতে পেয়েছিল ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকে। জি বাংলায় (Zee Bangla) এই ধারাবাহিক শুরুর দিন থেকেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। যেকোনো ধারাবাহিকের বাধাধরা নায়িকাদের থেকে একটু আলাদাভাবে দেখেন অন্বেষার অনুরাগীরা।
আগাগোড়াই এই জুটিকে দর্শকদের পছন্দ বলে প্রথম সপ্তাহ থেকেই টিআরপি-র তালিকায় ভালো স্থান দখল করে রেখেছে এই মেগা। শুরু ওষুধ দিয়ে শরীর নয়, কথা দিয়ে কিকরে মনের রোগও সারিয়ে তোলা যায় তা নিয়ে এই গল্প আনন্দী। এই সিরিয়ালে ডাক্তারের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে ঋত্বিককে এবং নার্সের চরিত্রে রয়েছে অন্বেষাকে।
কিন্তু, এখন এপিসোডগুলিতে দেখা যাচ্ছে, আনন্দী এবং পাচনবাবুর মাঝখানে এসে হাজির হয়েছে তৃতীয় ব্যাক্তি, নাম তিতির। তাঁকে নিয়েই চলছে যত ঝামেলা। আবার, এও দেখা যাচ্ছে এই মেগার খল চরিত্রেরা কীভাবে আনন্দীকে ফাঁসাতে পারে পরিকল্পনা করে চলেছে অনবরত। এত সব কিছুর মাঝে ষ্টুডিও পাড়ায় বইছে খুশির হাওয়া। দেখতে দেখতে আনন্দী’ পার করল ১০০ পর্ব।
আরও পড়ুনঃ ‘সিরিয়ালের দৃশ্য উঠল প্রেমের জোয়ার!’ প্রেমের সাগরে ভাসল আঁখি-দেবা, চূড়ান্ত রোম্যান্টিক পর্ব আসছে
এর মধ্যেই অনেকটা কাছের হয়ে উঠেছে সকলের প্ৰিয় ‘আনন্দী’। অভিনেত্রী অন্বেষার কথায়, খুব অল্পদিনেই কাছের চরিত্র হয়ে উঠেছে ‘আনন্দী’। সেটে কারওর একদিনের বেশি ছুটি থাকলে মন খারাপ হয়। ১ জানুয়ারি ছিল ‘আনন্দী’র ১০০ পর্ব পূর্ণের দিন। কিন্তু সেদিন ছুটি থাকায় পরের দিন সবাই কেক কেটে সেলিব্রেট করি। শুটিংয়ের ফাঁকে ছোট ছোট মজার মুহূর্ত খুব কাছের হয়ে ওঠে। তাই বোধহয় এই ধারাবাহিকটিও খুব কাছের হয়ে উঠেছে। নতুন বছরে চেষ্টা করব, যাতে আরও বেশি ভাল কাজ করে দর্শকের ভালবাসা পাই।” দর্শকদের মতে, এই মেগা ধারাবাহিকতার সঙ্গে আরও এগিয়ে চলুক কয়েকশো পর্ব।